(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
খুব আদরে বড় হয়েছি আমরা
সামান্য একটু হাত কেটে গেলে, একটু পুড়ে গেলে, একটু ব্যথা পেলেই অস্থির হয়ে যাই, কান্না ও করি।
অথচ চিন্তাও করিনা আল্লাহর অবাধ্য বান্দা হয়ে মৃত্যু-বরণ করলে আমার এই সুন্দর দেহ টা জাহান্নামে কত কাটাকুটি হবে,
কত পুড়াপুড়ি হবে, কত আঘাতের পর আঘাত এসে থেঁতলে দিবে নরম শরীর টাকে!
ইশশশ! চোখ বন্ধ করলে কি চোখের ক্যানভাসে ভেসে উঠেনা শাস্তির সে বিভৎস রূপ?
জীবনের প্রতি অনেক মায়া আমাদের
হাঁটা চলায় একটা সাইকেল সামনে এসে ব্রেক কষলেও ভয়ে-আতংকে কলিজা শুকিয়ে কাঠ!
অথচ চিন্তা করিনা বদকারের মৃত্যুর কি ভয়াবহ রূপ বর্ণিত হয়েছে।
রূহ টা মালাকুল মওত কে দেখে ছুটোছুটি করতে থাকবে, বের হবেনা আজ সে…
সে জানে.. বের হলে আর রক্ষা নেই তার। তওবার দরজা ও যে বন্ধ হয়ে গেছে তার জন্য! ক্ষমার কোন আশা নেই আর।
অথচ দিনের পর দিন গুনাহ করে যাওয়া তারও কখনো কখনো মনে হয়েছে তওবা করার কথা। কিন্তু সময় আছে..
পরেও তওবা করা যাবে ভেবে কখনো আর করা হয়নি। আজ আর কোন সুযোগ নেই তার।
ইশশশশ…. শরীর থেকে টেনে হেঁচড়ে রূহ টাকে আলাদা করবে নির্দয় মালাকুল মওত ঠিক যেমন করে মুরগীর দেহ থেকে চামড়া টেনে ছেঁড়া হয়।
খাবার-দাবারে কত রুচিশীল, ভোষনপ্রিয় আমরা
বাজারের বড় মাছ, তাজা বিফ, চিকেনের রান টা কতই না সুস্বাদু!
অথচ ভেবে দেখি না শূন্য আমলনামায় আমি যখন জাহান্নামের কয়েদী হব আমার জন্য কি ভয়ংকর সব খাবার পরিবেশন করা হবে!
বিষাক্ত, দূর্গন্ধময়, উত্তপ্ত গরম পানি পান করতে দেয়া হবে
সদ্য শাস্তি প্রাপ্ত ভয়ার্ত পিপাসার্ত জাহান্নামী সে পানি পানি করা মাত্র মুখের মাংস গলে নীচে পড়ে যাবে (মুস্তাদরাক হাকিম),
আর পানীয়ের যে অংশ টুকু পেটে যাবে তা নাড়ি ভুঁড়ি গলিয়ে পায়ে এনে ফেলবে (তিরমিযী)।
সুন্দর এই মুখ খানার কত যত্ন
নিয়মিত এই প্যাক সেই প্যাক, মাসে মাসে ফেসিয়াল, টোনার, ময়শ্চারাইজার, ফেসপাউডার,প্যানকেক আরও কত কি!
চেহারা টা আরেকটু আকর্ষনীয় করতে ভ্রু প্লাক, আইলাইনার, কাজল, মাশকারা, লিপস্টিক, কপালের মাঝ বরাবর মানানসই একটা টিপ আরও কত কি!
অথচ একবার ভেবে দেখি না আমার এই বেপর্দা প্রদর্শনের জন্য কি শাস্তি অপেক্ষা করছে আমার জন্য!
সূরা ইবরাহিমের ৫০তম “আয়াতে বলা হয়েছে ‘….. সেদিন অগ্নি আচ্ছন্ন করবে তাদের মুখমন্ডল।'
জাহান্নামে শাস্তি যখন তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকবে তখন জাহান্নামবাসি আফসোস করে বলতে থাকবে,
“হায়! আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।” (সূরা নাবাঃ৪০)।
“যেদিন তাদের মুখমন্ডল অগ্নিতে উলট-পালট করা হবে সেদিন তারা বলবে,
হায়! আমরা যদি আল্লাহ কে মানতাম, তাঁর রাসূল কে মানতাম।” (সূরা আহযাবঃ৬৬)
সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি…
এখনো তওবার দরজা খোলা। একটা আন্তরিক তওবা বদলে দিতে পারে আমার ইহকাল, আমার পরকাল..
একটা তওবা আমাকে বাঁচিয়ে দিতে পারে জ্বলন্ত অগ্নিতে কয়লা হওয়া থেকে।
একটা তওবা কমিয়ে দিতে পারে আমার মৃত্যুর যন্ত্রনা।
একটা তওবা বদলে দিতে পারে আমার চিরস্থায়ী খাবারের মেন্যু।
একটা তওবা.. শুধু একটা আন্তরিক তওবা… শুধু একটা গুনাহ না করার অঙ্গীকার আমার দুনিয়া এবং আখিরাত কে বদলে দিতে পারে।
রহমানুর রহিম আল্লাহ তো অপেক্ষাতেই আছেন কখন বান্দা তওবা করবে আর তিনি তওবাকারীর প্রতি কৃত ওয়াদা পূরণ করবেন।
” কেউ একজন দাঁড়িওয়ালা ছেলেকে বিয়ে করতে চায় না।
-আবার কেউ একজন দাঁড়িওয়ালা ছেলে ছাড়া বিয়ে করতে চায় না।
-কেউ একজন দ্বীনদার ছেলে ছাড়া বিয়ে করতে চায় না।
আবার কেউ একজন স্মার্ট সুন্দর ছেলে ছাড়া বিয়ে করতে চায় না।
-কেউ একজন শুধুই দ্বীনধারীতাকে প্রাধান্য দিয়ে বিয়ে করতে চায়।
-আবার কেউ একজন সরকারী চাকরিজীবী অর্থ সম্পদ, স্মার্টনেস, রুপ সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিয়ে বিয়ে করতে চায়।
-কেউ একজন সম্পুর্ন ইসলামীক শরীয়াহ্ সম্মতভাবে বিয়ে করতে চায়।
-আবার কেউ একজন বিয়েতে মদের পার্টি, ডান্স, উচ্চস্বরে গান, ছবি তোলা, ভিডিও করা,
ছেলে বন্ধুদেরকে আমন্ত্রণ করে তাদের সাথে ফস্টিনস্টি করে বিয়ে করতে চায়।
-কেউ একজন বিয়েতে সুন্নাহ্ মোতাবেক বোরকা, হাতমোজা, পা মোজা পরিধান মাহরাম, গায়রে মাহরাম মেইনন্টিং করে বিয়ে করতে চায়।
-আবার কেউ একজন বিয়েতে শরীরে হলুদ মরিচ মেখে, লাল শাড়ী কালো শাড়ী পড়ে বিউটি পার্লার থেকে খুব সুন্দর ভাবে সাজুগুজু করে বিয়ে করতে চায়।
–
ইহা থেকেই হালাল হারাম স্পস্ট হয়ে যায়
দ্বীনদার আর দ্বীনহীন এর মাঝে পার্থক্য হয়ে যায়।
-ভালো দ্বীনদার মুসলিম মেয়ে, আর খারাপ মেয়েগুলার মাঝে পার্থক্য হয়ে যায়।
-প্রকৃত মুসলিম আর অপকৃত মুসলিমের মাঝে পার্থক্য হয়ে যায়।
-ভালো মুসলিম পরিবার আর খারাপ মুসলিম পরিবারের মাঝে পার্থক্য হয়ে যায়।
-মুমিন আর মুনাফিকের মাঝে পার্থক্য হয়ে যায়
হালাল বিয়ে আর হারাম বিদ'য়াতী বিয়ের মাঝে পার্থক্য হয়ে যায়।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহীহ্ বুঝ দান করুক।
আরো পড়ুন 👉মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা প্রসঙ্গে, মৃত্যুর সময় কেমন মনে হয়, Late marriage বা বিলম্বে বিবাহ