Breaking News
Home / ইসলাম ধর্ম / বিবাহের পূর্বে যে সাতটি প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি

বিবাহের পূর্বে যে সাতটি প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)

বিবাহের পূর্বে প্রস্তুতি হিসেবে জেনে রাখা জরুরি

একজন বিবাহেচ্ছুক ব্যক্তি যখন সঠিক ভাবে এই সকল প্রস্তুতি মূলক কাজ করেন।

আশা করা যায় আল্লাহ তাআলা তাকে একজন উত্তম জীবনসঙ্গিনী দান করবেন।

এখানে সাতটি প্রস্তুতির কথা আলোচনা করা হয়েছে।

প্রথমতঃ  যিনি বিবাহ করবেন তিনি সবধরনের পাপ কাজ থেকে মুক্ত থা

আমরা সবাই চাই, যিনি জীবনসঙ্গিনী হিসেবে আসবেন,তিনি ফেরেশতার মত হোন।

যদি আমরা তা-ই চাই, তাহলে নিজেকে সর্বাগ্রে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

কারণ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের একটা সাধারণ হল ,ভালো মানুষের সাথে ভালো মানুষ মিলিয়ে দেন।

যদিও এর ব্যতিক্রম কখনো দেখা যায়। সেটা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পরিক্ষার জন্য করে থাকেন।

যেমন আমাদের সকলের জানা আছে, ফেরাউনের মত একজন নিকৃষ্ট ব্যক্তির স্ত্রী ছিলেন,নেককার ভালো একজন রমণী হযরত আসিয়া।

আবার নূহ আঃ ও লূত আঃ এর মত পবিত্র ব্যক্তির স্ত্রী ছিলেন বদকার খারাপ রমণী।

পবিত্র কুরআনে তাদের উদাহরণ  সুরা তাহরীমে  বর্ণিত হয়েছে।

অতএব কেউ নিজে ভালো হলে তার স্ত্রী অবশ্যই ভালো হবেন এরকম দৃঢ়সংকল্প যাতে কেউ না করেন।

তবে সাধারণ অবস্থায় আমি নিজে ভালো হওয়ার চেষ্টা করব,

সে হিসেবে  আল্লাহ তাআলা আমাকে ভালো জীবনসঙ্গিনী দান করবেন এ আশাও করতে পারি।

দ্বিতীয়ত  বিবাহের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে যে কাজটি করতে হবে তাহল,

আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট সাধারণভাবে দোয়া করতে হবে।

যেন তিনি আমাদেরকে ভালো জীবনসঙ্গিনী দান করেন।

আর বিশেষভাবে সুরা ফুরকানের ৭৪নং আয়াতের শেষ অংশটা বেশি বেশি করে করতে হবে।

-সন্ধ্যা, উঠতে-বসতে, সবসময় কোন সংখ্যা নির্ধারণ না করে দোয়ার অংশটি বেশি থেকে বেশি পাঠ করতে হবে।

দোয়াটি হল এই

ربنا هبلنا من ازواجناوذرياتنا قرة اعين وجعلنا للمتقين اماما

দোয়ার অর্থ হল  প্রভূ হে আমার! আমাদের স্ত্রী,সন্তানদের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য চোখের শিথিলতা দান, আর আমাদেরকে মুত্তাকিদের ইমাম বানাও।

তৃতীয়ত  বিবাহের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে যেকাজটি করতে হবে তা হলো,

এমন একজন জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী বেছে নিতে হবে

যার ভিতরে দ্বীনদারী আছে,তাকওয়া আছে,অল্পেতুষ্টি আছে,যার ভিতরে দুনিয়ার মোহ নাই।

এমন একজন মানুষকে জীবনসঙ্গি হিসেবে বেছে নিতে হবে।

আজকাল আমরা প্রত্যেকটা মানুষ ছেলে কিংবা মেয়ে হোক বিবাহের ক্ষেত্রে ছেলেরা চান রূপ এবং লাবণ্য থাকে, সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দেন।

আবার মেয়েরা দেখা যায় দের অর্থকরী বেশি ের সহিত দেখেন।অথচ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

فاظفر بذات الدين  বিবাহের ক্ষেত্রে দ্বীনদারী কে প্রাধান্য দিতে।

এবং দ্বীনদার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী পেতে চেষ্টা করবে। কারণ এটাই পকৃত সুখ,এটাই পকৃত সমৃদ্ধি।

অতএব জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর ক্ষেত্রে এমন একজন বাছাই করবে যার মধ্যে দুনিয়ার মোহ থাকবে না।দুনিয়ার লোভ থাকবে না।

তাহলে ইনশাআল্লাহ অনেক অনাচারের পথ,অনেক চাওয়া পাওয়ার পথ এমনিতেই রুদ্ধ হয়ে যাবে।

চতুর্থত  বিবাহের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে যে কথাটি বলব তাহলো,

জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর পার্টনার যিনি হবেন তার অধিকর সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

এটি বিবাহের প্রস্তুতির অংশ। অনেক সময় দেখা যায় দাম্পত্য জীবনে এসে নিজের অজান্তেই একে অপরের অধিকার খর্ব করছেন।

যার ে দাম্পত্য জীবন অশান্তি হয়ে যায়।এজন্য দাম্পত্য জীবনে আসার আগে একে অপরের অধিকার জেনে নেয়া অতিব জরুরি।

পঞ্চমত  বিবাহের পূর্বে প্রস্তুতি হিসাবে যে কথাটি বলব,তাহলো ছেলেরা করবেন।

কারণ বিবাহের পর তার স্ত্রী ও পরিবারের দায়ভার বহন করা দায়িত্ব আল্লাহ তাআলা তাকেই দিয়েছেন।

যিনি স্ত্রী ও পরিবারের নুন্যতম ব্যয়ভার করতে পারেন না,

তাকে ইসলামী শরীয়ত বিবাহের বিকল্প হিসেবে রোজা রাখার পরামর্শ দেয়।

একইভাবে মেয়েদের জন্য বিবাহের পূর্বে গৃহস্থালী কাজ শিখে নিতে হবে।

অনেক সময় দেখা যায় গৃহস্থালী কাজ না জানার ফলে স্বামীর সাথে বনিবনা হয়না।ফলে ঝগড়া ফাসাদের সূত্রপাত ঘটে।

ছয় নম্বর  বিবাহের পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে যে কথা বলব তা হলো,বিবাহের পূর্বে তালাকের মাসআলা শিখে নিতে হবে।

কি পদ্ধতিতে তালাক দেওয়া যায়েজ কোন পদ্ধতিতে নিষিদ্ধ,কখন দেওয়া যায়েজ কখন হারাম।

বেশিরভাগ সময় দেখা যায় তালাক দেওয়ার পর আফসোস আর করেন আসলে আমি তো তা জানতাম না।

বিবাহের পূর্বে তালাকের মাসআলা জেনে নেওয়া এটি দূষনিয় নয়। বরং বিবাহের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

সপ্তম  বিবাহের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে যে কথা বলব তা হচ্ছে,

পারিবারিক ব্যবস্থাপনা এবং প্যরেন্টিং সংক্রান্ত যে কোর্স গুলি পাওয়া যায় তা আমরা করে নেব।

আজকাল অনেক উলামায়ে কেরাম অনেক ভালো ভালো কোর্স অফার করে থাকেন,

যেগুলোর মাধ্যমে  পারিবারিক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

পুরুষ তার শশুর বাড়ির কার সাথে দেখা করতে পারবেন/ না পারবেন।

নারী তার শশুর বাড়ির কার সাথে কি আচরন করবেন সেগুলো শিখে নিতে পারবেন।

এই ক্যাটাগরিতে আরো পড়ুন 👇

বিবাহের কিছু অবৈধ নিয়ম, বিবাহ অনুষ্ঠানে বাজনার আয়োজন করা, মোবাইল বা টেলিফোন কিংবা চিঠির মাধ্যমে বিবাহ শাদীর হুকুম,

 

About আবদুল্লাহ আফজাল

হাফিজ মাওঃ মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আফজাল। ২০১২ সনে হিফজ সম্পন্ন করেন। উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন২০১৬ সনে। দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন ২০২০ সনে। ঠিকানা: বালাগঞ্জ, সিলেট। মোবাইল নাম্বার: 9696521460 ইমেইল:hafijafjal601@gmail.com সকল আপডেট পেতে এবং ওয়েবসাইটে লিখা পাঠাতে ফেসবুক পেজ👉MD AFJALツ ফলো করুন।

Check Also

অধিক হারে ইস্তেগফারের ফজিলত

ইস্তেগফারের ফজিলত

হামদ ও সালাতের পর… রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যত ভালো কাজ শিক্ষা দিয়েছেন, তাতে …

Powered by

Hosted By ShareWebHost