Breaking News
Home / তাবলীগ / সৎকাজের আদেশ ছেড়ে দেওয়া-ই এ উম্মতের অধপতনের কারণ

সৎকাজের আদেশ ছেড়ে দেওয়া-ই এ উম্মতের অধপতনের কারণ

(২৪ডটকম)

সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ ছেড়ে দেওয়া ই এ উম্মতের অধপতনের কারণ

بسم الله الرحمن الرحيم

ভুমিকাঃ

আমার পরম শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী আলেমকুল শিরোমণি হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ ইলিয়াস রহমাতুল্লহ আ'লাইহি এর

বিশেষ অনুরাগ ও গভীর আগ্রহে এবং অন্যান্য বুজুর্গানে দ্বীন ও উলামায়ে উম্মতের তাওয়াজ্জুহ,

বরকত ও সক্রিয় চেষ্টা-সাধনায় কিছুকাল যাবত দ্বীনের তাবলীগ ও ইসলামের প্রচারের কাজ বিশেষ নিয়মে

একাধারে চলিয়া আসিতেছে, যাহা সম্পর্ সচেতন মহল ভালোভাবে অবগত আছেন।

আমার মত বে-এলেম ও গোনাহগারের প্রতি ঐ সকল নেক ব্যক্তিবর্গের হুকুম হইয়াছে যে,

তাবলীগের এই পদ্ধতি এবং ইহার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাকে লিপিবদ্ধ করিয়া দেওয়া হউক,

যাহাতে বিষয়টি বুঝিতে ও বুঝাইতে সহজ হয় এবং উপকারিতাও ব্যাপক হইয়া যায়।

নির্দেশ পালনার্থে এই কয়েকটি কথা লিপিবদ্ধ করা হইতেছে।

যাহা ঐ সমস্ত নেক ব্যক্তিবর্গের এলম ও জ্ঞান সমুদ্রের কয়েকটি ফোঁটা মাত্র

এবং দ্বীনের মুহাম্মাদীর ঐ বাগানের কয়েকটি গুচ্ছ মাত্র যাহা অত্যন্ত তাড়াহুড়ার মধ্যে সংকলন করা হইয়াছে।

যদি ইহাতে কোন ভুলত্ পরিলক্ষিত হয়, তবে ইহা আমার দুর্বল লেখনী ও অজ্ঞতার ে হইয়াছে।

মেহেরবানী ও অনুগ্রহের দৃষ্টিতে উহা সংশোধন করিয়া দিলে কৃতজ্ঞ হইব।

আল্লহ তায়া'লা আপন দয়া ও অনুগ্রহে আমার বদ আমাল ও আমার গোনাহ সমূহকে গোপন রাখুন

এবং আমাকে ও আপনাদিগকে ঐ সমস্ত নেক ব্যক্তিবর্গের উসিলায় নেক আমালও নেক আখলাকের তৌফিক দান করুন,

আপন সন্তুষ্টি ও মুহাব্বাত এবং তাঁহার মনোনীত দ্বীনের প্রচার ও তাঁহার প্রিয় রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লামের

অনুকরণ ও অনুসরণের তওফিক দান করিয়া সম্মানিত করুন।

আরজ-গুজার

বুযুর্গানের পদধুলি মুহাম্মাদ এহতেশামুল হাসান মাদরাসা কাশিফুল উলুম বস্তি হযরত নিজামুদ্দিন আওলিয়া দিল্লী (ভারত)

১৮ রবীউসসানীঃ ১৩৫৮

গৌরবময় অতীত

আজ হইতে প্রায় সাড়ে তের শত বছর পূর্বে দুনিয়া যখন কুফর ও গোমরাহী,

মূর্খতা ও অজ্ঞতার অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, তখন মক্কার প্রস্তরময় পর্বতমালা হইতে সত্য ও হেদায়াতের চন্দ্র উদিত হয়

এবং পূর্ব-পশ্চিম উত্তর-দক্ষিন–এক কথায় সকল প্রান্তকে স্বীয় নূর দ্বারা আলোকিত করে

এবং তেইশ বছর সময়ের মধ্যে মানব জাতিকে উন্নতির ঐ স্তরে পৌঁছাইয়া দেয়

যাহার নজীর পেশ করিতে গোটা জগতের ইতিহাস অক্ষম।

সত্য, হেদায়াত, কল্যাণ ও কামিয়াবীর এমনি মশাল মুসলমানদের হাতে তুলিয়া দেয়

যাহার আলোতে মুসলমানগন উন্নতির রাজপথ ধরিয়া অগ্রসর হইতে থাকে।

শতশত বছর ধরিয়া একন জাঁকজমকের সহিত দুনিয়ার বুকে রাজত্ব করে

যে,কল বিরোধী শক্তিকে আঘাতে আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ হইয়া যাইতে হয়।

ইহা একটি অনস্বীকার্য বাস্তব। কিন্তু এতদসত্ত্বেও একটি পুরাতন কাহিনী যাহার বারবার না সান্ত্বনাদায়ক,

আর না কোনরূপ উপকারী ও লাভজনক। কারণ বর্তমান অবস্থা ও ঘটনাবলী স্বয়ং

আমাদের অতীত ইতিহাস ও আমাদের পূর্বপুরুষদের গৌরবময় কৃতিত্বের উপর কলংকের দাগ লাগাইতেছে।

বর্তমান দূর্গতি

মুসলমানদের তেরশত বছরের কে যখন ইতিহাসের পাতায় দেখা যায় তখন জানা যায় যে,

আমরা ইজ্জাত ও শ্রেষ্ঠত্ব, শান ও শওকত এবং প্রভাব-প্রতিপত্তির একমাত্র ও একচ্ছত্র অধিকারী ছিলাম।

কিন্তু যখন ইতিহাসের পাতা হইতে নজর সরাইয়া বর্তমান অবস্থার উপর দৃষ্টিপাত করা হয়

তখন আমাদিগকে চরম লাঞ্ছিত ও অপদস্থ, নিঃস্ব ও অভাবগ্রস্থ জাতি হিসাবে দেখিতে পাওয়া যায়।

না আছে শক্তি-সামর্থ্য, না আছে ধন-দৌলত, না আছে শান-শওকত, না আছে পরস্পর ভ্রাতৃত্ব বন্ধন,না স্বভাব ভাল,

না আখলাক ভাল, না আমাল ভাল, না আচার- ভাল–সব ধরণের অকল্যাণ আমাদের মধ্যে, সব ধরণের কল্যাণ হইতে আমরা বহু দূরে।

বিধর্মীরা আমাদের এই দুরাবস্থার উপর আনন্দ বোধ করে, প্রকাশ্যে আমাদের দুর্নাম গাওয়া হয় এবং আমাদের লইয়া উপহাস করা হয়।

এখানেই শেষ নয় বরং স্বয়ং আমাদের কলিজার টুকরা নব সভ্যতার প্রতি অনুরক্ত যুবকগন,

ইসলামের পূত-পবিত্র বিধানসমূহকে উপহাস করে।কথায় কথায় দোষ খুজিঁয়া বেড়ায়

এবং এই পবিত্র শরীয়ত কে আমালের অযোগ্য, অনর্থক ও বেকার মনে করে।

অবাক হইতে হয় যে জাতি একদা পিপাসা মিটাইয়াছে, তাহারা আজ কেন পিপাসার্ত!

যে জাতি দুনিয়াকে সভ্যতা ও সামাজিকতার সবক পড়াইয়াছে, আজ তাহারা কেন অসভ্য ও অসামাজিক?

রোগ নির্ণয়ে ভুল

জাতির দিশারীগণ আজ হইতে অনেক আগেই আমাদের দুরাবস্থাকে অনুধাবন করিয়াছেন

এবং নানাভাবে আমাদের সংশোধনের চেষ্টা করিয়াছেন কিন্তু (কবির ভাষায়)– “চিকিৎসা যতই করা হইল রোগ ততই বাড়িয়া চলিল“

বর্তমান অবস্থা যখন অধিকতর শোচনীয় পর্যায়ে আসিয়া দাঁড়াইয়াছে

এবং অতীতের তুলনায় ভবিষ্যত আরও বেশী বিপদজনক

ও অন্ধকারময় দেখা যাইতেছে তখন আমাদের চুপ করিয়া বসিয়া থাকা এবং সক্রিয় চেষ্টা না করা এক অমার্জনীয় অপরাধ।

কিন্তু বাস্তব কোন পদক্ষেপ নেয়ার পূর্বে আমাদের অবশ্যই ঐ সকল কারণসমূহ চিন্তা করিতে হইবে,

যে সকল কারণে আমরা এই অপমান ও লাঞ্ছনার আযাবে পতিত হইয়ছি।

আমাদের অবনতি ও অধঃপতনের বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করা হয় এবং উহা দূর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হইয়াছে।

কিন্তু প্রতিটি পদক্ষেপ অনুপযোগী ও বিফল প্রমাণিত হইয়াছে।

ফলে আমাদের পথপ্রদর্শকগণকেও নৈরাশ্য ও হতাশায় নিমজ্জিত দেখা যাইতেছে।

বাস্তবও সত্য হইল এই যে, আজ পর্যন্ত আমাদের রোগ নির্ণয়ই সঠিকরূপে হয়নাই।

যে সমস্ত কারণ বলা হয় উহা প্রকৃত পক্ষে রোগ নয় বরং রোগের উপসর্গ মাত্র।

সুতরাং যতক্ষন পর্যন্ত প্রকৃত রোগের প্রতি মনযোগ দেয়া না হইবে

এবং রোগের মূল উৎসের সংশোধন ও চিকিৎসা না হইবে,

ততক্ষন পর্যন্ত উপসর্গের সংশোধন ও চিকিৎসা অসম্ভব ও অবাস্তব।

কাজেই যতক্ষন পর্যন্ত আমরা প্রকৃত রোগের সঠিক নির্ণয় ও উহার সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি জানিয়া না লইব

ততক্ষন পর্যন্ত সংশোধনের ব্যাপারে আমাদের মতামত ব্যক্ত করা মারাত্মক ভুল হইবে।

পতনের আসল কারণ

আমাদের দাবী হইল আমাদের শারিয়াত এমন এক পূর্ণাঙ্গ খোদায়ী বিধান যাহা কিয়ামাত পর্যন্ত

দুনিয়াবী ও দ্বীনী কামিয়াবীর জিম্মাদার। অতএব কোন কারণ নাই যে আমরা নিজেদের রোগ নিজেরাই নির্ণয় করিব

এবং নিজেরাই উহার চিকিৎসা শুরু করিয়া দিব।

বরং আমাদের জন্য জরুরী হইল কুরআনে হাকীম হইতে রোগ নির্ণয় করি

এবং হক ও হেদায়াতের মারকাজ এই কুরআন হইতে উহার চিকিৎসা পদ্ধতি জানিয়া উহাকে কার্যে পরিণত করি।

আর কুরআনে হাকীম যেহেতু কিয়ামাত পর্যন্তের জন্য পরিপূর্ণ জীবন বিধান,

সেহেতু কোন কারণ নাই যে এই নাযুক পরিস্থিতিতে কুরআন আমাদের পথপ্রদর্শন করিতে অপরাগ হইবে।

যমীন ও আসমানের একমাত্র মালিক মহান আল্লহ তায়া'লার সত্য ওয়াদা রহিয়াছে যে,

পৃথিবীর বাদশাহী ও খেলাফত একমাত্র মুমিনদের জন্য।

পবিত্র কুরআন শরীফে এরশাদ হইয়াছে–

وَعَدَ اللَّـهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ

তোমাদের মধ্যে যাহারা ঈমান আনিয়াছে এবং নেক আমাল করিয়াছে

তাহাদের সহিত আল্লহ তায়া'লা ওয়াদা করিয়াছেন যে,

অবশ্যই তাহাদিগকে যমীনের খলীফা বানাইবেন। (সূরা নূরঃ ৫৫)

আর ইহাও সান্ত্বনা দিয়াছেন যে, মুমিনগণ সর্বদা কাফেরদের উপর জয়ী থাকিবে

এবং কাফেরদের কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী থাকিবেন না।

যেমন পবিত্র কুরআন শরীফে এরশাদ হইয়াছে–

وَلَوْ قَاتَلَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوَلَّوُا الْأَدْبَارَ ثُمَّ لَا يَجِدُونَ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا

আর যদি এই কাফেররা তোমাদের সহিত যুদ্ধ করিত,

তবে অবশ্যই তাহারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিয়া পলায়ন করিত

এবং তাহারা কোন সাহায্যকারী ও বন্ধু পাইতনা। (সূরা ফাতহঃ ২২)

আর মুমিনদের মদদ ও সাহায্য আল্লহ তায়া'লার জিম্মায় রহিয়াছে

এবং তাহারাই সর্বদা উন্নত শির ও মর্যাদাশীল থাকিবে।

وَكَانَ حَقًّا عَلَيْنَا نَصْرُ الْمُؤْمِنِينَ

আর মুমিনদিগকে সাহাযা করা আমার (সুরা রুমঃ ৪৭)

وَلَا تَهِنُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَنتُمُ الْأَعْلَوْنَ إ�

আর তোমরা চিন্তিত হইওনা তোমরাই তো বিজয়ী।

উম্মতের পতনের কারণ সৎকাজ ছাড়িয়া দেওয়া

উল্লেখিত হাদীসসমূহের উপর চিন্তা করার দ্বারা বুঝা যায় যে,

সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ ছাড়িয়া দেওয়া আল্লহ তায়া'লার লা'নত ও গজবের কারণ,

উম্মতে মুহাম্মাদী যখন এই কাজ ছাড়িয়া দিবে তখন তাহাদিগকে কঠিন মুসিবাত,

দুঃখ-যাতনা, অপমান ও লাঞ্ছনার মধ্যে লিপ্ত করা হইবে

এবং সর্ব প্রকার গায়েবী মদদ ও সাহায্য হইতে মাহরূম হইয়া যাইবে।

আর সব কিছু এইজন্য হইবে যে, তাহারা নিজেদের আসল দায়িত্ব ও কর্তব্য কে চিনিতে পারে নাই

এবং যে কাজ পুরা করা তাহাদের জিম্মাদারী ছিল সেই ব্যাপারে তাহারা গাফেল রহিয়াছে।

এই কারণেই হুযুর সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করাকে

ঈমানের বৈশিষ্ট্য ও অপরিহার্য অঙ্গ বলিয়া আখ্যায়িত করিয়াছেন

এবং উহা ছাড়িয়া দেওয়াকে দুর্বল ও নিস্তেজ ঈমানের আলামত বলিয়াছেন।

হযরত আবু সাঈ'দ খুদরী রদিয়াল্লহু আ'নহু বর্ণিত হাদিস শরীফে আছে–

অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে কেহ যখন কোন অন্যায় কাজ হইতে দেখে তবে সে যেন নিজের হাত দ্বারা উহাকে দূর করে,

আর যদি উহার শক্তি না রাখে যবান দ্বারা উহাকে দূর করে,

আর যদি উহারও শক্তি না রাখে তবে অন্তর দ্বারা উহাকে ঘৃণা করে, আর উহার এই শেষ অবস্থাটি ঈমানের সবচাইতে দুর্বল স্তর।

ইহা হইতে আরো স্পষ্ট হাদীস হযরত ইবনে মাসঊ'দ রদিয়াল্লহু আ'নহু হতে বর্ণিত আছে।

অর্থাৎ আল্লহ তায়া'লা নীতি এই যে, প্রত্যেক নবী আপন সঙ্গী ও যোগ্য অনুসারীদের এক রাখিয়া যান।

এই জামাত নবীর সুন্নতকে কায়েম রাখে এবং যথাযথ ভাবে উহার অনুসরণ করে

অর্থাৎ শারিয়াতে ইলাহী কে নবী যে অবস্থায় এবং যে রূপে ছাড়িয়া গিয়াছেন,

তাঁহারা উহাকে অবিকল হেফাযত করেন এবং উহাতে সামান্যতম পরিবর্তন আসিতে দেন না।

কিন্তু উহার পর খারাপি ও ফেৎনা-ফাসাদের যামানা আসে এবং এমন লোক পয়দা হয় যাহারা নবীর তরীকা ও আর্দশ হতে সরিয়া যায়।

দাওয়াতের কাজের গুরত্ব সম্পর্কে ইমাম গাযালী রহমাতুল্লহ আ'লাইহি এর অভিমত

এই কাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাকে ইমাম গায্‌যালী রহমাতুল্লহ আ'লাইহি এইরূপে ব্যক্ত করিয়াছেনঃ

‘ইহাতে কোন সন্দেহ নাই যে, সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ

দ্বীনের এমন এক শক্তিশালী স্তম্ভ যাহার সহিত দ্বীনের সমস্ত কাজ সম্পর্কযুক্ত।

এই কাজকে আঞ্জাম দেয়ার জন্য আল্লহ তায়া'লা সমস্ত আম্বিয়া কেরাম আ'লাইহিমুস সালাম কে দুনিয়াতে পাঠাইয়াছেন।

খোদা না করুন যদি এই কাজকে ছাড়িয়া দেয়া হয় এবং ইহার ইলম ও আমালকে পরিত্যাগ করা হয়

তবে নাউযুবিল্লাহ নবুওয়াত বেকার সাব্যস্ত হইয়া যাইবে,

ব্যাপক হইয়া যাইবে, গোমরাহী ও পথভ্রষ্টতার প্রশস্ত রাস্তাসমূহ খুলিয়া যাইবে,

সারা দুনিয়া অজ্ঞতায় ডুবিয়া যাইবে, সমস্ত কাজ কর্মে খারাবী আসিয়া যাইবে,

পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মতবিরোধ শুরু হইয়া যাইবে, সমাজ খারাপ হইয়া যাইবে, মাখলুক ধ্বংস ও বরবাদ হইয়া যাইবে।

এই ধ্বংস ও বরবাদী তখন বুঝে আসিবে যখন হাশরের দিন খোদায়ে পাকের সামনে হাজির হইতে হইবে ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হইবে।'

আফসোস, শত আফসোস যে আশংকা ছিল, উহাই সামনে আসিয়া গেল,

আর মনে যে খটকা ছিল উহাই চোখে দেখিতে হইল–

আল্লহ তায়া'লার বিধান সুনির্ধারিত–ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রজিউন।

সেই সতেজ স্তম্ভের (দাওয়াতের) ইলম ও আমালের নিদর্শনসমূহ মিটিয়া গিয়াছে,

উহার হাকীকত ও জাহেরী আমালের বরকতসমূহ খতম হইয়া গিয়াছে।

অন্তরে মানুষের প্রতি মানুষের অবজ্ঞা ও ঘৃণা জন্মিয়া গিয়াছে,

আল্লহ তায়া'লার সহিত অন্তরের সম্পর্ক বিনষ্ট হইয়া গিয়াছে।

নফসের খায়েশাতের অনুসরণে মানুষ জীব জন্তুর মত নির্ভীক হইয়া গিয়াছে।

বস্তুতঃ যমীনের বুকে এমন সত্যবাদী মুমিন পাওয়া শুধু কঠিন ও দুর্লভই নহে

বরং বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে, যিনি হক ও সত্য প্রকাশের খাতিরে কাহারও তিরষ্কার সহ্য করিবেন।

(সুত্র ফাজায়েলে আ'মাল)

About আবদুল্লাহ আফজাল

হাফিজ মাওঃ মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আফজাল। ২০১২ সনে হিফজ সম্পন্ন করেন। উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন২০১৬ সনে। দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন ২০২০ সনে। ঠিকানা: বালাগঞ্জ, সিলেট। মোবাইল নাম্বার: 9696521460 ইমেইল:hafijafjal601@gmail.com সকল আপডেট পেতে এবং ওয়েবসাইটে লিখা পাঠাতে ফেসবুক পেজ👉MD AFJALツ ফলো করুন।

Powered by

Hosted By ShareWebHost