(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
রাসুল সাঃ এর দোয়ার বরকতে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা: ইসলাম ধর্ম গ্রহণে ধন্য হন।
তখনও পর্যন্ত মুসলমানদের সংখ্যা ৪০জন পুরুষ ও ১১জন মহিলার অধিক ছিল না।ফারূকে আজম হযরত উমর রাঃ এর ইসলাম গ্রহণ করার কারণে,
মুসলমানদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শক্তি ও সাহস বৃদ্ধি পেল,এবং যে সকল লোক সুস্পষ্ট দলিলের ভিত্তিতে ইসলাম সত্য ধর্ম,
হওয়াকে বিশ্বাস করে নিলেও কুরাইশদের অত্যাচার নিপীড়নের ভয়ে এতদিন পর্যন্ত ইসলামকে প্রকাশ করতে পারেন নি,
তারা এখন প্রকাশ্যে ইসলামে প্রবেশ করতে লাগল।এভাবেই আরবের বিভিন্ন গোত্রে ইসলামের প্রচার ও উন্নতি হতে লাগল।
মুসলমানদের সাথে কুরাইশদের বয়কট
যখন কুরাইশরা দেখতে পেল যে, রাসুল সাঃ এবং তার সাহাবীদের ইজ্জত দিন দিন বেড়েই চলছে এবং হাবশার বাদশাহ তাদের সম্মান করছে,
তখন তারা নিজেদের শেষ পরিণতি নিজেরাই প্রতক্ষ্য করতে লাগল।তাই কুরাইশরা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল যে,
বনু আব্দুল মুত্তালিব ও বনু হাশিম গোত্রের নিকট এ দাবি জানানো হবে যে, তারা তাদের ভ্রাতুষ্পুত্রকে আমাদের হাতে তুলে দিবে,
নয়তো আমরা সবাই তাদের সাথে সম্পুর্ণভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করব।কিন্তু বনু আব্দুল মুত্তালিব তাদের এ প্রস্তাব কবুল করল না।
তখন সকলের ঐকমতে এ অঙ্গীকারনামা লিখা হল যে,বনু হাশিম ও বনু আব্দুল মুত্তালিবের সাথে সম্পুর্ন সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে।
আত্মীয়তার সম্পর্ক,বিয়ে-শাদী, বেচাকেনা,ইত্যাদি সব বন্ধ করে দেওয়া হবে।এ অঙ্গীকারনামা কা'বা শরীফের ভিতরে ঝুলিয়ে দেওয়া হল।
একটি পাহাড়ের উপত্যকায় রাসুল সাঃ এর সকল হিতাকাঙ্ক্ষীদের আবদ্ধ করে রাখা হলো।
সে সময় একমাত্র আবু লাহাব ব্যতীত বনু হাশিম ও বনু আব্দুল মুত্তালিবের সকল মুসলমান কাফির নির্বশেষে সবাই আবু তালিবের সাথে থাকে।
ফলে সবাই এ উপত্যকায় আবদ্ধ থাকতে হয়।সকল দিক থেকে রাস্তা বন্ধ ছিল।খাওয়া দাওয়ার যে দ্রব্যাদি তাদের সাথে ছিল তা ও শেষ হয়ে গেল।
ভীষন দুশ্চিন্তা ও দূর্ভাবনার সৃষ্টি হল।ক্ষুধার তাড়নায় গাছের পাতা খাওয়ার মত ঘটনা ঘটল।
দ্বিতীয়বার হাবশায় হিজরত
এ অবস্থা দেখে রাসুল সাঃ সাহাবায়ে কেরামদের পুনরায় হাবশায় হিজরত করার জন্য বললেন।
এবার বড় এক কাফেলা হিজরত করলেন,যাদের মধ্যে তিরাশিজন পুরুষ ও বারজন নারী ছিলেন।
তাদের সাথে ইয়ামানের মুসলমানরা ও এসে মিলিত হল,যাদের মধ্যে হযরত আবু মুসা আশআরি রা:ও তার বংশীয় লোকজন ছিলেন।
অবরোধ কতদিন স্থায়ী ছিল
প্রায় তিন বছর রাসুল সাঃ ও তার সাথি সঙ্গী অবরোদ্ধ থাকেন।এর রাসুল সাঃ কে ওহি মারফত জানানো হয় অঙ্গীকারনামা উইপোকা খেয়ে ফেলছে।
আল্লাহর নাম ব্যতীত আর কিছু বাকি নেই।অতঃপর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।