ইসলাম অনিবার্য কারণে মানুষকে শাস্তির সম্মুখীন ও বিচারের আওতাধীন করলেও তাদের প্রতি পরম সহানুভূতি হয়েছে।
ইসলাম মানুষ কে শাস্তি দিতে চায় না,পাপ থেকে নিবৃত্ত রাখতে চায়।এ কারণেই অনিবার্যভাবে বিশেষ কিছু অপরাধের জন্য,
শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।কিন্তু সেই শাস্তি প্রয়োগ করতে গিয়েও অপরাধীর প্রতি হজার রকমের,
অনুগ্রহ ও সহানুভূতিশীল আচরন করেছে।যেহেতু একজন নারী প্রসূতি হলে শারীরিক ভাবে দূর্বল থাকে।
এবং বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ না হলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও নয়,অথচ এ সময় শাস্তি প্রয়োগ করতে গেলে তার মৃত্যু হতে পারে।
একারনে এই অবস্থায় মানবতার নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ তার শাস্তি প্রয়োগ করতে বিলম্ব করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মানবতার তরে ইসলামের চেয়ে এর বেশি কে কি করতে সক্ষম
এসম্পর্কে হাদিসঃ
حدثنا محمد بن ابي بكر المقدميُّ حدثنا سليمان ابو داود حدثنا زائدة عن السدُّيِّ عن سعد بن عبيدة عن ابي عبد الرحمن قال خطب علي
فقال يا ايها الناس أقيموا علي ارقّائكم الحدَّ من احصن منهم ومن لم يحصن فإنَْ أمة لرسول الله صلي الله عليه و سلم
زنت فأمرنى ان اجلدها فإذا هي حديث عهد بنفاس فخشيت إن أنا جلدتها أن أقتلها فذكرت ذالك للنبي صلي الله عليه و سلم فقال احسنت
অর্থঃ মুহাম্মদ ইবনু আবু বকর মুকাদ্দামী রহঃ আবু আব্দুর রহমান রহঃ থেকে বর্নিত,তিনি বলেন একদা হযরত আলী রাঃ এক ভাষনে বললেন,
হে লোক সকল! তোমরা তোমাদের (ব্যভিচারী) দাস দাসির উপর শরিয়তের হুকম দন্ড বিধি কার্যকর কর।
তারা বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত।রাসুল সাঃ এর এক দাসি ব্যভিচার করেছিল,তিনি তাকে বেত্রাঘাত করার জন্য আমাকে নির্দেশ দিলেন।
সে তখন (নিফাস গ্রস্থ) সদ্য প্রসূতি ছিল। আমি ভয় করলাম এমতাবস্থায় যদি তাকে বেত্রাঘাত করি তবে তাকে মেরেই ফেলব।
এ ঘটনা রাসুল সাঃ এর নিকট উল্লেখ করলাম।তখন তিনি বললেন তুমি ভালই করেছ।
এ সম্পর্কে আরেকটি হাদিস
ইসহাক ইবনে ইবরাহিম রহঃ সুদ্দি রহঃ থেকে বর্ণনা করেন, উল্লেখিত সনদে। “তুমি তাকে ছেড়ে দাও যতক্ষন পর্যন্ত সে নেফাস থেকে পবিত্র না হয়।
এ হাদিসদয় থেকে ও স্পষ্ট বুঝে আসে প্রসূতি নারীর দন্ড বিধি কার্যকর করতে রাসুল সাঃ বিলম্ব করেছেন।
তথ্যসুত্রঃ
ইযাহুল মুসলিম ২য় খন্ড।