(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
শরী‘আতের আক্বীদা বিরুদ্ধ কয়েকটি লক্ষণ ও কু-লক্ষণের তালিকা
(1)হাতের তালু চুলকালে অর্থকড়ি আসবে মনে করা।
(2)চোখ লাফালে বিপদ আসবে মনে করা।
(3)কুত্তা কান্নাকাটি করলে রোগ বা মহামারী আসবে মনে করা।
(4)এক চিরুনিতে দু জন চুল আঁচড়ালে এই দু জনের মাঝে ঝগড়া লাগবে মনে করা।
(5)কোন বিশেষ পাখি ডাকলে মেহমান আসবে মনে করা।
(6)যাত্রাপথে পেছন থেকে কেউ ডাকলে যাত্রা খারাপ হবে মনে করা।
(7)যাত্রা পথে হোঁচট খেলে বা মেয়র দেখলে বা কাল কলসি দেখলে কিংবা বিড়াল দেখলে-কু-লক্ষণ মনে করা।
(8)অমুক দিন যাত্রা নাস্তি, অমুক দিন ভ্রমণ নাস্তি ইত্যাদি বিশ্বাস করা। মোটকথা কোন দিন বা কোন মুহূর্তকে অশুভ মনে করা।
(9)যাত্রার মুহূর্তে কেউ তার সামনে হাঁচি দিলে কাজ হবে না-এমন বিশ্বাস করা।
(10)পেঁচা ডাকলে ঘরবাড়ি বিরান হয়ে যাবে মনে করা।
(11)জিহ্বায় কামড় লাগলে কেউ তাকে গালি দিচ্ছে মনে করা।
(12)চড়ুই পাখিকে বালুতে গোসল করতে দেখলে বৃষ্টি হবে মনে করা।
(13)দোকান খোলার পর প্রথমেই বাকি দিলে সারা দিন বাকি বা ফাঁকি যাবে মনে করা।
(14)কোনো লোকের আলোচনা চলছে, এই ফাঁকে বা এর কিছুদিন পরে সে এসে পড়লে এটাকে তার দীর্ঘজীবী হওয়ার লক্ষণ মনে করা।
(15)কোন ঘরে মাকড়সার জাল বেশি হলে সেই ঘরের মালিক ঋণগ্রস্ত হয়ে যাবে মনে করা।
(16)আসরের পর ঘর ঝাড়ু দেয়াকে খারাপ মনে করা।
(17)ঝাড়ু দ্বারা বিছানা পরিস্কার করলে ঘর উজাড় হয়ে যাবে মনে করা।
(18)কোন বাড়িতে বাচ্চা মারা গেলে সে বাড়িতে গেলে নিজের বাচ্চা মারা যাবে মনে করা।
(19)ঝাড়ুর আয়াত লাগলে শরীর শুকিয়ে যাবে মনে করা।
(20)কোন প্রাণী বা প্রাণীর ডাককে অশুভ বা অশুভ লক্ষণ মনে করা।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এ ধরণের আরো অনেক ভুল বিশ্বাস আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে।
সেসব থেকে মাত্র কয়েকটি এখানে বাছাই করে উল্লেখ করা হল।
এসব নেয়া হয়েছে “আগলাতুল আওয়াম” গ্রন্থ থেকে।
আরো পড়ুন 👉মিসওয়াকের স্থলে টুথপেষ্ট এবং ব্রাশ ব্যবহার,
গোপন গুনাহের অভ্যাস মানুষকে ধ্বংস করে দেয়, ছেলেরা মেয়েদের সাথে চ্যাট করা যায়েজ হবে কি