(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
ঘুম আল্লাহ্ তা'আলার অনেক বড় নি'আমত। বান্দার প্রতি আল্লাহ্ তা'আলার এক বিশেষ অনুগ্রহ ও দান।
সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য ঘুমের বিকল্প নেই
শারীরিক-মানসিক ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে এই পৃথিবীতে আল্লাহ তাআলা ঘুমকে অন্যতম প্রধান মাধ্যম বানিয়েছেন।
আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন
*وَجَعَلْنَانَوْمَكُمْ سُبَاتًا،وَّجَعَلْنَاالَّیْلَ لِبَاسًا.*
*(তরজমা :)* আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী। রাত্রিকে করেছি আবরণ। *[সূরা নাবা : ৯-১০]*
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে
وَهُوَالَّذِیْ جَعَلَ لَكُمُ الَّیْلَ لِبَاسًاوَّالنَّوْمَ سُبَاتًاوَّجَعَلَ النَّهَارَنُشُوْرًا.
*(তরজমা :)* তিনিই তোমাদের জন্যে রাত্রিকে করেছেন আবরণ,
নিদ্রাকে বিশ্রাম এবং দিনকে করেছেন বাইরে গমনের জন্যে। *[সূরা ফুরকান : ৪৭]*
দিনভর ক্লান্তিকর চলাফেরার পর মানুষ যখন নিস্তেজ হয়ে পড়ে; কর্মক্ষম মানুষ অক্ষম হয়ে পড়ে,
শক্তিমান মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে, সে সময় এ নিআমতই হয়ে ওঠে তার একমাত্র অবলম্বন,
যার মাধ্যমে সে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি লাভ করে। ফিরে পায় পরবর্তী দিবসের জন্যে নতুন প্রাণশক্তি ও নবতর উদ্যম।
কোনো ব্যক্তি যত প্রখর মেধারই অধিকারী হোক, যত শক্তিশালীই হোক-কেবল দু-একটি রাত বিনিদ্র কাটলে বা নিয়মতান্ত্রিক ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে মেধাশক্তি অকেজো হয়ে যায়।
আচার-আচরণে, চলা-ফেরায় এবং কথাবার্তা ও কাজেকর্মে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।
বস্তুত এ নিআমতের কদর সে-ই সর্বাধিক বুঝতে পেরেছে, যার রাত কাটে নিদ্রাহীন;
বিভিন্ন ব্যবস্থাপত্র গ্রহণের পরও আরামের বিছানায় এপাশ ওপাশ করে যার রাত ভোর হয়।
আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি, আল্লাহ্ তা'আলার কী মহান নি'আমত নিয়মিত ভোগ করে যাচ্ছি? অবিরত তাঁর কত বড় অনুগ্রহ লাভ করে যাচ্ছি!
কুরআন মাজীদে ঘুমকে বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলার রহমতের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেছেন
و هو الذي جعل لكم اليل لباسا و النوم سباتا و اجعل النهار نشورا
*(তরজমা :)* তিনিই স্বীয় রহমতে তোমাদের জন্যে রাত ও দিন করেছেন,
যাতে তোমরা তাতে (রাতে) বিশ্রাম গ্রহণ কর ও (দিনে) তার অনুগ্রহ অন্বেষণ কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। *[সূরা ক্বাসাস : ৭৩]*
আরো পড়ুন 👉শেষ প্রার্থনা, আপনার মৃত্যু আসার আগে চিন্তা করুন, পিতা মাতার সেবা করা উচ্চস্তরের ইবাদত, বিয়ে থেকে বিরত থাকা কি ইসলাম সমর্থন করে