ক্যারামবোর্ড খেলার শরঈ বিধান
আজকাল কিছু তরুণ ও যুবককে দেখা যায়, মহল্লার মোড়ে একত্র হয়ে খুব আগ্রহের সাথে ক্যারামবোর্ড খেলে।
এই খেলায় যেভাবে শারীরিক কোনো উপকার নেই তদ্রুপ দুনিয়া আখেরাতের কোনো ফায়দাও নেই। শুধু সময় ও অর্থের অপচয়ই ঘটে।
যুবকদেরকে দেখা যায়, তারা এই খেলার মাঝে এমনভাবে মত্ত হয়ে যায় যে, নামাযসহ অন্য কোনো শরঈ বিধানের প্রতি তাদের কোন মনোযোগই
থাকেনা।অথচ ইসলামী শরীয়ত অনুপকারী খেলা থেকে নিষেধ করেছে।
নবী কারীম সা. ইরশাদ করেন, ব্যক্তির ইসলামে সৌন্দর্য্য সৃষ্টির আলামত হলো, অন্যায় ও অর্থহীন বিষয় পরিহার করা।
এ কারণে ক্যারামবোর্ডের মতো অনুপকারী খেলাধুলা পরিহার করা অত্যন্ত জরুরী।
এভাবে কিছু লোককে দেখা যায়, তারা ক্যারামবোর্ডের দোকান বসায়। সেখানে খেলার ব্যবস্থা করে। সেখান থেকে টাকা কামায়।
নাচ-গানের আসর বসায়। যার কারণে অনেক লোক সেখানে ছুটে যায়। অবোধ বালকেরা পর্যন্ত ভীর জমায়।
কেমনযেনো শৈশব থেকেই কম বয়সী শিশুদের নৈতিকতা ও মানসিকতা ধ্বংসের আয়োজন শুরু হয়ে গেছে। যদি এই দোকানটি গলির ভেতরে হয়;
তাহলে তো সেখানকার হট্রগোলের কারণে আশপাশের লোকদের খুবই সমস্যা হয়। অথচ কাউকে কষ্ট দেওয়াও ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী হারাম।
একারণে ক্যারামবোর্ডের দোকান পরিচালনাকারী জনগণকে কষ্ট দেয়ার এই গুনাহের মধ্যে সমান দোষী হবে। তার উপার্জনও পবিত্র হবে না।
আল্লাহর কাছে তাকে চরম অপরাধী হিসাবে দাঁড়াতে হবে।
তাই এ ধরণের জীবিকা থেকে তাওবা করা জরুরী। সেটি ছেড়ে কোনো হালাল জীবিকা গ্রহণ করা তার আবশ্যিক দায়িত্ব।
আরও পড়ুন:-
PUBG GAME খেলার শরঈ হুকুম
খেলার নামে শুরু হলো এ কোন খেলাঃমাওলানা আবু তাহের মিসবাহ
ষাঁড়ের লড়াই