(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ রা. একজন মহিলা সাহাবি। একবার তিনি হুযুর সা. এর খেদমতে হাজির হয়ে আরজ করলেন: ইয়া রাসুলাল্লাহ সা.!
আপনার উপর আমার পিতা-মাতা কুরবান হউন! আমি মুসলমান মেয়েদের পক্ষ হতে প্রতিনিধি হিসেবে আপনার খেদমতে হাজির হয়েছি।
নি:সন্দেহে আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে পুরুষ ও নারী উভয়ের প্রতি নবী বানিয়ে পাঠিয়েছেন। এই জন্য আমরা মহিলারাও আপনার উপর
এবং আল্লাহর উপর ইমান এনেছি।
কিন্ত আমরা মহিলারা ঘরে আবদ্ধ থাকি, পর্দায় থাকি, পুরুষদের ঘরে সঙ্গীনি হয়ে থাকি,
তাদের খাহেশ আমাদের দ্বারা পুরা করা হয়, আমরা তাদের সন্তান আমাদের পেটে ধারণ করে থাকি। কিন্ত এই সব কিছু সত্বেও পুরুষরা
কিছু সাওয়াবে আমাদের থেকে অগ্রগামী থাকেন। তারা জুমআর নামাজে শরিক হন, জামাতে নামাজে শরিক হন, রোগীদের দেখা-শোনা করেন,
জানাযার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। হজের পর আরও হজ করে থাকেন। এই সবকিছুর চাইতেও বড় কাজ তারা জিহাদ করে থাকেন।
আর যখন তারা হজ, ওমরা, বা জিহাদের জন্য যান তখন আমরা মহিলারা তাদের মালের হেফাজত করি।তাদের জন্য কাপড় বুনি,
তাদের সন্তানদের লালন পালন করি। এমতাবস্থায় আমরা কী তাদের সাওয়াবের অংশিদার হবো না? ইহা শুনে হুযুর সা. সাহাবায়ে কেরামের প্রতি
লক্ষ করে বললেন, তোমরা দ্বীন সম্পর্কে এই মহিলার চাইতে কি উত্তম প্রশ্ন কাউকে করতে শুনেছো? সাহাবায়ে কেরাম রা. বললেন,
ইয়া রাসুলাল্লাহ সা.! কোনো মহিলা এমন প্রশ্ন করতে পারে এমন ধারণাও আমাদের ছিল না। হুযুর সা. হযরত আসমা রা. এর প্রতি লক্ষ করে বললেন,
তুমি খুব মনোযোগের সাথে শোন এবং বুঝে লও আর যে সকল মহিলারা তোমাকে পাঠিয়েছে তাদেরকে বলে দাও যে, মহিলাদের
আপন স্বামীর সাথে উত্তম আচরণ করা, তাদের সন্তষ্টি তালাশ করা এবং তদানুযায়ী আমল করা ঐ সব আমলের সাওয়াবের সমান।
হযরত আসমা রা. উত্তর শোনে অতি আনন্দের সাথে ফিরে গেলেন। (ফাযায়েলে আমল,হেকায়াতে সাহাবা ১৯২)
আরও পড়ুন:-👇
একজন তাপসি নারীর গল্প
হযরত আয়শা রা. এর খোদাভীতি
বেহেশতী মেয়ের বিবাহ
কুরআনের ভাষায় সর্বক্ষণ কথোপকথন কারীনী মহিলা