(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
বাচ্চাদের খেলনা পুতুলের হুকুম
আজকাল আমাদের ঘরে বাচ্চাদের খেলনা কমবেশি সব জায়গাতেই আছে। কিছু কিছু খেলনা হয় বিভিন্ন প্রাণীদের আকৃতিবিশিষ্ট। কিছু কিছু
খেলনা হয় বিভিন্ন মূর্তি ও প্রতিমার অবয়ব বিশিষ্ট পুতুল। সেগুলো পাশে রেখেই কুরআন তেলাওয়াত, নামাজ ও সেজদা ইত্যাদি আদায় করা হয়।
অনেক সময় নামাজের সময় সে দিকে দৃষ্টি পরে যায়। অথবা জিকিরে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় দেখা যায় যে, বাচ্চা খেলনা নিয়ে সামনে এসে পড়েছে।
উক্ত সমস্যার শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে সমাধান হলো, যেই পুতুলের শারীরিক দেহ কাঠামো সুস্পষ্ট নয় অর্থাৎ নাক, কান ইত্যকার অঙ্গ ফটে ওঠে না,
নিরেট একটি আকৃতির মতো মনে হয়; এ জাতীয় পুতুল দিয়ে শিশুদের খেলাধুলা জায়েয। এধরণের পুতুল ঘরে রাখাও জায়েয। কিন্ত বাজারে
প্লাষ্টিকের যে খেলনাগুলো পাওয়া যায় এগুলো পুরোপুরি প্রতিমা। এধরণের মূর্তি-প্রতিমা ক্রয়-বিক্রয় করা ও ঘরে রাখা জায়েয নয়।
আফসোসের বিষয় হলো, আজকাল এধরণের মূর্তি-প্রতিমা মুসলমানদের ঘরে রাখা প্রচলন শুরু হয়ে গেছে। যার ফলশ্রুতিতে
মুসলমানদের ঘর-বাড়ীগুলোকে মূর্তিখানা মনে হচ্ছে।শয়তান আজ খেলনার বাহানায় মূর্তিচূর্ণকারী জাতিকে মূর্তি লালকারী জাতিতে পরিণত করেছে।
মহান আল্লাহ তা’য়ালা মুসলমানদেরকে এই বিপদ হতে উদ্ধার করুন। আমীন
অনেক লোককে এই প্রশ্ন করতে দেখা যায় যে, হযরত আয়শা রা. তো পুতুল দিয়ে খেলতেন! এবং হুযুর সা.ও তাঁকে অনুমতি দিয়ে রেখেছিলেন!!(?)
এর উত্তর হলো, হযরত আয়শা রা. এর পুতুল ছিল অতি সাধারণ মানের পুতুল। যা শিশুরা নিজেরাই কাপড় দিয়ে তৈরি করে নেয়।
সেগুলোতে সঠিকভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফুটে ওঠে না। কাজেই এটি রীতিমতো মূর্তি নয়। তাই তা দিয়ে হারাম মূর্তিকে জায়েয করার প্রমাণ দেওয়া ঠিক হবে না।
হাশিয়ায়ে মিশকাত ২/২৭২
আরও পড়ুন:-
ক্যারামবোর্ড খেলার শরঈ বিধান
PUBG GAME খেলার শরঈ হুকুম
খেলার নামে শুরু হলো এ কোন খেলাঃমাওলানা আবু তাহের মিসবাহ
ষাঁড়ের লড়াই