(মুসলিমবিডি২৪ডটকম
বিয়ের গোসল দেয় ভাবিরা, অথচ স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকে গোসল দিতে দেয়া হয় না।
হলুদ দিয়ে ভাবির হাতের গোসলের নামে চলে হারাম কাজগুলো।
বিয়ে করলেন আপনি, আর বিয়ের অনুষ্ঠানে আপনার হাত ধুয়ে দিবে আপনার শালি।
বউকে কোলে করে ঘরে নিয়ে যাবে আপনার বোনজামাই,ভাই, চাচাতো ভাই, বন্ধু ইত্যাদি ।
হারাম কাজে বৈধতা, অবাক নয় কি?
বিয়ের সম্পর্ক যৌবনের সাথে, ক্যারিয়ার গড়ার জন্য পড়ে রয়েছে সারাজীবন।
অথচ আমাদের দেশে বলা হয় আগে ক্যারিয়ার গড়ো তারপর বিয়ে করো।
পরিণতিতে পার্কে পার্কে অবাধ প্রেমলীলা, ধর্ষণের সেঞ্চুরি আর ডাস্টবিনগুলোতে বেওয়ারিশ
শিশু লাশের ছড়াছড়ি যা কুকুর,কাক আর শকুন মিলে ভাগাভাগি করে খায়।
বিয়ে করে বউকে খাওয়াবে কি?
কথাবার্তা শুনে মনে হয় বউ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খাদক যার ক্ষুধা নিবারণ করা দুঃসাধ্য।
বিয়ে মানেই মেয়ের বাবার উপর খরচের পাহাড় চাপিয়ে দেয়া।
অথচ ইসলামে দাওয়াত খাওয়ানোর দায়িত্ব বর পক্ষের, কন্যা পক্ষের নয়।
আমাদের দেশে বরপক্ষ যৌতুক নেয়, মোহরানা না দিয়ে বাসর রাত্রে স্ত্রীর নিকট ক্ষমা চায়।
অথচ ইসলামি বিধান মতে স্ত্রী মোহরানার হক্বদার, যৌতুক তো সম্পূর্ণ হারাম।
কতিপয় হুজুরের কথাবার্তা শুনে মনে হয় সেবা পাওয়ার হক্বদার শুধুই স্বামী।
অথচ রাসূল (সা.) বলেছেন- তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট (দ্বীনের ক্ষেত্রে) উত্তম।
বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের হাতে স্বর্ণের আংটি না পরালে মান সম্মান থাকে না, অথচ পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হারাম।
পুরুষদের কাপড় থাকবে টাখনুর উপরে, আর মেয়েদের কাপড় থাকবে টাখনুর নিচে। অথচ বাস্তবতা?
বিয়ের ব্যাপারে হাজারো বাধা-বিপত্তি থাকলেও ব্যাভিচার একেবারেই সহজলভ্য।
রাসূলুল্লাহ (সা.) তাক্বওয়া ভিক্তিক পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করতে বলেছেন,আর আমরা করছি চেহারা আর সম্পত্তি ভিত্তিক।
যার ফলে ঘটে নানান অসুবিধা।
এই ক্যাটাগরিতে আরো পড়ুন 👇
বিবাহ অনুষ্ঠানে বাজনার আয়োজন করা, ইসলাম ধর্মে বিবাহের সীমারেখা কখন নির্ধারণ করেছে, রাসুল সাঃ এর চারের অধিক বিবাহের তাৎপর্য
নবী করীম সা:এর বহু বিবাহ সম্পর্কে আলোচনা, বিবাহের দ্বারা রিযিকে বরতক হয়, অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ের ক্ষতি, সময়মত বিয়ে না করার কুফল