(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
রাসুল সাঃ এর বয়স যখন পয়ত্রিশ বছর,তখন কা'বা ঘর পুনর্নির্মাণ করা হয়।
বায়তুল্লাহ নির্মাণকাজে অংশ নেওয়াকে সকলেই সৌভাগ্য লাভ মনে করেন।এবং কুরাইশ বংশের সকল গোত্র এব্যাপারে কসম খেয়েছিল যে,
তারা বেশি থেকে বেশি এতে অংশ নিবে।সুতরাং একাজ সকল গোত্রের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হল,যাতে কোন দন্দ না লাগে।
এ বন্টন অনুযায়ী কা'বা ঘরের নির্মাণকাজ হজরে আসওয়াদ পর্যন্ত পৌঁছে গেল।এবার মতবেদ দেখা দিল
কে হজরে আসওয়াদ উঠিয়ে আপন স্থানে নিয়ে রাখবে?প্রত্যেক গোত্র এবং প্রত্যেক ব্যক্তি এ সৌভাগ্য অর্জনের প্রত্যাশি ছিল।এমনকি যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে গেল।
হজরে আসওয়াদকে নিয়ে সৃষ্ট মতভেদের নিরসন
যখন যুদ্ধের পরিস্থিতি তুমুল আকার ধারণ করল,তখন গোত্রের কিছু বিচক্ষণ ব্যক্তি পরামর্শের মাধ্যমে তা দূর করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
এবং এ উদ্দেশ্যে তারা মসজিদে একত্রিত হলেন।পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত হল,আগামীকাল ভোরে যে এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে সে সিদ্ধান্ত দেবে।
তার সিদ্ধান্তকে সকলেই গায়েবী সিদ্ধান্ত বলে মেনে নিবে।
কা'বা ঘরের দরজা দিয়ে সর্বপ্রথম কে প্রবেশ করেন এবং তিনি কি সিদ্ধান্ত দিলেন??
আল্লাহ তাআলার কি অপার মহিমা সর্বপ্রথম রাসুল সাঃ ই এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেন।তাকে দেখে সকলেই সমস্বরে বলে উঠলো ইনিই “আল-আমীন”।
আমরা সবাই তার বিচার মানতে রাজি।রাসুল সাঃ তাশরীফ আনলেন এবং এমন বিজ্ঞজনোচিত ফয়সালা করলেন যে,
সকলেই তাতে একমত হয়ে গেল।রাসুল সাঃ একটি চাদর বিছিয়ে স্বহস্তে হজরে আসওয়াদকে রেখে দিলেন।
এবং বললেন প্রত্যেক গোত্রের নির্বাচিত ব্যক্তিবর্গ চাদরের এক একটি কোনা ধরুক।অতএব এমনটি করা হলো।
অতঃপর নির্দিষ্ট স্থানে পৌছে গেলে রাসুল সাঃ স্বহস্তে উঠিয়ে সেখানে স্থাপন করেন।ইবনে হিশাম এ ঘটনা বর্ননা করার পর বলেন
নবুয়ত প্রাপ্তির পূর্বে সকল কোরাইশ ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাসুল সাঃ কে আল-আমীন বলতেন।
(সীরাতে ইবনে হিশাম ১মখন্ড:১০৫)