(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
بسم الله الرحمن الرحيم
তাহাজ্জুদ ও আউয়াবিন নফল নামাজের অন্তর্ভুক্ত।নিশ্চয়ই ফরজের ঘাটতি পূরণ করে।
তাই নফল সবাইকে পড়তে হবে।আর যদি নফল নামাজটা রমযানে আদায় হয়,তাহলে ফরজের সমান সাওয়াব লিখিত হয়।
আর এই নফল নামাজ পরতে হয় একাকী জামাআতের সহিত পরতে হলে তার কিছু নিয়ম রয়েছে।যেগুলো নিম্নলিখিত হয়েছে।
আর নফল নামাজ জামাতে পড়ার হুকুম হল-
যদি মুক্তাদি দু'জন হয়, তাহলে তা জায়েজ আছে। আর যদি তিনজন হয়,
তাহলে এব্যাপারে ইমামদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।
অনেকের মতে মুক্তাদি তিনজন হলেই সেই জামাত মাকরুহে তাহরিমি।
কিন্তু মুক্তাদি যদি চারজন বা তারচেয়ে বেশি হয়,
তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে সেই জামাত মাকরুহে তাহরিমি তথা হারামের কাছাকাছি।
আর বর্তমানে সাধারণত তাহাজ্জুদ ও আউয়াবিনের জামাতে দশ-বিশ বা তারচেয়েও বেশি সংখ্যক মানুষ হয়ে থাকে।
তাই এই জামাত মাকরুহে তাহরিমি।
তাহাজ্জুদ ও আউয়াবিন উত্তম ইবাদত, অনেক সোয়াবের কাজ।
কিন্তু তা একা পড়াই উত্তম। জামাতে পড়ার ক্ষেত্রে মুক্তাদি চারজন বা তারচেয়ে বেশি হলে, সেটা জায়েজ নেই।
সেই জামাত পরিত্যাগ করা উচিত।
সূত্র: হালাবি কাবির : ১ : ৪৩২; হাশিয়াতুত তাহতাবিআলাদ্দুররিল মুখতার : ১ : ২৪০;
ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ২ : ২৯৩;রদ্দুল মুহতার : ২ : ২৮৮;
ইমদাদুল আহকাম : ২ : ২২৫; ফাতাওয়া কাসিমিয়া : ৮ : ২৩৬
মুসলিমবিডিতে আরো পড়ুন 👇👇👇
তাহাজ্জুদ ও তারাবীহ নামাজের পার্থক্য এবং বিশ রাকাত তারাবীহের দলীল, রাত্রি জাগরণ ও তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত, তাহাজ্জুদের নামাজ কত রাকাত এবং এর হুকুম কি, আদর্শ পরিবার গঠনে স্বামী ও স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য