(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
একজন তাপসি নারীর গল্প
হযরত মাওলানা ইলিয়াস রহ. এর মাতা বিবি সুফিয়া ছিলেন নজিরবিহীন একজন তাপসি। তিনি কুরআনের হাফেজা ছিলেন।
বিবাহের পর প্রথম সন্তান মাওলানা ইয়াহইয়া সাহেবকে কোলে নিয়ে তিনি কুরআন হিফজ করেন। তাঁর ইয়াদ এতই মজবুত ছিল যে,
সাধারণ হাফিজগণ তাঁর সম্মুখে কুরআন শুনাতে সাহস করতো না। রমজান মাসে তিনি প্রতিদিন পূর্ণ এক খতম এবং
অতিরিক্ত আরও দশ পারা তেলাওয়াত করতেন। এইভাবে ত্রিশ দিনে সাধারণত: তাঁর চল্লিশটি খতম হয়ে যেত। ঘরের সাধারণ কাজকর্মে ব্যস্ত থেকেই
তিনি কুরআন শরিফ তেলাওয়াত করতে থাকতেন। রমজান ছাড়া অন্যান্য সময়ে তাঁর দৈনিক নিয়ম ছিল, দুরুদ শরিফ পাঁচ হাজার বার,
আল্লাহু আল্লাহু যিকির পাঁচ হাজার বার, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ঊনিশশত বার, ইয়া মুগনি এগারশত বার,
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বারশত বার, ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়্যু দুইশত বার, হাসবিয়াল্লাহু ওয়া নি'মাল ওয়াকীল পাঁচশত বার,
সুবহানাল্লাহ্ দুইশত বার, আলহামদুলিল্লাহ্ দুইশত বার, আল্লাহু আকবার দুইশত বার, আস্তাগফিরুল্লাহ পাঁচশত বার,
উফাওয়িযু আমরি ইলাল্লাহ একশত বার, সুবহানাল্লাহি ওয়া নি'মাল ওয়াকীল একশত বার, রাব্বি আন্নি মাগলুবুন ফানতাসির একশত বার,
রাব্বি আন্নি মাস্সানিয়াদ্দুররু ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমীন একশত বার, লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাযযালিমীন
একশত বার পাঠ করতেন। তার সঙ্গে সঙ্গে কুরআন শরিফের অন্তত: এক মনজিল রোজ তেলাওয়াত করতেন। (সুত্র: তাযকিরাতুল খলীল)
আরও পড়ুন:-👇
বেহেশতী মেয়ের বিবাহ
কোরআন ও হাদিসের আলোকে নেককার রমণীর ৭ গুন