(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
সে সময় সমগ্র আরব ও আজম নবী করীম স:এর বিরোধিতায় উঠে পড়ে লেগেছিল।তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা আটছিল,
নানা ধরনের দোষারোপ করছিল।অপবাদ দিচ্ছিল,(নাউযুবিল্লাহ)গালি দিচ্ছিল,পাগল বলছিল,মিথ্যুক বলছিল।
মোটকথা তারা এ প্রখর দীপ্ত সূর্যের প্রতি ধুলি নিক্ষেপ করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে নিজেরাই লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়েছে।
এ সব কিছুই কাফিররা করছিল।কিন্তু কোন কাফির কি কোন সময় রাসুল সাঃ এর বিরুদ্ধে জৈবিক চাহিদার চারিতার্থ করার অপবাদ দিতে পেরেছে?
না,কখনোই না।এখানে মিথ্যা রটানোর সামান্য সুযোগ ও তারা পায় নি।নয়তো কোন সম্মানিত মানুষকে অপমানিত করার,
এর চেয়ে বড় হাতিয়ার আর হতে পারে না।যদি নবী করীম সা:এর মর্যাদায় আঘাত করার সামান্য সুযোগ তারা পেত,
তাহলে আরবের কাফের সম্প্রদায় যারা রাসুল সাঃ এর ঘরের খবরও জানত,তারা সেটিকে আরও বাড়িয়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করত।
কিন্তু তারা এতটাই মুর্খ ছিল না যে,এ সম্পর্কিত বাস্তব সত্যকে অস্বীকার করে নিজেদের বিশ্বাস যোগ্যতা হারাতে দেবে।
কেননা,তাকওয়া ও আল্লাহ ভীতির মূর্তপ্রতীক হুজুরে আকরাম সা:এর পবিত্র জীবনধারা সর্বসাধারণের সামনে উপস্থিত ছিল।
তাতে তারা দেখেছে,তিনি তার যৌবনকালের বিরাট এক অংশ শুধুমাত্র নির্জনতা ও একাকিত্বের মধ্যে কাটিয়েছেন।
এরপর যখন নবী করীম সা:এর বয়স পচিশ বছরে উপনিত হয় তখন হযরত খাদিজা রাঃ এর পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে।
তিনি তখন বিধবা ও সন্তানবতী হওয়ার পাশাপাশি ৪০বছর বয়সে বার্ধক্যের জীবন যাপন করেছিলেন।
রাসুল সাঃ এর সাথে বিয়ের পূর্বে তিনি দুজন স্বামীর ঘর করছেন।এবং সে সময় তিনি দুই পুত্র ওতিন কন্যার জননী ছিলেন।
নবুয়তের আশ্রয়স্থল রাসুল সাঃ এর দরবারে তার বিবাহের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয় নি।পরে তার জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি এ বিয়েতে কাটিয়ে দেন।
শুধু তাই নয়,বিবি খাদিজা রাঃ কে ঘরে রেখে পাহাড়ের নির্জন গুহায় দীর্ঘ এক একটি মাস পর্যন্ত শুধু আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থেকেছেন।
জীবনের এক বিরাট অংশ এ বিয়েতে কাটিয়েছেন।তাই তার যে ক'জন সন্তান জন্ম নিয়েছিল,
তারা সবাই ছিলেন হযরত খাদিজা রাঃ এর গর্ভজাত।
(সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া)