(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
প্রশ্নঃ আমি ২৫-২৬ বছরের যুবক। বিয়ের খুব প্রয়োজন। পরিবারের সচ্ছলতাও আছে।
হেকমতের সাথে মাতা-পিতাকে বিয়ের ব্যাপারে বলার পর তারা কিছুটা চেষ্টাও করেছেন, মেয়েও খুজেছেন।
শেষ পর্যন্ত বিভিন্নজনের বিভিন্ন কথা শুনে এ কথা বলে দিয়েছেন, লেখাপড়া শেষ হোক, চাকরি হোক, তারপর বিয়ে শাদী।
অথচ আমার জন্য এত সময় ধৈর্য্য ধরা খুবই কঠিন। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কী?
উত্তরঃ সন্তানের লালন পালন, শিক্ষা দীক্ষা ও শরীয়তের আদেশ নিষেধ জানা ও মানার ব্যাপারে দেখাশোনা করা
মাতা-পিতার দায়িত্ব, তেমনি ছেলে বিয়ের উপযুক্ত হলে সাধ্যানুযায়ী বিয়ের ব্যাপারে সহযোগিতা করাও মাতা-পিতার দায়িত্ব।
বিয়ে না করলে গোনাহে লিপ্ত হওয়ার আশংকা হলে বিয়ে করা জরুরি হয়ে পড়ে। এরূপ অবস্থায় মাতা পিতার সাধ্য থাকা সত্ত্বেও
সহযোগিতা না করলে ছেলের পাপে মাতা পিতাও শরীক হয়ে যাবে বলে হাদীসে উল্লেখ রয়েছে।
হাদীসের এ রকম স্পষ্ট ঘোষনা জানার পরও কোন সামর্থ্যবান ব্যক্তি ছেলেকে বিপথগামী হতে দেবে এবং নিজের ছেলের পাপে শরীক হবে বলে মনে হয় না।
প্রশ্নের বর্ণনা মতে, আপনার পিতা মাতার জন্য বিয়ের ব্যাপারে আপনাকে সহযোগিতা করা জরুরি।
হিকমতের সাথে আবারো তাদের বোঝানোর চেষ্টা করবেন। তারা কোনভাবে রাজী না হলে এবং আপনি নিজেও কোনভাবে বিয়েতে
অগ্রসর হতে না পারলে হাদীসে পাকে রোযা রেখে উত্তেজনা নিবারণের নির্দেশ এসেছে। এ নির্দেশ পালনে সচেষ্ট হতে পারেন।
(কপিঃ ফাতওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত ৬ নং খন্ড, পৃষ্ঠা নং ২৬)
আরো পড়ুন 👇👇
বিবাহের পূর্বে যে সাতটি প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি, বিবাহের কিছু অবৈধ নিয়ম, মোবাইল বা টেলিফোন কিংবা চিঠির মাধ্যমে বিবাহ শাদীর হুকুম