(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
(পূর্ববর্তী অংশের পর থেকে)
টিপু সুলতানকে নিহত করার পর ইংরেজদের পথের কাঁটা অনেকটাই দূর হয়।তখন ইংরেজরা মনে করল তাদের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল।
এর প্রমাণ পাওয়া যায় যুদ্ধের প্রধান নায়ক মর্নিংটনকে ১৭ই মে ১৭৯৯ তারিখে প্রধান বিচারপতির sir jhon anstruther এর লিখিত চিঠি থেকে।
তিনি তার চিঠিতে লিখেন
It is with the most sincere satisfaction &heartfelt that I congratulate you upon the most
Brilliant & glorious event which ever occurred in our Indian history
টিপু সুলতান আজ আমাদের মাঝে নেই।কিন্তু রেখে গেছেন এক অনবদ্য ইতিহাস।
তার সুত্র ধরে যুগ যুগ ধরে উপমহাদেশের মানুষ বিভিন্ন আগ্রাসী শক্তির মোকাবেলা করেছে।
তাই আজকে যখনই একটি নিরব ভাবে আমার মুক্ত ছোট্ট ভূখণ্ড বাংলার প্রতি ইঞ্চি মাটির দিকে তাকাই,
তখনই শুনতে পাই তার বিদ্রোহী এই মাটির পরতে পরতে লেগে থাকা ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের আহাজারি।
যখন দৃষ্টি পরে লাল সবুজের রক্তিম পতাকার উপর তখন দেখতে পাই শহীদদের মলিন বদনখানী।
এমনি করে শহীদ তিতুর কবরের পাশে দাড়ালে শুনতে পাই তার বিদ্রোহী আত্মার আর্তনাদ।
টিপুর জিবনিতিহাস পড়লে চোখে ভেসে ওঠে টিপুর প্রতিচ্ছবি।
প্রিয় পাঠকগণ!
একটু সজাগ হোন!! কান খাড়া করে একটু শুনার চেষ্টা করুন,এই ভূখণ্ডে ত্রিশ লক্ষ শহীদের আহাজারি।
যেই দেশের স্বাধীনতার জন্য এত রক্ত,এতো মানুষ সমস্ত মায়ার ডোর ছিন্ন করে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিল,
ছিনিয়ে আনল একটি স্বাধীন দেশ,একটি স্বাধীন পতাকা।সেই স্বাধীন দেশ স্বাধীন পতাকা আর এদেশের মসনদ
ও ভাগ্য বিলম্বিত মানুষগুলোকে নিয়ে একটি টালবাহানা করার কারণেই শহীদদের এই কান্না।
তারা এই দেশের সার্বিক পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য করে এ দেশের দামাল ছেলেদেরকে যেন একথাই বলেছেন_
“ওহে বাংলা মায়ের সন্তানেরা তোমরা কি আমাদের রক্তে মাখা ইতিহাস শ্রবন করনি?
দেখনি এই দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটির জন্য আমরা কিভাবে জীবন দিলাম?
যদি দেখে কিংবা সেই সব ইতিহাস পড়ে থাকো,তবে এখনও কেন হুংকার দিয়ে রুখে দাড়াও দেশদ্রোহী সেই সব দালালদের বিরুদ্ধে?
যারা কেড়ে নিতে চায় আমাদের এই কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে।ঐ দালালেরা পশ্চিমাদের হাতে বিক্রি করতে চায়,
আমাদের এই দেশটাকে।এই সোনার বাংলার সম্ভাব্য পরাধীনতা রুখতে কিংবা দেশ ধ্বংসের সর্বপ্রকার নীলনকশার
বাস্তবায়ন নস্যাৎ করতে ও সার্বিক পরিস্থিতির শান্তির একমাত্র হাতিয়ার হল মহাগ্রন্থ আল-কোরআন।
আর এর বাস্তবায়নের জন্য সেই সমস্ত কঠিন হাত প্রয়োজন,যা ছিল শহীদ টিপু সুলতানের,ছিল তিতুমীরের,
ও হারিয়ে যাওয়া সেই সব ৩০লক্ষ শহীদানের।আর যখনই শহীদ হওয়ার পিপাসা নিয়ে জেগে উঠবে
বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা,তখনই সম্ভব হবে এ দেশটাকে ডিজিটাল রূপে গড়ে তোলা।
লিখেছেনঃ
ক্বারী মাওলানা মিজানুর রহমান সাইফ শিক্ষকঃদারুল উলুম সোনাপুর রূপাপুর মাদ্রাসা।
ইমাম ও খতিবঃ সোনাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।