(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
মেশিনের সাহায্যে এক মহিলার জরায়ুতে অন্য মহিলার ডিম্বাণু প্রবেশ করানোর বিধান
ফতোয়া নং ৯/১৮০৬
বরাবর,
প্রধান মুফতি সাহেব দা.বা.
কেন্দ্রীয় দারুল ইফতা বাংলাদেশ
তত্ত্বাবধানে- শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার ঢাকা
কুড়াতলী, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯
বিষয়: হালাল হারাম প্রসঙ্গে
মুহতারাম, একজন মহিলার ডিম্বানুতে সমস্যা হওয়ার কারণে বাচ্ছা হয় না। এই জন্য অন্য মহিলার ডিম্বানু মেশিনের সাহায্যে তার জরায়ুতে পৌঁছায় সন্তান হওয়ার জন্য।
জানার বিষয় হলো- এই পদ্ধতি গ্রহণ করে বাচ্চা নেয়া শরীয়ত সম্মত হবে কিনা? বিস্তারিত জানাবেন।
নিবেদক
মাও. আবু নাছের আব্দুল্লাহ
নাজেমে তালীমাত, লুধুয়া, ই-ইশাআতুল উলুম,
রায়পুর, লক্ষীপুর
০১৭২৮৮৩৯২৫৯
الجواب باسم ملهم الصدق والصواب
শরয়ী দৃষ্টিকোণে বিবাহ শাদীর মৌলিক উদ্দেশ্যর মধ্য থেকে একটি হলো বংশ বিস্তার তথা সন্তানাদি জন্ম দেয়া। তবে এ উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে শরীয়ত পরিপন্থী কোন পদ্ধতি অবলম্বন করা বৈধ নয়; বরং শরীয়ত সম্মত পন্থায় হলে ভালো কথা, অন্যথায় সন্তান জন্মাতেই হবে যে কোন পন্থায় এটা শরীয়তের চাহিদা নয়। পাশাপাশি শরীয়ত প্রত্যেকটা মানুষের ক্ষেত্রে নসব সংরক্ষণের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত সুরতে সন্তান জন্ম দেয়ার উদ্দেশ্যে এক মহিলার ডিম্বানু অন্য মহিলার জরায়ুতে মেশিনের সাহায্যে হলেও প্রবেশ করানো সম্পূর্ণ হারাম। কারণ এতে পর পুরুষ বা মহিলা ডাক্তারের সামনে সতর খোলা, সতর স্পর্শ করা ইত্যাদির মত অসম্মানজনক কাজে লিপ্ত হতে হয়, যা প্রয়োজন ব্যতিত হারাম ও নিষিদ্ধ।
Late marriage বা বিলম্বে বিবাহ
সর্বপরি একজনের ডিম্বানু অন্য মহিলার সাথে মিশ্রিত হওয়ার দরূণ সন্তানের বংশ ও নসবের সুরক্ষা হয় না। অথচ এর সুরক্ষার জন্য শরীয়তের বিধান প্রয়োগ হয়ে থাকে।
অবশ্য উক্ত পন্থাটি অবৈধ হওয়া সত্ত্বেও এর মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম নিলে বাচ্চার নসব প্রসবকারিনী মহিলা থেকে সাব্যস্ত হবে এবং সে অনুযায়ী শরীয়তের অন্য সকল হুকুম তথা মিরাসনীতি, হুরমতে মুসাহিরা ইত্যাদি আরোপিত হবে।
নেক সন্তান জন্ম দানে আমাদের কি লাভ
শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার ঢাকা, বাংলাদেশ।
──────⊱◈◈◈⊰──────