সময়ের হেফাজতে বুযুর্গদের ঘটনা
আল্লামা ইবনে জাওযী রহ. বলেন: আমাদের পূর্ববর্তী বুযুর্গগণ অযথা কালক্ষেপন করা থেকে বেঁচে থাকতেন।
হযরত ফুজাইল ইবনে ইয়াজ রহ. বলেন: আমি এমন লোকদের দেখেছি যারা এক জুমআ থেকে অন্য জুমআ পর্যন্ত বলা প্রতিটি কথা হিসাব করতে
পারতেন।
অর্থাৎ তারা এতই কম কথা বলতেন যা গণনার যোগ্য।
সালফে সালেহীনদের কয়েকজন এক বুযুর্গের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলেন।
পরিশেষে বিদায় নেয়ার সময় বললেন: হযরত!
আমরা এসে হয়তো আপনার কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছি।( যেমনটা আমরা সচরাচর বলে থাকি)
সে বুজুর্গ উত্তরে বললেন: সত্যি বলেছেন!
আমি পড়ছিলাম কিন্তু তোমাদের আসার কারণে আমার পড়া বন্ধ করতে হয়েছে।
এক আবেদ হযরত সুদ্দি রহ. এর নিকট গিয়ে
দেখতে পেলেন তার নিকট একদল লোক বসে আছে।
দেখে তিনি বললেন: আপনি তো কর্মহীন বেকার
লোকদের স্তুপে পরিণত হয়েছেন!
এ বলে তিনি রওনা দিলেন, তার নিকট বসলেন না।
একবার কিছু লোক হযরত মারুফ কারখি রহ. এর
দরবারে গেলেন। সেখানে তারা দীর্ঘ আলোচনায় লিপ্ত হলেন।
ফলে তিনি ভীষণ কষ্ট পাচ্ছিলাম।
কারণ সময় অবিরাম বয়েই চলছে। তাই একপর্যায়ে তিনি বলেই ফেললেন: সূর্যের দায়িত্বে নিযুক্ত ফেরেশতা সূর্যকে দ্রুত হাকিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অথচ
তোমরা এখনো উঠার ইচ্ছা করছে না!
সময় বাঁচাতে গিয়ে হযরত দাউদ রহ. ছাতু খেতেন আর বলতেন ছাতু খাওয়া এবং রুটি বানানোর
মাঝে সময়ের পার্থক্য এতই বিরাট যে, এর ভিতরে কুরআন শরীফের 50 টি আয়াত পাঠ করা যায়!
এক বুজুর্গ তার ছাত্রদের উপদেশ দিলেন যে,
পড়া শেষে বাড়িতে যাওয়ার সময় তোমরা বিক্ষিপ্তভাবে যাবে!
হতে পারে তোমাদের মধ্যে কেউ কোরআন
তেলাওয়াত করবে। পক্ষান্তরে যদি তোমরা একত্রে যাও তাহলে অহেতুক গল্প-গুজবে মূল্যবান সময় নষ্ট করবে।
ফলে যার কোরআন শরীফ পড়ার ইচ্ছে আছে তার পড়া হবেনা।
এ ছিল তাদের সচেতনতা।
আরও পড়ুন:
সময়ের গুরুত্ব সম্পর্কে কোরআনের ৫টি শিক্ষা
কিয়ামতের আলামতঃ দ্রুত সময় পার হওয়া
ছাত্রদের অলসতা দূর করার উপায়
ইসলাম কী