Breaking News
Home / জরুরী মাসাইল / নামাজে কোরআন শরীফ দেখে দেখে পড়া জায়েয কি নাঃ নঙ্গে আসলাফ আফজাল

নামাজে কোরআন শরীফ দেখে দেখে পড়া জায়েয কি নাঃ নঙ্গে আসলাফ আফজাল

(বিডি২৪ডটকম)

নামাজে কোরআন শরীফ দেখে দেখে  পড়া জায়েয কি নাঃ নঙ্গে আসলাফ আফজাল

بسم الله الرحمن الرحيم

বিনা প্রয়োজনে ে কোরআন দেখে সকল মাযহাবে

পবিত্র কুরআনের আয়াত,নবিজি স,: এর আমল,খোলাফায়ে রাশেদীনের মতামত,

সাহাবায়ে কেরামের রা: অভিমত,তাবেয়ীদের অভিমত দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে,

স্বাভাবিক অবস্থায় নামাজে কোরআন দেখে তিলাওয়াত করা সুন্নাত পরিপন্থী ও মাক

অবশ্য কিছু ক্ষেত্রে নামাজ ভঙ্গের কারণও হয়ে যেতে পারে।

এখন আমরা এ ব্যাপারে আপনাদের সামনে ফুকাহাদের অভিমত তুলে ধরবো।ইনশা

এ ব্যাপারে ফুকাহায়ে কেরামের থেকে বিভিন্ন রকম মতামত পাওয়া যায়।

কেউ বলেছেন নামাজে কোরআন দেখে পড়লে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে, কেউ বলেছেন মাকরুহ হবে, আবার কেউ জায়েয বলেছেন।

যারা নামাজে কোরআন দেখে পড়ার অনুমতি দিয়েছেন তাদের অধিকাংশই মুলত জরুরত বা ওযরের ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছেন।

বিনা কারণে পড়া জায়েযের পক্ষে তারাও মত দেননি।নিন্মে চার মাযহাবের মতামত তুলে ধরা হলো-

মালেকি মাযহাবের অভিমত

أنبأنا ابن وهب قال سمعت مالكا وسئل عمن يؤم الناس في رمضان في المصحف فقال لا بأس بذلك إذا اضطروا إلى ذلك

অর্থঃ ইবনে ওয়াহাব রাহ. বলেন, আমি রাহ. থেকে শুনেছি,

তাকে রমজানে তারাবীহের নামাযে কুর'আন দেখে দেখে পড়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

যদি দেখে পড়া ছাড়া না চলে তবে দেখে পড়তে অসুবিধে নেই।

সূত্রঃ কিতাবুল মাসাহিফ পৃ:১৯৩

ইমাম মালেক র: এর উক্ত কথা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, কোরআন না দেখে পড়তে পারলে অর্থাৎ থাকলে দেখে পড়বে না।

হাম্বলী মাযহাবের অভিমত

ইমাম আহ রঃ কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বলেছিলেন-

ما يعجبني الا يضطر الي ذلك

অর্থাৎ আমি এটাকে উপযোগী মনে করি না। তবে অনোন্যপায় হলে ভিন্ন কথা।

সূত্রঃ ফাতহুর রহমান পৃঃ১২৭ মুখতাসারু কিয়ামিল লাইল পৃঃ ২৩৩

উপরন্তু ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল র: কে রমজানে নামাজে কোরআন দেখে পড়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে,

فقال اذا اضطروا الي ذلك

অর্থ: তিনি বলেন,' যদি অনোন্যপায় হয় তাহলে করতে পারবে।

সূত্র: আন নূরুস সারী খ: ২ পৃ: ৪৮২

অর্থাৎ হাম্বলী মাযহাবেও মূলত কোরআন না দেখে পড়ারই পক্ষে।

কিন্তু যদি দেখে পড়া ছাড়া আর কোন উপায় না থাকে,

তাহলে সেক্ষেত্রে দেখে পড়ার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

শাফেয়ী মাযহাবের অভিমত

(শাফেয়ী মতাবলম্বী) ইমাম নববী র: বলেন

أن القراءة في المصحف لا تبطل الصلاة مذهبناو مذهب مالك وأبي يوسف ومحمد وأحمد. انتهى.

অর্থ: আল্লামা নববী রহ. বলেন, নামাযে কুর'আন দেখে পড়লে নামায নষ্ট হয় না।

এটি আমাদের মত ও ইমাম আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ, মালেক ও ইমাম আহমাদ রহ. এরও মত।

সূত্র: আল মাজমু খণ্ড-৪ পৃ: ২৭

এখানে ইমাম নববী র: বলেছেন, ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদ র: মত এবং তাদের (শাফেয়ীদের) মত একই।

অর্থাৎ নামাজ নষ্ট হবে না, তবে নামাজ নষ্ট না হওয়ার অর্থ এই নয় যে, বিনা প্রয়োজনে করলে মাকরুহ হবে না।

বরং বিনা প্রয়োজনে নামাজে কোরআন দেখে পড়লে মাকরুহ হবে,

একথা ইমাম নববী র: এর নিন্মের কথা থেকে ক্লিয়ার বোঝা যায়।

নববী রঃ বলেন-

لو قرأ القرآن من المصحف لم تبطل صلاته سواء كان يحفظه أم لا، بل يجب عليه ذلك إذا لم يحفظ الفاتحة.

ولو قلب اوراقه احيانا في صلاته لم تبطل ولونظر في مكتوب غير القرأن ورددها فيه في نفسه

لم تبطل صلاته وان طال لكن يكره نص عليه الشافعي في الاملاء واطبق عليه الاصحاب

অর্থ: যদি কেউ নামাজে কোরআন দেখে পড়ে তাহলে তার নামাজ নষ্ট হবে না,চাই কোরআন হিফজ থাকুক বা না থাকুক।

বরং যদি কারো সূরায়ে ফাতেহা হিফজ না থাকে তবে নামাযে দেখে পড়া তার জন্য তো ওয়াজিব

এবং কোরআনের পৃষ্ঠা কখনো পরিবর্তন করলেও নামায ভঙ্গ হবে না।

আর যদি কোরআন ছাড়া অন্য অন্য কোন লেখার দিকে তাকিয়ে থাকে

এবং দীর্ঘ সময়ও যদি মনে মনে উচ্চারণ করতে থাকে তবুও নামাজ নষ্ট হবে না। তবে মাকরুহ হবে।

এব্যাপারে ইমাম শাফেয়ী র: স্পষ্ট করে লিখে গেছেন,যে কথার উপর সমস্ত শাফেয়ীরা একমত।

সূত্র: আল মাজমু খ:৪ পৃ:২৭

অর্থাৎ বিনা প্রয়োজনে নামাজে অমনোযোগী হলে নামাজ মাকরুহ হয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন-

ويكره ان يلتفت في صلاته من غير حاجة

অর্থ: বিনা প্রয়োজনে নামাজের ভেতর এদিক সেদিক তাকানো মাকরুহ।

সূত্র: আল মাজমু খ:৪ পৃ:২৮

সুতরাং আমরা ইমাম নববী র: এ কথা দ্বারা বুঝতে পারি যে,যদি বিনা কারণে কোরআন দেখে পড়ে

তাহলে নামাজ নষ্ট না হলেও নামাজে অমোনোযোগী হওয়ার কারণে তার নামাজ মাকরুহ হয়ে যাবে।

হানাফী মাযহাবের অভিমত

اذا قرأ في صلاته في المصحف فسدت صلاته عند ابي حنيفة وعند ابي يوسف ومحمد رحمهما الله صلاته تامة ويكره ذلك

অর্থ: যদি কেউ নামাজে কোরআন দেখে পড়ে তাহলে তার নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। এটা ইমাম আযম আবু হানিফা র: এর অভিমত।

কিন্তু ইমাম আবু ইউসুফ র: ও ইমাম মুহাম্মদ র: বলেন- নামাজ আদায় হবে কিন্তু এমনটা করা মাকরুহ হবে।

সূত্র: আল মাবসুত খ:১ পৃ:২০১

 

About আবদুল্লাহ আফজাল

হাফিজ মাওঃ মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আফজাল। ২০১২ সনে হিফজ সম্পন্ন করেন। উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন২০১৬ সনে। দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন ২০২০ সনে। ঠিকানা: বালাগঞ্জ, সিলেট। মোবাইল নাম্বার: 9696521460 ইমেইল:hafijafjal601@gmail.com সকল আপডেট পেতে এবং ওয়েবসাইটে লিখা পাঠাতে ফেসবুক পেজ👉MD AFJALツ ফলো করুন।

Check Also

কোর্ট ম্যারেজ বৈধ না অবৈধ

(Muslimbd24.Com) আদালতের মাধ্যমে বিবাহের প্রচলিত পদ্ধতি হল,  ছেলে – মেয়ে  উভয়ে রেজিস্টারএর কাছে নিকাহনামা তে …

Powered by

Hosted By ShareWebHost