(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
আগের যুগে লেখালেখি এবং প্রচার মাধ্যম এতো ব্যাপক ছিল না।একটি গ্রন্থ প্রকাশের জন্য কত কষ্ট,কত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হত।
কিন্তু এখন…..!প্রেক্ষাপট কত বদলে গেছে! অধিক লেখালেখি,বই-পুস্তক প্রকাশ এবং কলামিষ্টদের আধিক্যকে নবী কারীম স. কিয়ামতের নিদর্শন চিহ্নিত করেছেন।
ইবনে মাসউদ রা.থেকে বর্ণিত রাসুল সা.বলেন, কেয়ামতে পূর্বমুহূর্তে নিম্নলিখিত বিষয় গুলি অধিকহারে ঘটতে থাকবে
- ব্যক্তি বিশেষে সালাম করা
- ব্যপক ব্যবসা-বানিজ্য।এমনকি স্ত্রীও ব্যবসায় স্বামীকে সাহায্য করবে।
- আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকরণ
- মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান
- সত্য সাক্ষ্য গোপন
- কলম প্রকাশ (মুসনাদে আহমদ৩৮৭০)
“কলম প্রকাশ” বলতে সম্ভবত লেখালেখি এবং অধিক হারে বই পুস্তক প্রকাশের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।
প্রকাশনা এবং ছাপানো জন্য অত্যাধুনিক মেশিন আবিষ্কার ও মাধ্যম সহজ হওয়ার ফলে যে কেউ চাইলেই পুস্তক প্রকাশ করতে পারবে।
এতকিছুর পরও দ্বীনী এবং ইসলামি শিক্ষায় মানুষের মধ্যে মুর্খতা প্রকাশ পাবে।
আনাস রা.থেকে বর্ণিত রাসুল সা.বলেন কেয়ামতের নিদর্শনাবলীর মধ্যে
- কুরআনের জ্ঞান উঠিয়ে নেয়া হবে
- (ইসলামী শিক্ষায়) ব্যাপকহারে মূর্খতা প্রকাশ পাবে
- (যিনা)ব্যভিচার অধিক ও ব্যাপক হবে
- মদ্যপান
- পুরুষ হ্রাস ও মহিলা বৃদ্ধি পাওয়া। একপর্যায়ে ৫০জন নারীর দায়ভার ১জন পুরুষ গ্রহণ করবে।(মুসলিম ৬৯৫৭)
উপরোক্ত নিদর্শনসমূহ বর্তমান সমাজে হুবহু বাস্তবায়িত হচ্ছে-এতে কোন সন্দেহ নেই।
দেখেও আমরা না দেখার ভান করছি।অথচ সাহাবা আজমাঈন সামান্য কিছু দেখলে কত সতর্ক হয়ে যেতেন।
মানুষকে কিয়ামত সম্পর্কে সচেতন করতেন। আল্লাহ পাক আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান দান করুন।আমীন।