(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
بسم الله الرحمن الرحيم
পুরো রমযানে রাসুল সাঃ খুব বেশি আল্লাহর ইবাদত করতেন,কিন্তু শেষ দশকে তিনি প্রথম দুই দশকের চেয়ে বেশি ইবাদত করতেন।
আয়েশা রাঃ বর্ণনা করেনঃ রমযানের শেষ দশকে রাসুল সাঃ পরিবারকে সতর্ক করতেন,রাত জাগতেন,মহিলাদের থেকে দূরে থাকতেন।(১)
মুসলিম শরীফের বর্ণনায় রয়েছে,আয়েশা রাঃ বলেনঃ রাসুল সাঃ রমযানের শেষ দশকে অধিক ইবাদত করতেন,যা তিনি অন্য সময় করতেন না।(২)
শবে কদর রমযানের শেষ দশকে
শবে কদর রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাত্রির যেকোন এক রাত,এসম্পর্কে অনেক হাদিস রয়েছে।
ইবনে আব্বাস রাঃ বর্ণনা করেন রাসুল সাঃ বলেন “তোমরা শবে কদরকে অনুসন্ধান করো রমযানের শেষ দশকে,নবম,সপ্তম,পঞ্চম তারিখে (৩)
আবু সাঈদ খুদরী রাঃ বর্ণনা করেন রাসুল সাঃ বলেনঃ” তোমরা শবে কদর তালাশ করো একুশ,তেইশ,পঁচিশ,ও সাতাইশ তারিখে।(৪)
সাতাইশ তারিখ কি শবে কদর ?
আমাদের দেশের অনেকের ধারনা হলো,রমযান মাসের ছাব্বিশ তারিখ দিবাগত রাত হলো শবে কদর
এজন্য ঐ রাতে অনেক মসজিদে জাকজমকপূর্ণ ভাবে বয়ান করা হয়।
কেউ কেউ শুধু ঐ রাতে জেগে থেকে মনে করেন যে,হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রাত পেয়ে গেছেন।
কিন্তু নিশ্চিত ভাবে ছাব্বিশ তারিখ দিবাগত রাত কে শবে কদর বলা ভূল।তবে ঐ রাত বেজোড় হওয়ায় শবেকদর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হযরত উমর রাঃ সহ আরো অনেকে বলেছেন,সাতাশ তারিখ শবে কদর হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
হযরত কিনান বিন আব্দুল্লাহ আন নাহশালি রহঃ বলেন,আমি যীর ইবনে হুবাইশ রহঃ কে লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম,
তিনি বললেন ” অর্থাৎ উমর রাঃ হুযাইফা রাঃ সহ রাসুল সাঃ এর আরো অনেক সাহাবী সন্দেহাতীতভাবে বলেছেন যে,শবেকদর হলো ছাব্বিশ তারিখ দিবাগত রাত (৬)
কত তারিখ শবে কদর
এ বিষয়ে আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলী রহঃ অনেক গুলো মত লিখেছেন।এজন্য সাতাশ তারিখ শবেকদর একথা দৃঢ়ভাবে বলার সুযোগ নেই।
তবে হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে।বান্দার জন্য উচিৎ হলো,শেষ দশকের প্রত্যেক বেজোড় রাত্রিতে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা।
মহান আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন।আমীন।
তথ্যসুত্র
(১) বুখারী হাঃ২০২৪ (২)মুসলিম হাঃ১১৭৫ (৩)বুখারী হাঃ ২০২১ (৪)মুসনাদে আহমদ হাঃ১১৬৭৯
(৫)মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা হাঃ৯৬০৭ (৬) লাতায়িফুল মাআরিফ পৃষ্ঠাঃ ২৭১