(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
بسم الله الرحمن الرحيم
يا ايها الناس التقو ا ربكم الذي خلقكم من نفس واحدة،وخلق منها زوجها و بث منهما رجالا كثيرا و نساء
والتقوا الله الذي تسألون في الارحام ان الله كان عليكم رقيبا
সুপ্রিয় পাঠক / পাঠিকাঃ
পুরুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উত্তম স্ত্রী যিনি জীবনে পান,তিনি একজন ভাগ্যবান পুরুষ।
তেমনি একজন স্ত্রীর কাছে যিনি ভালো স্বামী তিনিই প্রকৃত উত্তম চরিত্রের মানুষ।
একজন সফল ব্যক্তির পাশে থাকেন তার সুযোগ্য সহযোদ্ধা, সহযাত্রী, বন্ধু হিসেবে তার স্ত্রী।
সৎ এবং চরিত্রবান স্ত্রী একজন পুরুষের জন্য এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
একজন অসাধারণ জীবনসঙ্গিনীর অনেক উত্তম গুণাবলী হতে পারে।
তন্মধ্যে কিছু গুনাবলী হল
১) স্বামী বাইরে থেকে ফিরলে সম্ভব হলে দরজাটা নিজেই খুলে দেন,
একটি হাসি উপহার দিয়ে দু'জনের মাঝে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ চেয়ে তাকে বলেন,
“আসসালামু আলাইকুম।”
২) তার জীবনসঙ্গী কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর তাকে ফ্রেশ হয়ে নিতে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এগিয়ে দিন।
একটু কষ্ট করে তার জন্য সময়মত খাবারটি পরিবেশন করেন।
সুসংবাদটি তাড়াতাড়ি জানান এবং খারাপ সংবাদ থাকলে একটু সময় নিয়ে তারপর বলেন।
৩) স্বামীর নির্দেশনাগুলো শোনেন এবং সাধ্যমত চেষ্টা করেন যেন তাকে সন্তুষ্ট রাখা যায়।
কোন বিষয় নিয়ে স্বামীকে কখনো চাপে রাখেন না বরং তার মনে শান্তি দেয়ার চেষ্টা করেন।
৪) যদি তার জীবনসঙ্গী মানুষটা কখনো তাকে কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলে, তিনি নিজেকে শান্ত রাখেন।
খেপে যান না কেননা তিনি ধরেই নেন হয়ত তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দিতে চাননি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে গেছে।
৫) জীবনসঙ্গীর ছোট ছোট ভুলগুলো তিনি এড়িয়ে যান এবং তার ভালো কাজগুলোকে উৎসাহিত করেন।
তার পরিশ্রমের কাজগুলোর ব্যাপারে প্রশংসা করেন।
৬) নিজেকে পরিপাটি ও সুন্দর করে উপস্থাপন করেন ।
স্বামীর সামনে যা করেন তিনি অন্য কারো সামনে, কারো জন্য তা করেন না। সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করেন।
৭) সৌহার্দ্যপূর্ণ ভালোবাসার গলায় জীবনসঙ্গীর সাথে কথা বলেন।
এই কোমল সুরে তিনি অন্য কোন পুরুষের সাথে কখনো কথা বলেন না।
যাদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ নয় এমন পুরুষদের সাথে যথাসম্ভব কোমলতাহীন কন্ঠে,এবং সাধ্যমতন সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলেন।
এমনটাই ইসলামের শিক্ষা।
৮) তার স্বামীর আয় থেকে অতিরিক্ত ব্যয় করেন না, অবর্তমানে তিনি তার সংসারের সবকিছু এমনভাবে দেখভাল করেন,
যেন স্বামীর অপছন্দের কিছু না ঘটে।
৯) জীবনসঙ্গী যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, তিনি তার পাশে থাকেন,
ধৈর্যধারণ আর সদুপদেশ দিয়ে তাকে ধীরস্থির হয়ে সময় কাটিয়ে ওঠার পথে সাহায্য করেন।
১০) স্বামী তার প্রতি সঠিক আচরণ না করলেও ধৈর্য ধরেন, চেষ্টা করেন তাকে উত্তম উপায়ে তার প্রত্যুত্তর দিতে।
১১) শালীনতা রেখে উত্তম পোশাক পরেন যাতে পোশাকে রুচিবোধ ফুটে ওঠে। কেননা ঈমানের সাথে লজ্জার সম্পর্ক খুবই গভীর।
যিনি যত বেশি ঈমানের অধিকারী/অধিকারিণী তার লজ্জাবোধ তত বেশি।
একজন উত্তম মুসলিমাহ এসব বিষয়ে সচেতন দৃষ্টি রাখেন।
১২) সন্তানদের ইসলামিক জ্ঞানে বড় করে তুলতে সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু করেন।
নিজেও আন্তরিকভাবে ইসলাম সম্পর্কে শেখেন এবং স্বামী-স্ত্রী দু'জনে মিলে জীবনে ইসলামকে মেনে চলেন।
বাবা-মায়ের আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা নিজেরাও সচেতন থাকেন নিজেদের ব্যক্তিগত চরিত্র, স্বভাব এবং আচরণ নিয়ে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সহি পথ অনুসরণ অনুকরণ করার তৌফিক দান করুন।
এবং আমরা যেন কোরআন সুন্নাহ মেনে মুমিনদের আওতাভুক্ত হয়ে কবরবাসী হওয়ার তৌফিক দিন,,, আল্লাহুম্মা আমিন ,,,
পরিশেষে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি এরকম গুণসম্পন্ন স্ত্রী যেন প্রত্যেককে দান করেন।
الهم اعطنا زوجة صالحة و حسنا و جميلة و تقيا