(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
প্রশ্নঃ আমাদের গ্রামের একজন মুফতি সাহেব কিছুদিন পূর্বে বয়ানে বললেন, বিবাহ অনুষ্ঠানে গান-বাজনা জরুরি
এবং তা করা না হলে উক্ত বিবাহ হারাম হয়ে যাবে। এতদসংক্রান্ত বর্ণনা বুখারী শরীফে রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
এব্যাপারে জানতে ইচ্ছুক।
উত্তরঃ মুসলমানদের বিবাহ অনুষ্ঠানে গান-বাজনার আয়োজন করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। এমনকি যারা উক্ত কাজকে হালাল বা জায়িয বলে মনে করেন,
তাদের ঈমান চলে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। কেননা, গান-বাদ্য শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম।
আর হারাম কাজকে হালাল বা জায়িয মনে করলে ঈমান চলে যায়।
সুতরাং মুসলমানদের এরূপ হারাম কাজ বর্জন করা অপরিহার্য। যারা এরূপ কাজ করে তারা ফাসিক।
আর যে ব্যক্তি গান-বাজনার অনুমতি দেয় সেও নিঃসন্দেহে ফাসিক। এমন ব্যক্তির জন্য ইমামতি করা মাকরূহে তাহরীমী।
অতএব যারা গান-বাজনা করে অথবা গান-বাজনা করার অনুমতি দেয়, তাওবা না করলে এমন লোকদেরকে
সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত। আর মুসলমানদের এ ধরনের বিবাহ অনুষ্ঠান বর্জন করা উচিত।
অবশ্য ছোট শিশুদের দ্বারা কোন প্রকার বাদ্য বাজানো ছাড়া শালীন অর্থবোধক কবিতা বা গজল আবৃত্তি করানো যেতে পারে।
আর হাদীসে কেবল এতটুকুরই অনুমতি দেয়া হয়েছে।
প্রশ্নে বর্ণিত আলেম সম্ভবত উক্ত হাদীসের অর্থ না বুঝে উল্টা ফাতওয়া দিয়েছেন। এ ধরনের লোকদের থেকে সাধারণ
মুসলমানদের দুরে থাকা ঈমানী দায়িত্ব।
[প্রমানঃ আযীযুল ফাতাওয়া ১:৭৪৬ #সুরা লুকমান, ৬ #তাফসীরে মা'আরিফুল কুরআন ৭:২৫-২৭। ]
(কপিঃ ফাতওয়ায়ে রাহমানিয়া ২য় খন্ড ,পৃষ্ঠা ১০০-১০১ )
আরো পড়ুন 👇👇
গান-বাদ্য পরিহারের পুরুষ্কার হলো আল্লাহর বন্ধুত্ব, নামাযে মোবাইল ফোন বন্ধ করার বিধান, রক্তদান Donation of blood ব্লাড ব্যাংক Blood Bank