(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
بسم الله الرحمن الرحيم
ان اصلوة كانت علي المؤمنين كتابا موقوتا অর্থাৎ নামাজ মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময় আদায় করাকে ফরজ করা হয়েছে।
হাদীস শরীফে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে বেহেশতের চাবি উল্লেখ করে বলেন مفتاح الجنة الصلوة
সুফি- সাধক গন নামাজ কে মে'রাজের সাথে তুলনা করে বলেন الصلوة معراج المؤمن
অতএব উল্লেখিত আয়াত,হাদিস,ও মাকুলার দারা আমরা বুঝতে পারলাম নামাজ সঠিক সময় সঠিক ভাবে আদায় করতে হবে।
আরো জানতে পারলাম নামাজ সঠিক ভাবে আদায় করলে বেহেশত উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
আরো জানতে পারলাম নামাজ সঠিক ভাবে আদায় করলে মহান রাব্বুল আলামীনের সাথে কথোপকথন করা যায়।
উল্লেখিত বিষয় সমূহ বুঝে থাকলে আসুন এখন জেনে নেই
নামাজের ফজিলত সমূহ
এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ পড়ার ফায়দা উল্লেখ করে উপমাকারে ইরশাদ করেন।
তোমাদের কারো বাড়ির পাশে যদি একটি কুপ থাকে, আর সে ব্যক্তি দৈনিক পাঁচবার ঐ কূপে গোসল করে তার শরীরে কোন ময়লা থাকবে?
সাহাবা আজমাঈন বললেন না অবশ্যই তার শরীরে ময়লা অবশিষ্ট থাকবে না। তিনি বললেন নামাজ ঐ রকম।
যে ব্যক্তি দৈনিক পাঁচবার নামাজ সুন্নাহ পদ্বতিতে আদায় করবে ঐ ব্যক্তির ন্যায় তার অন্তর পরিষ্কার হয়ে যাবে কোন ময়লা অবশিষ্ট থাকবে না।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন وامر اهلك بالصلاة و اصطبر عليها لا نسألك رزقا نحن نرزقك و العاقبة للتقوي
এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নির্দেশ দিচ্ছেন
আপনার পরিবার-পরিজনকে নামাজের নির্দেশ দিন এবং উহার ইহতিমাম করুন এর দারা আপনি রিযিক কামনা করবেন না।আমিই আপনাকে রিযিক দেব।
প্রিয় বন্ধুগন!
নামাজ সঠিকভাবে সঠিক সময় আদায় করলে আল্লাহ তাআলা রিযিকের ওয়াদা দিচ্ছেন।
রাসুল সাঃ وحي غير متلو দ্বারা উপমার মাধ্যমে বুঝালেন নামাজ পড়লে সমস্ত গুনাহ মাফ করা হয়।
অতএব ভাই বন্ধুগন! আমরা দৈনিক পাঁচবার নামাজ আদায় করব নিজে পড়ব অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করব। ইনশাআল্লাহ।
وما توفيقي الا بالله