বছরের বিদায় বেলায় একজন মুসলিমের অনুভূতি
আজ একটি বছরের সমাপ্তি এবং আরেকটি বছরের সূচনালগ্ন। একটি বছরের শেষদিনে দাড়িয়ে একজন
ঈমানদার, আল্লাহ প্রেমিক বান্দার অনুভূতি হওয়া দরকার আমার এই বছর কিভাবে কাটালাম।
আল্লাহ তাআলা আমাকে যে উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছেন সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কতটুকু অগ্রসর হলাম।
এভাবে জীবনের প্রতিটি মুহুর্তের হিসাব নেওয়া সফল মুমিনের পরিচয়। তাছাড়া রাসুল সাঃ ঐ ব্যক্তিকে বুদ্ধীমান বলেছেন
যে ব্যাক্তি জীবনের হিসাব নেয়, আর মৃত্যুর পরের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
কিন্তু বর্তমান অবস্থা খুব খারাপ। মুসলমানরা বিধর্মীদের কালচার নিয়ে টানাটানি করছে।
মুসলমানরা বিজাতীয় উৎসব থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে খুবই নিমগ্ন। এই রাতে তাদের আনন্দ উৎসব করতে দেখা যায়।
সাবধান
আমি বলতে চাই, মুসলমান ভাইয়েরা! একটি বছরের শেষ দিনে দাড়িয়ে উৎসবে মেতে উঠা নয়,
চিৎকার করা নয়, মদপান করা নয়, রাস্তা-ঘাটে রমনী নিয়ে বের হওয়া নয়, আমাদের হিসাব করা উচিত।
২০০০ ইংরেজি যখন শুরু হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে যে কেলেঙ্কারি হয়েছিল, তা আমাদের মনে রাখা উচিত।
এক ছাত্রীকে যেভাবে দিগম্বর করে ফেলা হয়েছিল তা ভাবতে অবাক লাগে। আমি মনে করি যে, এটা বাংলাদেশী মুসলমানদের জন্য ছিল কলংক।
মুসলমান ভাইয়েরা! সতর্ক হউন, থার্টি ফার্স্ট নাইট মুসলমানদের উৎসব নয়, এটা বিজাতীয় উৎসব।
বিজাতীয় উৎসবে যারা অংশগ্রহণ করবে, তারা তাদের দলভুক্ত হয়ে যাবে। রাসুল সাঃ বলেন
যে অন্য জাতির সাথে আচার আচরনে কৃষ্টি কালচারে সামঞ্জস্য গ্রহণ করবে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত বিবেচিত হবে।
যদি আল্লাহর কাছে পাক পবিত্র অবস্থায় যেতে চান তাহলে এই ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
কারণ আল্লাহ তো থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের সময়েও একটু কাঁপন দিতে পারেন। কাজেই আসুন! আল্লাহকে পুরোপুরি ভয় করি।
আরো পড়ুন 👇👇
ভাস্কর্যের ইতিহাস,
পরস্পর হিংসা বিদ্বেষ কিয়ামতের লক্ষন, আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রাসুল সাঃ এর সুন্নত মিসওয়াক