Breaking News
Home / ইসলাম ধর্ম / শরীয়তের দৃষ্টিতে মেরাজ রজনীর আমল

শরীয়তের দৃষ্টিতে মেরাজ রজনীর আমল

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)

Night of miraj by M.afjol
Night of miraj by M.afjol

কোরআন-হাদিসের দৃষ্টিতে রজব স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ মাসের অনেক ফজিলত রয়েছে। আ চান্দ্রবর্ষের সপ্তম মাস রজব।

 

রজব মাসের পূর্ণ নাম হলো ‘আর রজব আল মুরাজজাব' বা ‘রজবুল মুরাজ্জাব'। ‘রজব' অর্থ ‘সম্ভ্রান্ত', ‘প্রাচুর্যময়', ‘মহান'।

 

 

আয়াতে উল্লিখিত সম্মানিত মাস চারটি; যথা- জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব।

 

আরবিতে এই চারটি আশহুরুল হারাম বলা হয়। রজব হলো এগুলোর অন্যতম মাস।

 

রজব অর্থ হলো সম্মানিত। এ মাসের অনন্য গুরুত্ব রয়েছে। হাদিস শরিফে আছে, হজরত আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত।

 

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ১২ মাসে এক বছর। এর মধ্যে চারটি সম্মানিত।

 

তিনটি ধারাবাহিক যথা- জিলকদ, জিলহজ ও মহররম অপরটি রজব।

 

ের রাত মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ একটি রাত।

 

এই রাতে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) হযরত জিব্রাঈল (আ.) এর সঙ্গে পবিত্র কাবা হতে ভূ-মধ্যসাগরের পূর্ব তীর

 

ফিলিস্তিনে অবস্থিত পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে সত্তর হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে

 

আরশে আজিমে মহান তাআলার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত ের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন।

 

তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা মেরাজ।

 

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছাড়া অন্য কোনো নবী এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি।

আর এ কারণেই তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী।

 

শবে মেরাজ উপলক্ষে বিশেষ কোনো ের কথা শরীয়তে উল্লেখ করা হয়নি

 

তারপরও এ রাতে ধর্মপ্রাণ মানুষ বিশেষ ইবাদত বন্দেগিতে লিপ্ত থাকতে পছন্দ করেন।

 

বিশেষত এ রাতকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মসজিদে কিংবা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল

 

অনুষ্ঠানের আয়োজন করার প্রথা বহুদিন যাবত্ চলে আসছে। অনেকে এ উপলক্ষে নফল রাখেন। তাসবীহ-তাহলীল করেন।

 

উম্মে সালমা (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) রমজান মাস ছাড়া সবচেয়ে বেশি রোজা পালন করতেন শাবান মাসে, অতঃপর রজব মাসে।

 

হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, ‘যখন রজব মাস আসত, তা আমরা নবীজি (সা.)–এর আমলের আধিক্য দেখে বুঝতে পারতাম।

 

' কোনো কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায়, নবীজি (সা.) রজব মাসে ১০টি রোজা রাখতেন, শাবান মাসে ২০টি রোজা রাখতেন; রমজান মাসে ৩০টি রোজা রাখতেন। (দারিমি)।

 

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রজব হলো আল্লাহর মাস, শাবান হলো আমার (নবীজির) মাস; রমজান হলো আমার উম্মতের মাস।'

 

(তিরমিজি)। ‘যে ব্যক্তি রজব মাসে (ইবাদত দ্বারা) খেত চাষ দিল না এবং শাবান মাসে (ইবাদতের মাধ্যমে) খেত আগাছামুক্ত করল না;

 

সে রমজান মাসে (ইবাদতের) ফসল তুলতে পারবে না।' (বায়হাকি)।

 

রজব মাসের বিশেষ আমল হলো বেশি বেশি নফল রোজা রাখা।

 

বিশেষত প্রতি সোমবার, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং মাসের ১, ১০; ১৩, ১৪, ১৫; ২০, ২৯, ৩০ তারিখ রোজা রাখা।

 

অধিক হারে নফল নামাজ পড়া। বিশেষ করে তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত-দোহা, জাওয়াল,

 

আউয়াবিন; তাহিয়্যাতুল অজু, দুখুলুল মাসজিদ ইত্যাদি আদায় করা।

 

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রত্যেক নামাজে এ দোয়ার মাধ্যমে রজব ও শাবান মাসে রবকত লাভের পাশাপাশি

 

রমজান মাসের রহমত বরকত মাগফিরাত ও নাজাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরো পড়ুন 👉মুমিনের নিদ্রা যাপন, আপনার মৃত্যু আসার আগে চিন্তা করুন, পিতা মাতার সেবা করা উচ্চস্তরের ইবাদত

About আবদুল্লাহ আফজাল

হাফিজ মাওঃ মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আফজাল। ২০১২ সনে হিফজ সম্পন্ন করেন। উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন২০১৬ সনে। দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন ২০২০ সনে। ঠিকানা: বালাগঞ্জ, সিলেট। মোবাইল নাম্বার: 9696521460 ইমেইল:hafijafjal601@gmail.com সকল আপডেট পেতে এবং ওয়েবসাইটে লিখা পাঠাতে ফেসবুক পেজ👉MD AFJALツ ফলো করুন।

Check Also

অধিক হারে ইস্তেগফারের ফজিলত

ইস্তেগফারের ফজিলত

হামদ ও সালাতের পর… রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যত ভালো কাজ শিক্ষা দিয়েছেন, তাতে …

Powered by

Hosted By ShareWebHost