(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
মর্দে মুজাহিদ আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী রহিমাহুল্লাহর বর্ণাঢ্য জীবন
বংশ ও পরিবার পরিচিতি
নাম: মুহাম্মদ জুনায়েদ। কুনিয়াত (পরিচিতি): জুনায়েদ বাবুনগরী
উপাধি: আপোষহীন সিপাহসালার, মজলুম জননেতা, কায়েদে মিল্লাত ইত্যাদি। জন্ম: ০৮ অক্টোবর ১৯৫৩, বাবুনগর, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম।
পিতা: আল্লামা আবুল হাসান (তিনি হাটহাজারী মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার শাইখুত্ তাফসীর ছিলেন। তিনি মিসকাতুল মাসাবিহ এর উর্দু শরাহ তানযীমুল আশতাত গ্রন্থের লেখক)
মাতা: ফাতিমা খাতুন(মায়ের দিক থেকে বংশধারা প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর রা: এর সাথে মিলিত হয়েছে।)
সন্তান: ৫ মেয়ে ১ ছেলে। ছেলের নাম মুহাম্মদ সালমান। পরিবারের সবাই ইসলামী কর্মকান্ডে সক্রিয় আছেন।
ইন্তেকাল: ১৯ আগস্ট ২০২১, সিএসসিআর হাসপাতাল, চট্টগ্রাম। হায়াত: প্রায় ৬৮ বছর
কৃতিত্ব: সুপরিচিত বাংলাদেশি স্কলার যিনি দেওবন্দি ধারার একজন ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক, ইসলামি বক্তা ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব।
চাপের মুখে নতি স্বীকার না করে হক্বের উপর অটল থাকার ক্ষেত্রে তিনি অনন্য ব্যক্তিত্ব, কায়েদে মিল্লাত তথা জাতীয় নেতার পর্যায়ে উন্নীত।
মুসলিম নেতা হিসেবে তিনি দেশব্যাপী ব্যাপক পরিচিত। সারাবিশ্বের বাংলাদেশী জনগণের মাঝে বেশ সমাদৃত।
দেশ বি-দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচিত ব্যক্তিত্ব
দায়িত্বের পরিধি
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর। দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব ও শায়খুল হাদিস
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি।নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ড, চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান
মাসিক মুঈনুল ইসলামের প্রধান সম্পাদক। নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লী।মাসিক দাওয়াতুল হকের পৃষ্ঠপোষক
ইনসাফ২৪.কম ও কওমিভিশন.কমের প্রধান উপদেষ্টা সহ কয়েকটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শিষ্যত্ব
তিনি পাকিস্তানের বিখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ইউসুফ বিন্নুরীর শিষ্য ছিলেন। শাহ আহমদ শফি, শাহ্ আবদুল আজিজ রায়পুরী,
আল্লামা হারুন বাবুনগরী (নানা), আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ্ বাবুনগরী (মামা) প্রমুখ মহান ব্যক্তিত্ব দ্বারা তিনি প্রভাবিত ছিলেন।
আন্দোলন ও কারাবরন
২০১০ সালে তাকে মহাসচিব করে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন শুরু করা হয়, তখন সংগঠনটির আমীর ছিলেন আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি রহিমাহুল্লাহ্।
২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি ইন্তেকাল করেন। ২০১৩ সালে তিনি হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব দিয়ে কারাবরণ করেছিলেন।
হেফাজত আন্দোলনের ঘটনায় ২০১৩ সালের ৭ মে তাকে পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ১৩ দিনের রিমান্ড দেয়া হয়।
রিমান্ডে তাকে অমানুষিক নির্যাতন ও চিরতরে পঙ্গু করে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল বলে তিনি প্রদত্ত সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন।
তিনি ১৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখ একটি কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের আমীর নির্বাচিত হন।
তখন থেকে আমৃত্যু অর্থাৎ ১৯ আগষ্ট ২০২১ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর আমীর ছিলেন।
প্রধান আগ্রহ (Main fields of interest)
হাদীস, ফিকহ, ইসলামি আন্দোলন, ইসলামের ইতিহাস, লেখালেখি, তাসাউফ, দাওয়াত ইলাল্লাহ, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ্।
গবেষণা
সীরাতুল ইমামিদ দারিমী ওয়াত তারিখ বি শায়খিহী (ইমাম দারিমী ও তার শিক্ষকদের জীবন বৃত্তান্ত) (১৯৭৮)ডক্টরাল উপদেষ্টা: মুহাম্মদ ইউসুফ বিন্নুরী
শিক্ষাজীবন
৫ বছর বয়সে তিনি আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম, বাবুনগর, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম এ ভর্তি হয়ে মক্তব, হেফজ ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন।
কুরআনের হেফজ শেষ করার পর আজহারুল ইসলাম ধর্মপুরীর কাছে তিনি পুরো কুরআন মুখস্থ শুনিয়েছিলেন।
এরপর তিনি ভর্তি হন দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায়। ১৯৭৬ সালে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।
হাটহাজারী মাদ্রাসায় তার উল্লেখযোগ্য শিক্ষকগণের মধ্যে রয়েছেন:
আব্দুল কাইয়ুম, আহমদুল হক (মুফতি), আবুল হাসান, আব্দুল আজিজ, শাহ আহমদ শফী সহ প্রমুখ খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ।
তারপর উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি পাকিস্তান গমন করেন।
১৯৭৬ সালে করাচিতে অবস্থিত জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়ায় তাখাচ্ছুছাত ফিল উলুমুল হাদিস তথা উচ্চতর হাদিস গবেষণা বিভাগে ভর্তি হন।
২ বছর হাদিস নিয়ে গবেষণা সম্পন্ন করে তিনি আরবি ভাষায়
‘সীরাতুল ইমামিদ দারিমী ওয়াত তারিখ বি শায়খিহী' (ইমাম দারিমী ও তার শিক্ষকগণের জীবন বৃত্তান্ত)শীর্ষক অভিসন্দর্ভ (Thesis) জমা দেন।
এই অভিসন্দর্ভ জমা দেওয়ার পর তিনি জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়া থেকে হাদিসের সর্বোচ্চ সনদ লাভ করেন।
জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়ায় তার উল্লেখযোগ্য শিক্ষকগণের মধ্যে রয়েছেন: মুহাম্মদ ইউসুফ বিন্নুরী, ইদ্রিস মিরাঠী, আব্দুল্লাহ ইউসুফ নোমানী সহ প্রমুখ।
পাশাপাশি তিনি ওয়ালি হাসান টুঙ্কির কাছে সুনানুত তিরমিজী ও মুহাম্মদ ইউসুফ বিন্নুরীর কাছে সহীহ বুখারী দ্বিতীয় বারের মত অধ্যয়ন করেন।
কর্মজীবন
১৯৭৮ সালের শেষের দিকে তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করে বাবুনগর মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবনের সূচনা হয়।
বাংলাদেশের মাদ্রাসা সমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম বাবুনগর মাদ্রাসায় তিনি উচ্চতর হাদিস গবেষণা বিভাগ চালু করেন।
২০০৩ সালে তিনি দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায় যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক নিযুক্ত হন।
২০২০ সালের ১৭ জুন মাদ্রাসা কমিটি সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়।
তার স্থলে মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক শেখ আহমদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে তার অনুসারীদের দাবি অনুযায়ী, “তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার,
দাবি আদায়ে কঠোর অবস্থানে থাকায় সরকারি চাপে তাকে সরানো হয়েছে।”
পরবর্তীতে ১৪ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছাত্র আন্দোলনের সূচনা হয়।
এই আন্দোলন তীব্র হতে থাকলে ১৭ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী রাহ.
স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে মাদ্রাসার দায়িত্ব মজলিসে শুরাকে দিয়ে দেন।ওই দিন তিনি ইন্তেকাল করেন।
পরবর্তীতে বাবুনগরীসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি গঠিত হয়।
তিনি মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস ও শিক্ষা সচিব হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।
২০১৯ সালের মে মাসে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “শিক্ষকতা জীবনে এ পর্যন্ত (২০১৯) আমার ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি।
আধ্যাত্মিক সাধনা
শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে আধ্যাত্মিক দীক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে ১৯৭৮ সালে তিনি আব্দুল কাদের রায়পুরীর উত্তরসূরী আব্দুল আজিজ রায়পুরীর নিকট বায়'আত গ্রহণ করেন।
রমযান মাসে তিনি রায়পুরীর খানকায় অবস্থান করে কিছুকাল তার সান্নিধ্যে ছিলেন। বাংলাদেশে তিনি যাদের কাছে খেলাফত পেয়েছেন:
হুসাইন আহমদ মাদানির দুই শিষ্য:
- আব্দুস সাত্তার, ফতেয়াবাদ
- শাহ আহমদ শফী, রাঙ্গুনিয়া
- আবুল হাসান আলী নদভীর শিষ্য:
- সুলতান যওক নদভী
উল্লেখযোগ্য আলোচিত বক্তব্য
২০২০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে ভাস্কর্য বিতর্ক শুরু হলে ইসলামি নেতা মাওলানা মামুনুল হকের পক্ষে সমর্থন দিয়ে
তিনি কঠোরভাবে ভাস্কর্য বিরোধী বক্তব্য তুলে ধরেন।
তার এই মন্তব্যে আওয়ামী লীগ ও তার ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন সমূহের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
২০১৯ সালের ১৩ জুন তিন দেশ সফর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন।
উক্ত সম্মেলনের এক পর্যায়ে পর্দা বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “ হাত মোজা, পা মোজা, নাক-চোখ ঢেকে এটা কী?
জীবন্ত টেন্ট (তাঁবু) হয়ে ঘুরে বেড়ানো, এটার তো কোনো মানে হয় না ”।
তার এই বক্তব্যেকে আপত্তিকর আখ্যা দিয়ে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, কুরআনের ৭টি আয়াত এবং ৭০টির মতো হাদিস দ্বারা পর্দার বিধান প্রমাণিত।
এ সব আয়াত ও হাদিস দ্বারা পর্দার বিধান প্রমাণিত হওয়ার পাশাপাশি সর্বপ্রকারের বেপর্দা হারাম হওয়াও সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায়।
সুতরাং শরয়ী পর্দা নিয়ে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর মুখে এমন আপত্তিকর মন্তব্য দুঃখজনক।
৯০ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে পর্দা সম্পর্কে দেয়া এমন বক্তব্যে কোটি কোটি মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
তিনি শেখ হাসিনার পর্দা সম্পর্কে দেয়া এ বক্তব্য প্রত্যাহার করে আল্লাহর কাছে তওবা করার আহ্বান জানান।
২০২০ সালের ২ অক্টোবর এক সভায় শাহ আহমদ শফী ও তার লংমার্চের ব্যাপারে তিনি বলেন,
“ আল্লামা আহমদ শফী দেশে ভ্রান্ত মতবাদ ও ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে গেছেন।
২০১৩ সালে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদের আগ্রাসী আস্ফালনের বিরুদ্ধে দেশের আলেম সমাজ ও তাওহিদী জনতাকে নিয়ে,
ইতিহাসের নজিরবিহীন গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি আল্লামা শফীর সঙ্গে লংমার্চে ও শাপলা চত্বরে ছিলেন।
তারই ধারাবাহিকতায় কোনো বিদআত, শিরক, মাজার পূজারী, কাদিয়ানি, শিয়া ও নাস্তিক-মুরতাদের সঙ্গে বিন্দুমাত্র আপস করা যাবে না।
প্রয়োজনে সব অপশক্তির বিরুদ্ধে এ ধরনের একটা নয়, আরও দশটা লংমার্চ করতে হবে। ”
২০২০ সালের ৫ অক্টোবর এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ পর্দানারীর মৌলিক অধিকার। পর্দাতেই নারী সর্বাধিক নিরাপদ।
নারীকে নিরাপদে রাখতে পারলে তখন ব্যক্তি, দেশ, জাতি ও সমাজ, সংসার সবকিছুই নিরাপদ।
ধর্ষণ, নারী নির্যাতন এসব রোধে পর্দা বাধ্যতামূলক করার বিকল্প নেই। ”
তিনি হেফাজতে ইসলামের মুখপাত্র হিসেবে বলেন, “এদেশে নাস্তিক মুরতাদরা থাকবে নয়তো হেফাজত থাকবে।”
এছাড়াও তিনি নাস্তিকদের দেশ থেকে বিতারণের জন্য বিভিন্ন সময় কঠোর ভাষায় ঘোষণা দেন।
প্রকাশনা
আরবি, উর্দু ও বাংলায় তার রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ত্রিশটি।
দারুল উলুম নাদওয়াতুল উলামার আরবি পত্রিকা আল বাসুল ইসলামি, দারুল উলুম দেওবন্দের মাসিক পত্রিকা আদ দায়ী,
দারুল উলুম হাটহাজারীর মাসিক আল মুঈন-সহ বিভিন্ন সাময়িকীতে তার অসংখ্য প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
কাতারের আল আরব পত্রিকায় তার দীর্ঘ সাক্ষাৎকার ছাপানো হয়েছিল।
এছাড়াও তিনি ইনসাফ২৪.কম, কওমিভিশন.কমের প্রধান উপদেষ্টা ও মাসিক দাওয়াতুল হকের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
সরাসরি লিখিত ও সম্পাদিত গ্রন্থ সমূহ
সীরাতুল ইমামিদ দারিমী ওয়াত তারিখ বি শায়খিহী (১৯৭৮) বিশ্ববরেণ্যে মুহাদ্দিসগণের দৃষ্টিতে ইমাম আবু হানিফা রহ.
তালিমুল ইসলাম (আরবি) বাড়াবাড়ি ছাড়াছাড়ির কবলে শবে বরাত। ইসলামে দাড়ির বিধান।
তাওহীদ ও শিরক: প্রকার ও প্রকৃতি (আরবী ভাষায় লিখিত বইটির প্রকাশক ওমান এর মাকতাবা আর-রাইয়্যান)
মুকাদ্দিমাতুল ইলম : তাফসীর, হাদীস, ফিকাহ, ফতোয়া, দারুল উলুম হাটহাজারীর কতিপয় উজ্জ্বল নক্ষত্র, আকাবিরে দেওবন্দের সিলসিলায়ে সনদ
জুনায়েদ বাবুনগরীর রচনাসমগ্র,ইলমে হাদীসের ভূমিকা,খুতবার ভাষা,মহাগ্রন্থ আল কুরআন ও বিশ্বনবী মুহাম্মদ (স.)
ইসলাম আওর সায়েন্স,নাস্তিক মুরতাদের শরয়ী বিধান,জাল হাদীস ,সূরা ফাতিহার তাফসির, মুকাদ্দামায়ে তানযীমুল আশতাত।
খতমে নবুয়ত ও কাদিয়ানী সম্প্রদায়,সিয়াম সাধনা ইতেকাফ ও ঈদ মোবারক,মিলাদ কিয়াম ও সুন্নাত বিদআত,বক্তৃতা সংকলন-
হক বাতিলের লড়াই,সুশিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড,ইলমে দ্বীনের গুরুত্ব ও ফজীলত,
তার তত্ত্বাবধানে লিখিত বই সমূহ
ইসলাম বনাম সমকালীন মতবাদ,প্রচলিত জাল হাদীস: একটি তাত্ত্বিক আলোচনা ইসলামের দৃষ্টিতে গান-বাজনা
ইন্তেকাল ও দাফন
তিনি ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট প্রায় ৬৮ বছর বয়সে চট্টগ্রামের সিএসসিআর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
জানাজা শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাকে হাটহাজারী মাদরাসার পাশে কবরস্থানে আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি রহিমাহুল্লাহ্ এর পাশেই দাফন করা হয়।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে আল্লাহ্ মাফ করে দিন, জান্নাতুল ফিরদাউসে আ'লা মকান দান করুন। আমিন।
(উইকিপিডিয়া ও অন্যান্য অনলাইন সোর্স থেকে সংকলিত ও সম্পাদিত)
আরো পড়ুন👉সফলতার স্বপ্ন দ্রষ্টা প্রশংসার যোগ্য, নারী সমাজ কেন আজ নির্যাতিত, আফগান বিজয় মানে বিশ্ব মুসলমানদের বিজয়