(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
কবরের সাপে লাশের জিহ্বা কামড়ালো
ভারতের মুম্বাই শহরে একজন শ্রদ্ধেয় শেঠ ছিলেন।তার ব্যবসা ছিল বেশ ব্যপক।তিনি যে ব্যবসা শুরু করতেন এতেই লাভবান হতেন।
তিনি ছিলেন বেশ দানশীল।এতিমদের,বিধবাদের অর্থ সাহায্য দিতেন।অনেকের জন্য মাসিক ভাতারও ব্যবস্থা করেছিলেন।
সরকারের বিভিন্ন খয়রাতি কর্মসূচি বাস্তবায়নে ও তার আর্থিক সহায়তা ছিল।
হঠাৎ একদিন এই শেঠ মৃত্যুমুখে পতিত হলেন
হাজার হাজার মানুষ তার জানাযায় অংশগ্রহণ করলেন।বহু লক তার জন্য বিলাপ করে কাদছিল।আমিও সেই শেঠ এর জানাযায় অংশগ্রহণ করেছিলাম।
তার জানাযায় এতো বিপুল সংখ্যক মানুষ দেখে তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে ছিলাম।জানাযার নামাজ শুরুর যখন আয়োজন করা হচ্ছিল,
হঠাৎ দেখা গেল এক দীর্ঘাঙ্গী লোক গেরুয়া রঙের পোষাক পরে জানাযায় অংশগ্রহণের জন্য উপস্থিত হয়।
মরহুম শেঠের জন্য বিলাপ ধ্বনি অন্যসব বিলাপকে ছাড়িয়ে যাচ্ছিল
কিন্তু তাকে কেউ আগে কখনও দেখেনি।সবাই মনে করল হয়তো শেঠ এর বিশেষ কোন বন্ধু হবে।
অজ্ঞাত পরিচয়ের লোকটি শেঠকে দাফন করার জন্য কবরেও নেমেছিল।কবরে মাটি দেওয়ার পর,হঠাৎ অচেনা লোকটি চিৎকার করে বললেন,
সর্বনাশ হয়ে গেছে
আমার একটি ব্যাগ কবরে রয়ে গেছে।সেই ব্যাগে আছে ১০ হাজার টাকা।আপনারা কবরের মাটি সরিয়ে আমার ব্যাগটি উদ্ধার করে দিন।
জানাযা পড়ার সময় ব্যাগটি আমার পকেটে ছিল।এইমাত্র কবর দেওয়া হয়েছে তাই কবর খুড়তে অসুবিধা নেই।
তাছাড়া ১০হাজার টাকা তো অনেক
এসব ভেবে কয়েকজন কবরের মাটি সরালেন।আমি কবের খুব কাছে ছিলাম,এবং সবার কর্মতৎপরতা লক্ষ করছিলাম।
মাটি সরানোর কাজেও অংশ নিয়েছিলাম।কবরের মাটি সরিয়ে একটি তক্তা সরাতেই কবর থেকে লেলিহান আগুনের শিখা বের হলো।
যারা কবরের মাটি সরাতে ছিল, তারা চিৎকার করে দূরে সরে গেল।কেউ কেউ বেহুশ হয়ে গেল।কবরের ভিতরে তাকিয়ে যে ভয়াবহ দৃশ্য দেখা গেল,
সে দৃশ্য দেখে কেউ স্থির থাকা,সম্ভব ছিল না।আমি নিজের চোখে কবরে যে আযাব দেখেছি, আল্লাহ যেন কোন শত্রুকেও এরূপ না দেখান।
আমি দেখলাম একটি বিরাট সাপ শেঠের দেহের নিম্নাংশ পেচিয়ে আছে আর শেঠ বসে আছেন
পেচিয়ে থাকা সাপ শেঠের জিহ্বা ধরে বাহিরের দিকে টানছে,আর হুংকার দিচ্ছে।হুংকার দেওয়ার সময় তার মুখ থেকে অগ্নিশিখা বের হচ্ছে।
আর সেই আগুনের শিখায় শেঠের মুখমণ্ডল কালো হয়ে যাচ্ছে।তাছাড়া কিছুক্ষণ পর পর কবেরে আগুন জ্বলে উঠছে।
সেই আগুনে শেঠের পুরো দেহ ঝলসে যাচ্ছে।চিন্তা করলাম এরকম ভয়াবহ শাস্তি চোখে দেখে সহ্য করা যাচ্ছে না।
যাকে দেওয়া হচ্ছে সে কিভাবে সহ্য করছে।তার কেমন লাগছে। কি কঠিন অবস্থা।
কবর কি এভাবে খোলা রাখা যাবে
কয়েকজন সাহসী লোক এগিয়ে এসে,তক্তা দিয়ে লাশ ঢেকে দিল।
তারপর তাড়াতাড়ি মাটি দিয়ে দিল।ঘরে ফেরার পর কয়েকদিন যাবৎ আমি ঘুমুতে পারিনি,খেতে পারিনি,কথা বলতে পারিনি।
কবরের আযাবের ভয়াবহতা নিজের চোখে দেখেছিলাম।একজন বুজুর্গের কাছ থেকে পানি পড়া পান করে,
আমি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছিলাম।বিষ্ময়ের কথা হচ্ছে,শেঠের জন্য বিলাপ করা সেই ব্যক্তিকে কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি।
কি রকম পাপের জন্য শেঠকে এরকম শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা আল্লাহ ভালো জানেন।অন্য কেউ জানেনা।পরে জানা গেল সে হারাম টাকা দিয়ে দান করত।
বি.দ্র. উল্লেখিত ঘটনা বিশিষ্ট দাঈ মাওলানা তারেক জামীল সাহেবের বয়ান থেকে সংগৃহীত।পরবর্তী ঘটনা কবরের আগুনে হাত পুরে যাওয়া।