(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)

যখন কুরাইশ বংশের লোকেরা দেখতে পেল যে,বনু হাশিম ও বুনু আব্দুল মুত্তালিব গোত্র দু'টি রাসুল সাঃ এর সাথে রয়েছে।
আবার এদিকে হজ্বের মৌসুম ও নিকটে চলে এসেছে,এ মৌসুমে রাসুল সাঃ দীন প্রচারে নিশ্চয়ই খুব জোর চেষ্টা চালাবেন।
আর নবীজী সাঃ এর সত্য ভাষণে যে চৌম্বক আকর্ষণ রয়েছে,সে বিষয়ে ও সকলেরই জানা।
তাই তাদের মনে খুবই আশঙ্কা দেখা দিল যে,এবার হয়তো রাসুল সাঃ এর ধর্ম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
কাজেই তারা সবাই একত্রিত হয়ে পরামর্শে বসে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হল যে,মক্কার সবকটি রাস্তায় নিজেদের লোক বসিয়ে রাখা হবে।
তাহলে বহির্বিশ্ব হতে যে সমস্ত লোক আসবে তাদেরকে দূরে থাকতেই একথা বলে দেওয়া হবে যে,এখানে এক যাদুকর রয়েছে।
সে তার কথা দ্বারা পিতা-পুত্রে,স্বামী-স্ত্রীতে,এবং সকল আত্মীয় স্বজনের মধ্যে বিরোধ ও বিচ্ছেদ সৃষ্টি করে।তাই তোমরা কেউ তার নিকট যেওনা।কিন্তু
چراغے راکہ ایزدبر فروزد* کسے کش تف زندر یشش سوزد
আল্লাহর আদেশে যে বাতিটা জ্বলেছে * যে জন তারে নেভাতে চায় (তার) দাড়িই শুধু পুড়েছে।
আল্লাহর মহিমা! তাদে এ কর্মপন্থা নবী করীম সাঃ এর দাওয়াত ও তাবলীগেরই কাজ করে দিল।
তারা যদি এরকম না করত,তাহলে অনেকে হয়তো রাসুল সাঃ সম্পর্কে কোন কথাই শুনত না,কিন্তু তাদের এ প্রচেষ্টা সবাইকে মহানবী সাঃ এর প্রতি আকৃষ্ট করে তুলল।
কুরাইশদের অত্যাচার নির্যাতন এবং রাসুল সাঃ এর দৃঢ়তা
কুরাইশরা যখন ইসলাম প্রচারের কাজে বাধা দিয়ে ব্যর্থ হল এবং দেখতে পেল যে,রাসুল সাঃ এর দাওয়াত ক্রমশ ব্যপক থেকে ব্যাপকতর হচ্ছে,
এবং লোকেরা দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করছে,তখন তারা সব ধরনের নির্যাতন শুরু করল।
মক্কার কিছু ভবঘুরেদেরকে একত্রিত করে তাদেরকে এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করল যে,তারা নবীজীর সাঃ এর মজলিসে উপস্থিত হয়ে,
হাসি-ঠাট্টা করবে এবং যেকোনো ভাবে তাকে কষ্ট দিতে চেষ্টা করবে।
(সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া)