(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
আল্লামা তাকি উসমানি দা. বা. স্বীয় পিতা মুফতি শফি রহ. থেকে বর্ণনা করেন: হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবি রহ. এর দুজন
স্ত্রী ছিল। উভয়ের সাথেই হযরতের ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে বড় জন অনেক আগের ছিলেন এবং তিনি সর্বদা হযরতের আরামের প্রতি
খেয়াল রাখতেন। কিছু দিন পর ইদুল ফিতর তাই তিনি ইচ্ছা করলেন হযরতের জন্য যদি ভালো একটি আসকান বানানো যায় তাহলে
অনেক ভালো হবে। তাই তিনি অনুমতি না নিয়েই কাপড় কিনলেন। তখনকার সময় যেহেতু সেলাই মেশিনের ব্যবস্থা ছিল না তাই
তিনি পুরো রমজান খুব যত্ন করে সেলাই করলেন। হযরতকে আগে বলেননি এই ভেবে যে যদি বানানোর পর হঠাৎ হযরতের সামনে
উপস্থিত করি তাহলে হযরত অনেক খুশি হবেন। এদিকে ইদের রাতের পূর্বেই সেলাইয়ের কাজ শেষ হলো। যখন ইদের রাত আসলো
তখন বড় স্ত্রী আসকানটি থানবি রহ. এর সামনে রেখে বললেন: আমি এই আসকান আপনার জন্য তৈরি করেছি। আমার মন চায়
আপনি এই আসকান পরিধান করে আগামিকাল ইদগাহে যাবেন এবং ইদের নামাজ পড়বেন।
এখন পাঠকই বলুন! হযরতের মেজাজ কেমন হবে? কারণ এরকম আসকান হযরতের প্রকৃতির সম্পূর্ণ বিপরিত।
হযরত ভাবলেন; আমি যদি ইহা পরিধান করতে অস্বীকার করি তাহলে তার মন ভেঙ্গে যাবে। কারণ সে তো ইহা সেলাই করার পেছনে
সারা রমজান মেহনতা করেছে।আর এই মেহনত শুধু ভালোবাসার খাতিরে করেছে। এজন্য হযরত তাকে খুশি করার জন্য বললেন।
মা শা আল্লাহ ! তুমি একটি ভালো আসকান তৈরি করেছো। অতপর হযরত সে আসকান পরিধান করে ইদগাহে গিয়ে নামাজ আদায়
করলেন। নামাজ শেষে এক ব্যক্তি হযরতের কাছে এসে বললো হযরত! আপনার পরিধানের আসকানটি আপনার জন্য শুভা পাচ্ছে না।
কারণ এটি সম্পূর্ণভাবে আপনার জন্য অমাননিয় পোষাক। উত্তরে থানবি রহ. বললেন: হ্যাঁ ভাই তুমি ঠিকই বলেছো। তখন থানবি রহ.
আসকানটি খুলে লোকটিকে দিয়ে বললেন: এটি তুমি নিয়ে নাও। এটি তোমার জন্য হাদিয়া।
আরও পড়ুন:-
হযরত ইলিয়াস রহ. এর ঘটনা
হযরত শাহ ইসমাইল শহিদ রহ. এর ঘটনা
হযরত মাওলানা ইয়াকুব (রাহঃ)-এর কারামত