(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
২৭ জামাদিউল আউওয়াল ১৪১১ হিজরীর ঘটনা
এক পুলিশ অফিসার মারা গেল,তার লাশ কবরে দেওয়ার জন্য নেওয়া হল।লাশ যখন কবরে নামানো হল, তখন দেখা গেল কবর সংকীর্ণ হয়ে গেছে।
কোন ভাবেই লাশ কবরে নামানো যাচ্ছে না।মৃতের আত্মীয় স্বজন মনে করল যারা কবর খনন করছে,তারা ঠিকমতো খনন করেনি।
অন্যস্থানে নতুন কবর খনন করা হল
লাশ যখন দ্বিতীয়বার কবরে নামানো হল,দেখা গেল এটাও সংকীর্ণ হয়ে গেছে।উপস্থিত লোকজন ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে গেল।
তৃতীয় কবরে একই সমস্যা দেখা দিল।কবর সংকীর্ণ হয়ে যায়,কোনভাবেই কবরে লাশ প্রবেশ করানো সম্ভব হয়না।
লোকজন সবাই মিলে তার গুনাহমাফির জন আল্লাহর নিকট রূনাজারী করল
চতুর্থবারের মত কবর খনন হল, এবার লাশ নামানোর জন্য আনা হলে,কবর তো সংকীর্ণ হল-ই,সাথে সাথে লাশটি উপরে ফেলে দিল।
এরপর লোকজন তার আত্মীয়ের নিকট জিজ্ঞাসা করলেন,আসল ঘটনা কি? কবর লাশ গ্রহণ করছে না কেন?? তাদের কথা এটা বুঝা গেল যে,
পুলিশ অফিসার ঘুষ খেত
যার বাস্তব শাস্তি আল্লাহ তাআলা সবার সামনে দেখিয়ে দিয়েছেন। (العياذ بالله) তার পরবর্তীতে কি শাস্তি হয় তা আল্লাহ পাক-ই জানেন।
হযরত সাইয়্যেদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত।রাসুল সা. ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি সমাজের প্রধান এবং বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে,
কিয়ামতের দিন তার উভয় হাত গর্দানের সাথে বাধা থাকবে।সে যদি ঘুষখোর না হয় তবে থাকে মুক্ত করে দেওয়া হবে।
আর যদি মানুষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে বিচারের রায় দিয়ে থাকে।তাহলে থাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে,এবং ৫০০শত বছরের রাস্তার সমান গর্তে গিয়ে পরবে। আল-হাদীস