(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
একজন পুরুষের জন্য একাধিক স্ত্রী থাকা ইসলামের পূর্বেও পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্মেই বৈধ বলে বিবেচিত হত।
আরব,ভারবর্ষ,ইরান,মিসর,গ্রীস,ব্যাবিলন,অষ্ট্রেলিয়া,পভৃতি দেশে বসবাসকারী প্রতিটি জাতি ও সম্প্রদায়ের মাঝে বহু বিবাহের প্রথা ছিল।
এবং এর প্রাকৃতিক প্রয়োজনের কথা আজও কেউ অস্বীকার করতে পারে না।বর্তমান যুগে ইউরোপের লোকেরা তাার পূর্ব পূ্রুষের বিপরীতে,
বহু বিবাহকে অবৈধ ঘোষণা করার প্রয়াস চালিয়েছে,কিন্তু তাতে তারা সফল হতে পারে নি।
পরিশেষে প্রাকৃতিক নিয়মনীতি বিজয়ী হয়েছে।এবং এখন তো বহু বিবাহের প্রথাটিকেই চালু করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বহু বিবাহের পক্ষে মি:ডেভিন পোর্ট এর মন্তব্য
মিষ্টার ডেভিন পোর্ট একজন বিখ্যাত খৃষ্টান পন্ডিত।তিনি বহু বিবাহের সপক্ষে “ইনজীল” গ্রন্থের বেশ কিছু আয়াত উল্লেখ করার পর লিখেছেন,
এ আয়াতগুলো থেকে যে বক্তব্য মিলে তা হচ্ছে,বহু বিবাহ শুধু পছন্দের তা নয়,বরং আল্লাহ তাআলা তাতে বিশেষ বরকত দিয়েছেন।
ইসলাম পূর্বে বহু বিবাহের সীমারেখা
অবশ্য এখানে একটি বিষয় লক্ষনীয়,ইসলাম পূর্বযুগে বহু বিবাহের কোন সীমারেখা ছিল না।
ফলে একজন পূরুষের অধীনে হাজার হাজার নারী থাকত।খৃষ্টান পাদ্রীরা সবসময় বহু বিবাহে অভ্যস্ত ছিল।
ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত জার্মানিতে এর ব্যপক প্রচলন ছিল।কনস্টান্টিনোপলের সম্রাট এবং তার উত্তরাধিকারীদের সকলেরই বহু সংখ্যক স্ত্রী ছিল।
এমনিভাবে বৈদিক শিক্ষায় কোন সংখ্যা বা সীমারেখা ব্যতীত বহু বিবাহ বৈধ।তাই এ শিক্ষায়,
দশজন,তেরজন,সাতাশজন করে স্ত্রীকে একই সাথে একই সময় একত্র করা বৈধ বলে বুঝা যায়।
মোটকথা: ইসলাম পূর্বে একাধিক বিবাহ সীমাহীন অবস্থায় প্রচলিত ছিল।বিভিন্ন ধর্ম ও বিভিন্ন রাষ্ট্রের ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায়,
কোন ধর্মে বা কোন দেশের আইন বহু বিবাহের সীমারেখা নির্ধারণ করে নি।না ইহুদি,না খৃষ্টান,না হিন্দু,না আর্য,কিংবা পারসিক কেউ তা করেনি।