Breaking News
Home / ইসলাম ধর্ম / কাফেরদের অনুসরণে আল্লাহর গজব

কাফেরদের অনুসরণে আল্লাহর গজব

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)

কাফেরদের অনুসরণে আল্লাহর গজব

যে সকল বিষয়ে মুসলমানরা কাফেরদের অনুসরণ করে আল্লাহ তা‘আলার গযবে পতিত হয়

আল্লাহ তা‘আলা মানবজাতিকে প্রেরণের সাথে সাথে হেদায়াতের জন্য নাযিল করেছেন অসংখ্য কিতাব।

পাঠিয়েছেন তাঁর মনোনীত অসংখ্য নবী-রাসূল আ.। সে হিসাবে আমাদের পবিত্র কুরআন হচ্ছে আমাদের কিতাব

এবং মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন আমাদের রাসূল।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, মুহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ।

বাস্তবিক পক্ষেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের জন্য অনুপম আদর্শ।

তাঁর অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে আমাদের সফলতা ও কল্যাণ। তিনি আমাদেরকে কোন জাতির করুণার উপর ছেড়ে যাননি।

বরং ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় জীবন পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে রেখে গেছেন উন্নত আদর্শ। -সূরা আহযাব; াত ২১

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো

আজ মুসলিম জাতি তাদের স্বকীয়তা ভুলে গিয়ে বিজাতিদের অনুসরণে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছে যে, পার্থক্য করারও উপায় নেই যে,

তারা কোন্ জাতি? অথচ আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন, তোমরা ইয়াহুদী-খ্রিস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ কোরো না। -সূরা মায়েদা; আয়াত ৫১

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,

যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে হাশরের ময়দানে সে তাদের সাথেই থাকবে। -মুসনাদে আহমাদ; হাদীস ৫১১৫

সম্মানিত পাঠক!

আমরা কোন্ কোন্ দিক দিয়ে ইয়াহুদী-নাসারাদের অনুসরণ করছি তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নীচে পেশ করা হলো,

যেন আমরা তা থেকে বিরত থাকতে পারি। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত অনুসরণ করার

তাউফীক দান করুন এবং বিধর্মীদের অনুসরণ থেকে হেফাযত করুন। আমীন।

মুসলমান পুরুষরা যে সকল বিষয়ে কাফের মুশরিকদের অনুসরণ করছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

👉 কোট-প্যান্ট ও টাই পরা।

👉টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে কাপড় পরা।

👉পাঞ্জাবির সাথে ওড়না পরা।

👉হাফপ্যান্ট পরা।

👉ধুতি পরিধান করা।

 

👉হাতে চুড়ি জাতীয় বস্তু পরা।

👉স্বর্ণের অলংকার ও আসবাব-পত্র ব্যবহার করা।

👉অভিনেতা বা িব্রেটিদের স্টাইলে চুল কাটা।

 

👉দাড়ি মুণ্ডানো বা স্টাইল করে কাটা এবং মোচ বড় রাখা।

👉দাঁড়িয়ে পেশাব করা।

বিবাহের পূর্বে ‘গার্লফ্রেন্ড' বানানো

 

👉গলায় চেইন পরাসহ বিভিন্ন দিক দিয়ে নারীর সাদৃশ্য অবলম্বন করা।

আমাদের মুসলমান মা বোনেরা যে সকল বিষয়ে কাফের মুশরিকদের অনুসরণ করছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

 

👉টাইটফিট কাপড় ও পাতলা কাপড় পরা।

👉চুড়ি না পরা এবং হাতে মেহেদী না দেয়া।

👉কপালে টিপ দেয়া।

 

👉অফিস, ব্যাংক ও মার্কেটের রিসিপশনের দায়িত্ব পালন করা।

👉পুরুষদের সঙ্গে চাকরী করা।

👉পণ্যের বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া।

বিবাহের পূর্বে ‘বয়ফ্রেন্ড' বানানো।

 

👉পুরুষদের সাদৃশ্য অবলম্বন করত: তাদের মত প্যান্ট-শার্ট পরা, ঘাড় পর্যন্ত বাবরী রাখা, চুলে বব কাটিং দেয়া।

👉নখ বড় রাখা।

শ্রেণীবিশেষের এ অনুকরণের পাশাপাশি সম্মিলিত মুসলিম সমাজও আজ পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণে বিভ্রান্ত হয়ে আছে।

এ সকল বিভ্রান্তির মধ্যে অন্যতম কয়েকটি বিভ্রান্তি হলো

👉একান্ত প্রয়োজন ব্যতীত চেয়ার-টেবিলে খানা খাওয়া বা খাওয়ার অভ্যাস করা।

👉বাম হাতে খাওয়া বা পান করা।

👉চামচের প্রয়োজন নেই- এমন জায়গায় চামচ দিয়ে খাওয়া।

 

👉খাবারের শেষে প্লেট চেটে খাওয়াকে অভদ্রতা মনে করা এবং প্লেটে খাবারের কিছু অংশ রেখেই উঠে যাওয়া।

👉অভিনেতা-অভিনেত্রী, খেলোয়াড় ও সঙ্গীত শিল্পীদের ওয়ালা বা শার্ট পরিধান করা।

👉বেপর্দা ও গান-বাজনাসহ বিবাহের অনুষ্ঠান করা।

👉বিয়েতে গায়ে হলুদ ও ‘বধূবরণ' অনুষ্ঠান করা।

👉ক্রুশের ছবিওয়ালা পণ্য ব্যবহার করা।

👉শখ করে কুকুর পালা।

 

👉শোক প্রকাশে নীরবতা পালন করা।

👉মাযারে বা প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা।

👉মাযারে মোমবাতি জ্বালানো ও আলোকসজ্জা করা। ফুল দেয়া, সিজদা করা, মান্নত করা, প্রার্থনা করা।

বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেয়া ও মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালানো।

👉মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা।

👉জন্মবার্ষিকী, মৃত্যুবার্ষিকী, শোক দিবস, বার্থডে, ম্যারেজ ডে,

থার্টিফার্স্ট নাইট, পহেলা বৈশাখ, নববর্ষ, ভালোবাসা দিবস, হোলি উৎসব ইত্যাদি পালন করা।

👉ে-বাইরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভাস্কর্য বা মূর্তি স্থাপন করা বা সাজিয়ে রাখা।

👉আল্লাহ না বলে ‘সৃষ্টিকর্তা', ‘গড', ‘ভগবান' বা ‘ঈশ্বর' বলা।

👉বিশেষ কোন উপলক্ষে কেক কাটা ও উইশ করা। হাই-হ্যালো, ওকে, টাটা,

গুডবাই, গুডমর্নিং ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সাক্ষাত ও বিদায়ী সম্ভাষণ জানানো।

মুসাফাহার পরিবর্তে ‘হ্যান্ডশেক' করা

👉বড় ভাইকে ‘দাদা' বলে সম্বোধন করা।

👉কে ‘বেবি কেয়ারে' রেখে আসা। বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো।

👉ধর্মহীন শিক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং দীনী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকা। সহশিক্ষা গ্রহণ করা।

আরো পড়ুন 👇

ইসলামে নামাজের গুরুত্ব, রাসূল সা: কে অনুসরণ করার সঠিক পদ্ধতি, যার ভালবাসা ছাড়া মু'মিন হওয়া সম্ভব নয়

About আবদুল্লাহ আফজাল

হাফিজ মাওঃ মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আফজাল। ২০১২ সনে হিফজ সম্পন্ন করেন। উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন২০১৬ সনে। দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন ২০২০ সনে। ঠিকানা: বালাগঞ্জ, সিলেট। মোবাইল নাম্বার: 9696521460 ইমেইল:hafijafjal601@gmail.com সকল আপডেট পেতে এবং ওয়েবসাইটে লিখা পাঠাতে ফেসবুক পেজ👉MD AFJALツ ফলো করুন।

Check Also

কেন মানুষের অন্তর কঠোর হয়

যেসব কারণে অন্তর শক্ত হয়

কলব মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে। সুস্থ কলব মানুষকে কল্যাণের পথদেখায়। আর অসুস্থ কলব মানুষকে কুপথে নিয়ে …

Powered by

Hosted By ShareWebHost