(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)

মুহাররমের রোযার ফযীলত

মুহাররম মাসে সব ধরনের ইবাদতের ফজিলত অনেক বেশি। হাদীস শরীফে এ মাসে রোজা রাখার ব্যাপারে বিশেষভাবে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,

وافضل الصيام بعد شهر رمضان صيام شهر الله المحرم

(অর্থ) রমযানের রোযার পর সবচেয়ে উত্তম রোযা হলো আল্লাহ পাকের মুহাররম মাসের রোযা।

হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,

من صام يوما من المحرم فله بكل يوم ثلاثون يوما

(অর্থ) যে ব্যক্তি মুহাররম এর একদিন রোযা রাখবে তাকে একদিনের পরিবর্তে ত্রিশ দিন রোযা রাখার সওয়াব দেয়া হবে।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ মাসের সব দিন থেকে আশুরার দিন কে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করেছেন।

আশুরার দিনটি অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ একটি দিন। এই দিনটি নেকী অর্জন করার অতি উত্তম মাধ্যম।

কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

وصيام يوم عاشوراء احتسب على الله ان يكفر السنة التى قبله

(অর্থ) যে ব্যক্তি আশুরার দিন রোযা রাখবে আল্লাহ তাআলা তার পিছনের এক বছরের সগিরা গুনাহ মাফ করে দিবেন।

অন্য আরেক বর্ণনায় এসেছে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের রোযা এবং আশুরার রোজার খুব গুরুত্ব দিতেন।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু সূত্রে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

صوموا يوم عاشوراء وخالفوا فيه اليهود وصوموا قبله يوما او بعده يوما

(অর্থ) তোমরা আশুরার রোজা রাখো ও তার আগে বা পরে মিলিয়ে আরেকটি রোজা রেখে ইহুদিদের বিরোধিতা করো।

ইহুদিদের বিরোধিতা করার আদেশ

আল্লাহর রাসূল সাঃ মুসলিম জাতিকে ইহুদিদের বিপরীত আমল করে তাদের বিরোধিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

কেননা মহররমের দশ তারিখে ইহুদিরাও রোজা রাখে,

তাই মুসলিম উম্মাহকে আদেশ করা হচ্ছে আশুরার রোজার সাথে যেন নয় বা এগারো তারিখের রোজাও রাখা হয়।

যাতে করে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত এর উপর আমল হয়ে যায় এবং ইয়াহুদীদের বিরোধিতা করা হয়।

আরো পড়ুন 👉👉  মুহাররম মাসের ফজিলত,রেফার করলেই টাকা, মোবাইলের স্ক্রীনে কুরআন দৃশ্যমান থাকলে উহার বিধান