(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
পিতার খেদমত করার আশ্চর্য পরিনাম
হযরত তাউস রহঃ বলেন, একটি লোকের চারটি পুত্র ছিল। লোকটি অসুখে পড়িলে চার পুত্রের একজন বলল,
তোমরা যদি পিতার সম্পত্তির অংশ কিছুই গ্রহণ করিবে না এমন শর্তে পিতার দেখাশোনা করতে রাজি থাক তাহলে কর,
অন্যথায় অনুরূপ শর্তে আমি পিতার দেখাশোনা করব। ভাইয়েরা বলল তুমিই কর আমরা এমন শর্তে করিব না। সেই পুত্র পিতার সেবাযত্নে কোন ত্রুটি করিল না।
অসুখে লোকটি মারা গেল, শর্ত অনুযায়ী সেবাকারী পুত্র পিতার পরিত্যক্ত সম্পত্তির কোন অংশ গ্রহণ করিল না।
স্বপ্ন
রাতে সে স্বপ্নে দেখলো, একজন লোক তাকে বলিতেছে অমুক জায়গায় একশত দীনার মাটির তলায় লুকানো রহিয়াছে, তুমি তা গ্রহণ কর।
সে জিজ্ঞাসা করিল উহাতে কি বরকত আছে? লোকটি বলিল, না, উহাতে বরকত নাই।
সকালে স্ত্রীর নিকট স্বপ্নের বিবরণ বলিলে স্ত্রী দীনার গুলো খুজে বাহির করতে স্বামীকে পীড়াপীড়ি করতে লাগল।
কিন্তু সে স্ত্রীর কথা শুনলো না। পরদিন রাতে একই রকম স্বপ্ন দেখলো, কিন্তু এইবার অন্যত্র দশ দীনারের কথা বলা হইলো।
সে একইভাবে বরকতের প্রশ্ন তুলল। তাহাকে বলা হইলো উহাতে ও বরকত নাই। সকালে স্ত্রীর নিকট স্বপ্নের বিবরণ বলিলে স্ত্রী মুদ্রাগুলো তুলতে পীড়াপীড়ি করতে লাগল।
কিন্তু সে মানল না। তৃতীয় রাতেও স্বপ্ন দেখল, এইবার পূর্বোক্ত ব্যক্তি তাহাকে একটি স্বর্ণমুদ্রা মাটির তলা হইতে খুড়িয়া লইবার স্হান নির্দেশ করতেছিল,
লোকটি বরকতের প্রশ্ন তুলিল, এইবার তাহাকে বলা হইলো উহাতে বরকত হইবে। লোকটি সেই স্বর্ণমুদ্রা তুলিয়া বাজারে যাইয়া দুইটি মাছ ক্রয় করিল।
পিতার খেদমতের উপকার
বাড়িতে আসার পর সেই মাছের পেটে এমন অপরূপ দুইটি মুক্তা পাওয়া গেল, যা ইতিপূর্বে কেহ দেখেনি।
বাদশাহ তাহার নিকট হইতে দরকষাকষি করে দশটি খচ্চর বোঝাই স্বর্ণের বিনিময়ে সেই দুইটি ক্রয় করিলেন। (সুবহানাল্লাহ)
আরো পড়ুন 👇👇👇
পিতা মাতার সেবা করা উচ্চস্তরের ইবাদত, পিতা-মাতার হক ১৪টি, কিয়ামতের আলামত পিতাকে দূরে টেলে দিয়ে বন্ধুদের কাছে আনা