(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
একজন ডাক্তারের জীবনীতে তার দেখা এক ভয়ানক স্বপ্নের কথা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি বলেন ১৯৬১ সালে আমি হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডের রেজিস্টারার হিসেবে কাজ করছিলাম।
এক রাতে ভয়ানক স্বপ্ন দেখলাম।সেই স্বপ্ন দেখার পর আমি ৬ মাস অসুস্থ ছিলাম।
স্বপ্নে দেখি আমাকে এক কবরস্থানে নেওয়া হয়েছে
সেখানে দেখি এক কবরের লাশ ছটফট করছে।মনে হচ্ছিল তাকে ভয়ানক শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
লাশের মুখ ছিল খোলা,কিন্তু মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছিল না।
দুই হাতের বাহু এবং উরু যন্ত্রনায় নড়ে উঠছিল।দীর্ঘ সময় এ অবস্থাচলার পর লাশের নড়াচড়া বন্ধ হলো।
এ সময় দেখি অন্য একজন লোক এলো
তার হাতে দেখি সরু শলাকার মত চকচকে চাবুক।সে ব্যক্তি চাবুকটি লাশের পুরুষাঙ্গ দিয়ে ঢুকাচ্ছিল, আর লাশ অবর্ননীয় যন্ত্রনায় ছটফট করছিল।
লাশের কষ্ট দেখে আমি আর চুপ থাকতে পারলাম না। লোকটিকে বললাম তাকে এতো শাস্তি কেন দিচ্ছেন?
লোকটি বলল,দুনিয়ার জীবনে সে ব্যভিচার করত।মৃত্যুর পর থেকে থাকে এ শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
বেশ কিছু হময় যাবৎ আমি লোকটিকে দেওয়া এ শাস্তি দেখলাম।লাশের জন আমার যনে করুনার উদ্রেক হলো।
হঠাৎ দেখি অন্য একজন লোক এলো,এবং আমাকে চিৎ করে শুইয়ে দিয়ে সেই চাবুক আমার পুরুষাঙ্গে ঢুকিয়ে দিল।
আমি দুঃসহ যন্ত্রনায় ডাঙ্গায় তোলা মাছের মত ছটফট করতে শুরু করলাম।
সেই স্বপ্নের কথা মনে হলে এখনও আমার পশম খাড়া হয়ে যায়
যন্ত্রনায় ছটফট করা অবস্থায় আমার ঘুম ভেঙে গেল।আমার বিছানা ভিজে গেল।আমি মনে করলাম হয়তো ঘুমের ঘোড়ে বিছানায় পেশাব করায় ভিজে গেছে।
কিন্তু অবাক হয়ে দেখি আমার বালিশ ও ভিজা।তারপর যখনই পেশাব করছি দেখি পেশাবের সাথে রক্ত ও যাচ্ছে।
ছয়মাস পর্যন্ত এই অবস্থা চলল,এ সময় আমি বেশ দূর্বল হয়ে পড়ছিলাম।নানা রকম ল্যবরেটরী টেস্ট এক্সরে করলাম।
অনেক বড় বড় ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করলাম।কিন্তু এ অদ্ভুত রোগের কারণ কেউ নির্নয় করতে পারল না।
আমার রুগের নিরাময় হল না।এ সময় আমি হাসপাতাল থেকে দীর্ঘ মেয়াদী ছুটি নিলাম,তারপর তাওবা ও ইস্তিগফারের দিকে মনযোগী হলাম।
অবশেষে মহান আল্লাহ তাআলা আমাকে এ রুগ থেকে মুক্তি দিলেন। আমীন