(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
ইসলামের প্রাথমিক যুগেও এ প্রথা এমনিভাবে সীমারেখা নির্ধারণ না করেই চলে আসছিল।
ফলে কোন কোন সাহাবীর একত্রে চারের অধিক স্ত্রী ছিলেন।হযরত খাদিজা রাঃ এর ইন্তেকালের পর
ইসলামের বিশেষ প্রয়োজনে হযরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন একসাথে ১০জন স্ত্রী।
পরবর্তীতে যখন দেখা গেল যে,বহু বিবাহের কারণে মহিলাদের অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে,মানুষ প্রথমে লোভের বশবর্তী হয়ে একধিক বিবাহ করে,
পরে তাদের সকলের অধিকার ও চাহিদা পরিপূর্ণরূপে আদায় করতে পারে না।তখন কুরআন শরীফের চিরন্তন বিধান,
যা পৃথিবী হতে অত্যাচার নির্যাতন-নিপীড়ন নি:শেষ করার জন্য অবতীর্ণ হয়েছে।তা মানুষের স্বভাবজাত প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখে,
যদিও একধিক বিবাহ একেবারে নিষিদ্ধ করে নি,তবে তার অনিষ্ট ও কুফল থেকে বাচার লক্ষ্যে একটি সীমারেখা নির্ধারণ করেছে।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন:
فانكحوا ما طاب لكم من النساء مثنى و ثلث و ربع-فان خفتم ان لا تعدلوا فواحدة الخ
উপরিউক্ত আয়াতের মুল বক্তব্য হচ্ছে,এখন থেকে চারজন পর্যন্ত মহিলাকে একসাথে স্ত্রী হিসেবে রাখতে পারবে।
তবে তা এ শর্তে যে,তোমরা চারজনের অধিকার পোরপুরি আদায় করবে।যদি এতটা ক্ষমতা না থাকে,
তাহলে একজনের অধিক মহিলাকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা অন্যায় ও জুলুম (অত্যাচার)
সীমারেখা নির্ধারণ করার পর যাদের অধীনে চারের অধিক স্ত্রী ছিল তাদের অবস্থা
আল্লাহ তাআলার এ ঘোষনার পর চারের অধিক স্ত্রীকে একত্রে রাখা উম্মতের উপর হারাম হয়ে যায়।
ফলে যেসকল সাহাবীর অধীনে চারের অধিক স্ত্রী ছিল,তারা চারজন রেখে বাকিদের তালাক প্রদান করেন।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,হযরত গায়লান রা:যখন মুসলমান হন,তখন তার অধীনে দশজন মহিলা ছিল।
রাসুল সাঃ তাকে নির্দেশ দিলেন,তুমি চারজন রেখে অন্যদের তালাক দাও।এমনিভাবে হযরত নওফল ইবনে মুওয়াবিয়া রা:
যখন মুসলমান হলেন,তখন তার অধীনে পাচজন মহিলা ছিলেন।রাসুল সাঃ তাদের একজনকে তালাক দেওয়ার নির্দেশ দেন।
(তাফসীরে কাবির,২য় খন্ড,পৃষ্টা ১৩৭)