(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
আউস ও খাযরাজ গোত্রের দায়িত্বশীল লোকেরা মদীনায় ফিরে যাওয়ার পর হুজুর আকরাম সাঃ এর নিকট চিঠি লিখলেন যে,
এখানে আল্লাহর মেহেরবানীতে ইসলামের প্রচার – পরিচিতি হয়েছে। এখন অনুগ্রহ করে এমন একজন সাহাবী আমাদের নিকট পাঠিয়ে দিন,
যিনি আমাদেরকে কোরআন শরীফ শিখাবেন, লোকজনকে ইসলামের দিকে আহব্বান করবেন।
আমাদেরকে শরীয়তের হুকুম আহকাম শিক্ষা দিবেন এবং নামাজ আদায় করার সময় তিনি আমাদের ইমাম হবেন।
তাদের চিঠির জবাবে রাসুল সাঃ হযরত মুসআব ইবনে উমায়ের রাঃ কে কুরআন শিক্ষা দেওয়া এবং অন্যান্য কাজের জন্য মদীনায় পাঠালেন।
এভাবেই মদীনায় ইসলামের প্রথম মাদরাসার ভিত্তি স্থাপন হয়। (সীরাতে হালাবিয়্যা ১ম খন্ড পৃষ্ঠা ৪০৩)
মদীনা থেকে ৪র্থ হিজরীতে হজ্ব করতে যারা আসেন
পরবর্তী বছর হজের মৌসুমে মদীনা মুনাওয়ারা হতে একটি বড় কাফেলা মক্কা শরীফে আগমন করে।
এতে সত্তরজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা ছিলেন। নবী করীম সাঃ তাদের অভ্যর্থনা জানালেন,
এবং তাদের সাথে রাত্রিবেলা আকাবার নিকট একত্রিত হওয়ার ওয়াদা করলেন। ওয়াদা মাফিক মাঝরাতে সকলে একত্রিত হলেন।
সে সময় রাসুল সাঃ এর চাচা হযরত আব্বাস রাযিঃ সেখানে উপস্থিত ছিলেন, যদিও তিনি তখন ইসলাম কবুল করেননি।
সবাই সমবেত হলে হযরত আব্বাস রাযিঃ সকলকে লক্ষ্য করে বললেন, “এ আমার ভাতিজা (মুহাম্মদ সাঃ)
সব সময় নিজ গোত্রে সম্মান ও নিরাপত্তার সাথে বসবাস করে এসেছে। আপনারা যারা তাকে মদীনায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন,
তারা ভালভাবে বুঝে নিন, যদি আপনারা তার সাথে সম্পাদিত চুক্তি পূরণ করতে পারেন এবং বিরোধীদের হাত থেকে তাকে পুরোপুরি নিরাপদ রাখতে পারেন,
তাহলে তার দায়িত্ব গ্রহণ করুন। তা না হলে নিজ গোত্রেই থাকতে দিন। “