بسم الله الرحمن الرحيم
আমার শ্রোতা বন্ধুরা, বয়স্কদের থেকে আগেকার দিনে আসা মহামারী সম্পর্কে শোনেছি।
যেমন:আগে আগে নাকি ডায়রিয়া, বসন্ত এসকল রুগ মহামারী আকারে আসতো এবং এলাকার পর এলাকা জুড়ে এর প্রাদুর্ভাব দেখা যেতো।
এতে অনেক লোকের প্রাণহানি ঘটতো। কিন্তু আমি আমার জনমেও মহামারী দেখিনি।
তাই আমি একটা জিনিস ভাবতাম যে, আগেকার দিনে মহামারী আসার পেছনে একটা কারণ ছিলো, আর তা হলো, তখনকার যোগে চিকিৎসাবিজ্ঞান উন্নত না থাকা।
ভাবতাম, চিকিৎসাবিজ্ঞান সে যুগে এত উন্নত না থাকায়ই তখন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে রুগীকে সঠিক চিকিৎসা দেয়া যেত না বিধায়
তখন কোনো রুগে আক্রান্ত হয়ে একের পর এক মানুষ মারা যেতো। কিন্তু আজ আমার সে বিশ্বাসের সবটুকুই ধুলিসাৎ হয়ে গেছে।
আজ অত্যাধুনিক যুগের আধুনিকতার একেবারে শীর্ষের মানবজাতি আমরা। আমরা ভাবছি, গুটা দুনিয়া আমাদের হাতের মুঠোয়।
আমরা এমন সব অস্ত্র বানিয়েছি যা প্রয়োগ করে দেশের পর দেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা যায়। আরো ভাবছি, দুনিয়াকে জয় করে আমরা এবার মহাকাশ জয়ের পথে।
চন্দ্র জয় হয়ে গেছে, এবার মঙ্গল। আমাদের অহঙ্কার সীমা ছেড়েছে। কিন্তু এখন! এখন অহঙ্কারের অসীমতা অসীম অসহায়ত্বে পরিণত হয়ে। গুটা দুনিয়া আজ অসহায়।
প্রতিটি মানুষ কেবল নিজেকে নিয়েই ভাবছে, কি ভাবে আত্মরক্ষা করা যায়।
বন্ধুরা, স্মরণ করুন নমরূদের ইতিহাস। আজো তা পৃথিবীর বুকে কিংবদন্তী হয়ে আছে। তারও অহঙ্কার মাত্রা ছেড়েছিলো।
কিন্তু মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ তাকে ছোট্ট এক সৃষ্টি মশার শক্তির কাছে অসহায় করে দিয়েছিলেন।
মশা তো এমন একটি প্রাণী যাকে চোখে দেখা যায়।
কিন্তু আমরা যে জিনিসের কাছে অসহায় সেটি এত ছোট যে তাকে আমরা চোখেই দেখি না।
এসব মূলতঃ মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ পাকেরই কুদ্রতের বহির্প্রকাশ যে, তোমরা শক্তির যতই বড়াই কর না কেনো,
আমার সামান্য শক্তির কাছে তোমরা কিন্তু একেবারে কিছুই নয়। পবিত্র কোরানে আল্লাহপাক নিজেই বলেন__, “নিশ্চই আল্লাহপাক সর্ব বিষে ক্ষমতাবান।”
আমার বন্ধুরা, আসুন আমরা আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। তাঁর দিকে রুজু হই!
লেখকঃ দার্শনিক, কবি ও গবেষক