(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
যখন পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল অমানিশার অন্ধকার, হিংস্রতা ও বর্বরতায় ভরপুর ছিল গোটা দুনিয়া।
অবহেলিত ও অসম্মানের পাত্র ছিল নারী সমাজ। ফিৎনা ফ্যাসাদ আর ঝগড়া গর্বের বস্তুতে পরিণত হয়েছিল।
ঠিক তখনই হেদায়াতের আলো নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন হযরত মুহাম্মদ সাঃ। অমানিশার আধার দুরিভুত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন।
হেদায়াতের আলো পৌঁছে দিতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ও ঘরে ঘরে বার বার গিয়েছেন। সইতে হয়েছে পাহাড়সম নির্যাতন।
তার দাওয়াতে গোটা কয়েকজন মানুষ সাড়া দিয়েছিলেন, অতঃপর তাদেরকে নিয়ে মিশন বাস্তবায়নে পথচলা শুরু করলেন।
সাহাবীর পরিচয়
অসহ্য যন্ত্রনা আর যাতনা অতিক্রম করে তৈরি করেছেন নিজেদের অবস্থান। স্বীয় জাতির শত গালিগালাজ আর উপহাস উপেক্ষা করে
যারা মুহাম্মদ সাঃ এর হাতে হাত রেখে ইসলামের সুশীতল ছায়ার তলে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারাই হলেন সাহাবী।
কুরআন ও হাদিসের আলোকে তারাই প্রকৃত মুসলমান। যাদের জীবনের লক্ষ্যই ছিল একমাত্র আল্লাহর আনুগত্য ও রাসুল সাঃ এর অনুসরণ।
দ্বীনের স্বার্থে দুনিয়ার স্বার্থকে বিসর্জন দিতে একটুও কুণ্ঠাবোধ করতেন না।
আল্লাহ ও রাসুল সাঃ এর জন্য সবকিছু বিলিয়ে দিতে তারা বদ্ধপরিকর ছিলেন। তারাই শ্রেষ্ঠ আদর্শবান ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃত।
তাইতো সংখ্যায় স্বল্প হওয়া সত্ত্বেও বিজয় তাদের পদ চুম্বন করেছে। বিশ্বের পরাশক্তিগুলোও তাদের আদর্শের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছে।
তাদের প্রশংসায় আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।
তাদের ব্যাপারে রাসুল সাঃ ইরশাদ করেনঃ আমার সাহাবাগণ আকাশের নক্ষত্রের মত, তাদের কোন একজনের অনুসরণ করলে তোমরা হেদায়েত পাবে
মুসলমানদের অধঃপতন
কিন্তু আফসোস! বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা অধিক হওয়া সত্ত্বেও স্থানে স্থানে মুসলমানরা নির্যাতিত নিপীড়িত।
কারণ মুসলমানরা স্বীয় অতিত, সংস্কৃতি ও নিজেদের ধর্মের দাবী ভুলে গিয়ে ইসলামী সভ্যতার পরিবর্তে আধুনিক সভ্যতা গ্রহণ করছে।
নববী আদর্শ দুরে ঠেলে পাশ্চাত্য আদর্শ বেছে নিয়েছে। আজ মুসলমানরা ধর্মীয় আবেদন থেকে যত দুরে সরে যাচ্ছে
লাঞ্ছনা বন্ঞ্ছনা ও অধঃপতন তত এগিয়ে আসছে। দুঃখের বিষয় হলো যেখানে মুসলমানের ঘর থেকে কুরআন তেলাওয়াতের আওয়াজ ভেসে আসত
এখন সেখান হতে গানের আওয়াজ ভেসে আসে।
মুসলমানদের পুনরায় বিজয়
সুতরাং মুসলমানদের বিজয় ফিরিয়ে আনতে হলে সাহাবায়ে কেরামের পথে অগ্রসর হতে হবে। তারাও তো মুসলমান আমরাও মুসলমান।
কিন্তু তফাৎ হলো তারা তারা ইসলামকে জীবন ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। আর আমরা শুধু দাবীতেই মুসলমান।
সুতরাং আমাদের কর্তব্য হলো, আল্লাহর আনুগত্যে নিজেদেরকে সঁপে দেওয়া, এবং কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা।