(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
بسم الله الرحمن الرحيم
মহা গরিয়ান আল্লাহ তাআলা সূরা ত্বীনে বলেন_ আমি মানুষকে সুন্দর অবয়ব দ্বারা সৃষ্টি করেছি।
কুরআনুল কারীমের এই আয়াতের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যায়,মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ মানবজাতিকে যেভাবে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন,
তেমনি এই জাতিকে দিয়েছেন জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এক শ্রেষ্ঠ জীবন ব্যবস্থা।পৃথিবীর ইতিহাসে যার দৃষ্টান্ত বিরল ও উপমাহীন।
আল্লাহর সৃষ্টির মাঝে মানুষ দুভাগে বিভক্ত। (১)নর (২)নারী। মহাগ্রন্থ কোরআনে কারিমে উভয়ের অধিকার সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা নিজেই মুফতি হয়ে,
তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে বর্ণনা করেছেন যে,একজন নরের উপর নারীর ও নারীর উপর নরে্য কি প্রাপ্য আছে।
এমনকি উভয়ের পারিবারিক জীবন থেকে নিয়ে সামাজিক,রাষ্ট্রীয়,ও আন্তর্জাতিক জীবন পর্যন্ত প্রত্যকের অধিকার সম্পর্কে
পরিস্কার ভাষায় ব্যক্ত করে দিয়েছেন। এবং এর মধ্যেই রয়েছে আসল কল্যাণ নিহিত।
এত সুন্দর নিপুণ জীবন বিধান পাওয়ার পরও যখন নারী সমাজ রাস্তায় নামে তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে,
তখন তাদের একটু চিন্তা করা উচিত ছিল পূর্বোতিহাসের প্রতি।যা ছিল এক কঠিন থেকে কঠিনতম অধ্যায়।
আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে যখন মানুষ আল্লাহর বিধান কে ভুলে,এমন খোল আল্লাহকে ভুলে হয়েছিল কট্টর কাফের।
যে সমাজে ন্যায় অন্যায়ের কোন ভেদাভেদ ছিলনা,যারা মানবতা বলতে কিছুই বুঝতো না,
যে সযয় নারী জাতির উপর চলে এসেছিল নির্যাতনের চরম বিভীষিকা।মায়ের জাতীদেরকে তারা ভুগ্য পণ্য হিসেবে ব্যবহার করতো।
এমনকি কন্যাসন্তানকে তারা জীবত কবরস্থ করতো।
যখন নারী জাতি গোমরে কেদে উঠে বলছিল ,আমরা কি এভাবে নিঃশেষ হয়ে যাবো পৃথিবীর ইতিহাস থেকে ?
আসবেনা কি কেউ আমাদের মুক্ত করতে এই অত্যাচারের দূর্ভেদ্য জিঞ্জির থেকে।
তাদের আত্মচিৎকারে পৃথিবীর আকাশ বাতাস যখন প্রকম্পিত হচ্ছিলো প্রতি মুহূর্তে,
ঠিক তখনই মানবতার মুক্তির সনদ নিয়ে দুনিয়াতে আসেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাঃ।
তিনি নারী জাতিকে সমাজের সর্বস্তরে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করেন।
বুঝিয়ে দেন তাদেরকে তাদের ন্যায্য অধিকার,ফিরে পায় তারা এক পূর্নাঙ্গ স্বাধীন জীবন ব্যবস্থা।
এমনকি তাদেরকে ভূগ্য পন্য হিসেবে যখন ব্যবহার করা হতো,সেখানে তারা মোহরের মাধ্যমে পবিত্রতার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অধিকার লাভ করে।
কন্যা সসন্তানকে জীবিত কবরস্থ করার প্রথা পাল্টে দিয়ে নবী সাঃ বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেন তার অমৃত হাদীস।
বলেন ” হে মানম জাতি তোমাদের মধ্যে যারা কন্যা সন্তানকে লালন-পালন করবে এবং শিক্ষা-দীক্ষা দিয়ে ,
সন্তুষ্ট চিত্তে অন্যত্র বিবাহ দিবে তখন তোমরাই হবে জান্নাতের চিরস্থায়ী সুখময় বালাখানাবালাখানা সমূহের অধিকারী “।
অন্য হাদিসে বলা হয় ” মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত ” । এখানে পিতার পায়ের নিচে বলা হয় নি।
এভাবেই সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদেরকে সম্মানের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেন মহনবী (সঃ) যার অবদান অপরিসীম।
নবী সাঃ এর অবদান যে কত শীর্ষে তা আমার এই ছোট্ট কলামে লিখে বা আমার যোগ্যতা দিয়ে বুঝিয়ে শেষ করা সম্ভবপর নয়।
আমি শুধু বলব যে সমস্ত নারীবাদীরা বর্তমান বিশ্বের সুপার পাওয়ার আমেরিকার ইঙ্গিতে রাস্তায় নেমে অধিকার তলব করেন,
আপনারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন ? আমেরিকা যদি নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় সক্ষমই হয়,
তবে আমেরিকার জন্মের পর থেকে এপর্যন্ত ১জন নারী প্রেসিডেন্ট দেখান তো?
তাহলে এটাই বুঝা গেল যে, ঐ সমস্ত ধোকাবাজরা নারী নেতৃত্বের নামে আপনাদেরকে রাস্তায় নামিয়ে যে সমস্ত ফায়দা অর্জন করতে চায়, তাহলো-
(১) পথে-ঘাটে যেখানে সেখানে যখন ইচ্ছা আপনাদের ভোগ করা।
(২) এসিড সন্ত্রাসের শিকার করা। (৩) ধর্ষণ করা।(৪) মহর ব্যতীত এমনিতেই ভোগ্য পন্য হিসেবে ব্যবহার করা।
(৫) আপনাদেরকে সেই ১৪০০ বছর পূর্বে ফিরিয়ে দিয়ে ভয়ংকর বর্বরতার যুগ পুনঃরায় পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করা।
আমি বলবো দেখুন কোরআন আপনাদেরকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।আসুন! ফিরে আসুন !! ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে।
ইসলামের বিধান মেনে নিয়ে রচনা করুন সুখের নীড়।অন্যথায় আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছে এক মহা ত্রাস।
প্রিয় পর্দাশীল বোনেরা!
আজকে বড় আক্ষেপের সাথে জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে করছে, বাংলাদেশের যেখানে সিংহভাগ মানুষ মুসলমান,
যে দেশের রাষ্ট্রনায়ক মুসলমান,যে দেশে্য সংসদে লিখা রয়েছে বিসমিল্লাহির রাসমানির রাহীম।
যে সংসদের স্পিকার মুসলমান, যে সংসদের কার্যক্রম শুরু করা হয় কালামেপাকের তিলাওয়াত দ্বারা।
সে মুসলিম দেশের সংসদে বসে,মুসলিম রাষ্টনায়কের সামনে বসে, মুসলমান ক্বারী ও স্পিকারের সামনে বসে,
নারী নেতৃত্বের মত একটি ভ্রান্ত মতবাদ কিভাবে প্রকাশ করা হয়।
এটাই জাতি্য কাছে আমার প্রশ্ন? আসলে ওরা নামে মুসলমান, ওরা নাস্তিকের দল,এবং সর্বোপরি ওরা আমেরিকার দালালি টরে যাচ্ছে।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা
সতর্ক হোন, সজাগ দৃষ্টি রাখুন, ঐ সমস্ত দাজ্জালের চেলাদের প্রতি।শ্রদ্ধাশীল মা – বোনেরা আপনারা একটু ভেবে চিন্তে কাজ করুন।
জেনে শুনে নাস্তিকদের ফাঁদে পড়বেন না।শরীয়তের বিধান মেনে নিজ নিজ ঈমানের এবং আপন সতীত্বের হেফাজত করুন।
লেখকঃ
ক্বারী মাওলানা মিজানুর রহমান সাইফ
শিক্ষকঃ দারুল উলুম সোনাপুর রূপাপুর মাদ্রাসা।