(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)

“শাহ আব্দুল আজিজ রহ. যখন সাড়ে তিনশো পৃষ্ঠার ফতোয়া দিয়ে বললেন- উপমহাদেশ দারুল হারব,
অর্থাৎ শত্রুকবলিত অঞ্চল এবং প্রত্যেক সাবালক মুসলমানের জন্য লড়াই করা ফরজে আইন হয়ে গেছে,
তখন মুসলিমগণ ইংরেজদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেন
ফলত উপমহাদেশে ইংরেজ শাসনের শুরুতেই টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হন আলিমরা।সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ রহ. এরপর বিদ্রোহ করেন।
তাঁর বিদ্রোহ ব্যর্থ হলে। পরবর্তীতে ১৮৫৮ এর মে তে হাজী ইমদাদুল্লাহ, মুফতি রশিদ আহমদ গঙ্গুহী,
হাফিজ জামান শহীদ কাসেম নানুতভি রহ. সহ শীর্ষ ত্রিশজন আলেম পুনরায় জিহাদের ডাক দেন।
ওলামা সিপাহি জনতার সেই জিহাদে দুই লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিলেন।
যাতে ১ লাখ ছিলেন সাধারণ জনগণ এবং কমপক্ষে ৫১ হাজারের অধিক ছিলেন উলামা।
যুদ্ধের পর মামলার প্রধান আসামিই ছিলেন আলেমগণ
বিচারের নামে প্রহসন করে হাজার হাজার আলেম ফাসি দেওয়া হয়।
এডওয়ার্ড থমাস দিল্লিতে একদিনে ৫০০ আলেমকে হত্যার কথা লিখেন।
শুধু বাঙলাতেই ৮০ হাজার মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
একদিকে ইংরেজ সরকার নানাভাবে হাজার হাজার আলেম হত্যার ফলে আলেমশূণ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, অপরদিকে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়।”
আরো পড়ুন , কারবালার সংক্ষিপ্ত প্রকৃত ইতিহাসঃ পর্ব ১, কারবালার সংক্ষিপ্ত প্রকৃত ইতিহাসঃ পর্ব ২,
কারবালার সংক্ষিপ্ত প্রকৃত ইতিহাসঃ পর্ব ৩, কারবালার সংক্ষিপ্ত প্রকৃত ইতিহাসঃ শেষ পর্ব