(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
বর্তমান যুব সংগঠনগুলোর নতুন রূপ
ইদানিং প্রায় এলাকায়ই দেখা যায় কিছু যুবকেরা বিভিন্ন নামে সংগঠন করে থাকেন।
কেউ দ্বীনি উদ্দেশ্য, কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আর কেহ শুধু সামাজিক সেবার উদ্দেশ্য।
যারা দ্বীনি উদ্দেশ্য সংগঠন করেন এবং সংগঠনের মাধ্যমে দ্বীনি কাজ ও করেন তাদের দ্বারা তো দ্বীনি কাজই হয় সাধারণত দ্বীনের বিরোধী কোন কাজ হয় না।
কিন্তু যারা রাজনৈতিক এবং সামাজিক সেবার উদ্দেশ্য সংগঠন করেন, তাদের দ্বারা দ্বীনি কাজ হওয়ার চেয়ে বেশির ভাগ দ্বীন বিরোধী কাজই হয়ে থাকে।
এর অনেক কারণ থাকতে পারে। আমার কাছে যেই কারণ গুলো উল্লেখযোগ্য মনে হয় সেই গুলো আমি আপনাদের সমীপে পেশ করছি।
এক.যেহেতু তাদের উদ্দেশ্য হলো রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা তাই রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে
যে কোন কাজ করতে তারা দ্বিধাবোধ করে না চাই সেটা শরীয়ত বিরোধী কাজ হোক।
দুই.যেহেতু তাদের উদ্দেশ্য সামাজিক সেবা করা তাই অনেক সময় শরীয়ত বিরোধী কাজকে ও সামাজিক কাজ মনে করে তারা করে।
যেমন ; গান বাজনার আয়োজন করা, বিশাল আকারে ফুটবল খেলার আয়োজন করা,
শিক্ষা সফরের নামে গান বাজনা সহ সফরে যাওয়া ইত্যাদি গোনাহের কাজকে তারা সামাজিক কাজ মনে করে।
তিন.সামাজিক সেবার নামে রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে টাকা এনে সেবা দেখানোর জন্য কিছু টাকা খরচ করে বাকী টাকা আত্মসাৎ করা।
চার. এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট যথা মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, ইত্যাদির ফান্ড থেকে টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করা।
পাঁচ.এই আত্মসাৎ করার পথে যে কাটা হয়ে দাড়ায় তার ক্ষতি করার চেষ্টা করা।
ছয়.বাস্তবেই যে ব্যক্তি ধর্মীয় এবং সামাজিক সেবা করে মানুষের কাছে ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছে,
তাকে মানুষের কাছে ঘৃণিত বানানোর চেষ্টা করা। আরও অনেক কারণ থাকতে পারে।
যারা সংগঠন করে এই সমস্ত শরীয়ত বিরোধী কাজ করে থাকেন আপনারা কি মনে করেন এই দুনিয়া ই আপনাদের শেষ।
আখেরাতে কি যেতে হবে না? এর শাস্তি কি আপনাদেরকে ভোগ করতে হবে না?
কার কথায় দুনিয়ার সামান্য লাভের আশায় নিজেরাই নিজেদের চিরন্তন আখেরাতে ধ্বংস করতেছেন সেই খবর আছে কি?
যে নেতার কথায় আজ এই গুলো করতেছেন সেই নেতা ও আখেরাতে সাহায্য করবে দুরের কথা বরং সে আরও তোমাদেরকেই দোষারোপ করবে।
তাই সামান্য লাভের আশায় নিজেদের চিরন্তন আখেরাতকে ধ্বংস করে দিচ্ছো না তো?
আমি কিন্তু মৌলিক ভাবে এই সমস্ত সংগঠন করার বিরোধী নই।
কেননা এই সমস্ত সংগঠন করার মধ্যে কোন সমস্যা নেই।
কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্টার লক্ষ্যে হিলফুল ফুজুল নামে একটা সংগঠন করেছিলেন।
তাই এই সমস্ত সংগঠন করার মধ্যে কোন সমস্যা নেই।
বরং যারা এই সমস্ত সংগঠন করে সমাজের সেবা করেন তারা অবশ্যই আল্লাহ তাআ’লার কাছে এগুলোর প্রতিদান পাবেন।
যেমনঃ গরীব কে আর্থিক সাহায্য করা, ক্ষুধার্তকে আহার দেওয়া,রোগী কে রক্ত দান করা, গরীব পিতার মেয়ের বিবাহ কাজে সাহায্য করা,
বস্ত্রহীন কে বস্ত্র দেয়া,বাসস্থানহীন কে বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া ইত্যাদি ভালো কাজ যারা করেন
তারা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। এবং আল্লাহর কাছে এগুলোর বিনিময় পাবেন।
সুতরাং হে যুবক কার কথায় কি কাজ করতেছো সেই দিকে খেয়াল রেখো।
তোমার এই যৌবনকাল তো মন যা চায় তা করার জন্য নয়।বরং এই যৌবনকাল হলো আল্লাহর ইবাদাত করে আরশের নিচে জায়গা হাসিল করার জন্য।
তাই তোমার এই যৌবনকাল দ্বারা কি হাসিল করতেছো সেই দিকে খেয়াল রেখো।
(লিখেছেন মুফতি ইয়াছিন আহমদ কামাল)
আরো পড়ুন 👇👇
নিজের শরীরটা মানুষকে দেখিয়ে কেন জাহান্নাম ক্রয় করবেন,
আদর্শ ব্যক্তি গঠনঃ প্রয়োজন ব্যক্তিত্বের আদর্শিকীকরণ