(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ করেছেন
ان الصلاة كانت علي المؤمنين كتابا موقوتا অর্থঃনিশ্চই নামাজ মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময় আদায় করা ফরজ।
আর এই নামাজ যখন তার নিয়মানুযায়ী তথা সুন্নাহ পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে, তখন ব্যক্তি অবশ্যই তার ফজিলত লাভ করবে।
আর যখন সুন্নাহ পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে না তখন কেবল ফরজিয়্যাত আদায় হবে, কোন ফজিলত লাভ হবে না।
সু্প্রিয় পাঠক/পাঠিকা
আসুন নামাজের ফজিলত সমূহ জেনে সুন্নাহ পদ্ধতিতে নামাজ সম্পন্ন করি,এবং তার ফজিলত লাভ করে ধন্য হই।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা:) থেকে বর্ণিত আছে যে,
নবী কারীম (সা:) বলেছেন, ইসলাম ধর্ম পাচটি খুটির উপর প্রতিষ্ঠিত।
প্রথমত
এই কথার সাক্ষ্যদান করা যে এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন মা'বুদ নাই,এবং মোহাম্মদ (স:) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।
দ্বিতিয়ত
নামাজ কায়েম করা।
তৃতীয়ত
যাকাত আদায় করা।
চতুর্থতম
হজ্ব করা।
পঞ্চমতম
রমজান শরিফের রোজা রাখা।
ফায়েদা:
উল্লেখিত পাচটি বিষয়ই ঈমানের মূল ভিত্তি। হুজুরে পাক (স:) এই হাদিসে ইসলামকে পাক স্তম্ভ বিশিষ্ট তাবুর সাথে তুলনা করেছেন।
কালেমায়ে শাহাদাত তাবুর মধ্যবর্তী খুটি স্বরূপ।
চারটি রোকন অর্থাৎ নামাজ,রোজা,হজ্ব,যাকাত, চারটি কোনের চারটি খুটি স্বরূপ।
মধ্যবর্তী খুটি না থাকলে তাবু খাড়া করাই যায় না
আর মাঝখানের খুটি আছে অথচ অন্য চারটির যেকোনো একটি খুটির অভাব দেখা দিলে তাবু খাড়া করা যাবে ঠিকই,
কিন্তু খুটিহীন কোনটি নিম্নমুখী ও ভুলুন্ঠিত হয়ে পরবে।
নবী কারীম (স:) এর এই পবিত্র বাণী শোনার পর আমাদের ভেবে দেখা উচিত,
আমরা ইসলামের এই তাবুকে কতটুকু কায়েম রেখেছি
এবং কোন স্তম্ভটিকে আমরা যথাযথভাবে সামলে রেখেছি।
ইসলামের এই গুরত্বপুর্ন পাচটি রোকনের মধ্যে সবকয়টি মুসলামনের জন্য অবশ্য কর্তব্য,
তবে ঈমানের পর সবচাইতে গুরত্বপুর্ন হল নামাজ।
হজরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রা:) বলেন যে, আমি হুজুর (স:) কে জিজ্ঞাসা করলাম-
কোন আমল আল্লাহ তায়ালার কাছে অধিক প্রিয়?
তিনি বললেন, নামাজ। আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম তারপর কোন আমল বেশি প্রিয়, তিনি বললেন, মাতাপিতার সাথে সদ্ব্যবহার।
তারপর কোন আমল জিজ্ঞাসা করলে বললেন, জেহাদ।
মোল্লাআলী ক্বারী (রহ:) বলেছেন, আলেমদের মতে এই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে
ঈমানের পর নামাজই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন বিষয়।
অন্য হাদিসে আছে, আল্লাহ তায়ালার মনোনিত সর্বোত্তম আমল হল নামাজ।
অন্যান্য সহিহ হাদিসে বর্ণিত আছে, তোমাদের আমল সমূহের মাঝে নামাজই সর্বোত্তম।
হজরত ছওবান, ইবনে ওমর, ছালমা, আবু উমামা ও উবাদা (রা:) হতে বর্ণিত হাদিসে আছে যে,
সময়মত নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম আমল।
হজরত ইবনে ওমর ও উম্মে ফরওয়াহ (রা:) হতে আউয়াল ওয়াক্তে নামাজ পড়াকে আফজল আমল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
উক্ত হাদিস সমূহের মূল লক্ষ্য প্রায় একইরূপ।