এতে আল্লাহ তাআলার অনেক বড় রহস্য ছিল যে,রাসুল সাঃ এর কোন পুত্রসন্তান জীবিত থাকে নি।
বরং কন্যাসন্তানদের মাধ্যমে পৃথিবীতে তার বংশধারা চালু রয়েছে।আবার কন্যাদের মধ্যেও শুধুমাত্র ফাতেমা রা:এর সন্তানদের দ্বারা,
তার বংশ বিস্তার লাভ করেছে।অন্যান্য কারো কারো তো সন্তান হয়ই নি আর কারো কারো সন্তান জীবিত থাকেনি।
নবী নন্দীনি হযরত যয়নব রা:
হযরত যয়নব রা:এর বিবাহ হয়েছিল আবুল আস ইবনে রবী রা:এর সাথে।তার ঔরসে একজন পুত্রসন্তান জন্ম গ্রহণ করেন।
তবে তিনি অল্প বয়সে ইন্তেকাল করেন।উমামা নামে একজন মেয়ে ছিল,হযরত ফাতেমা রা:ইন্তেকাল করার পর,
হযরত আলী রাঃ তাকে বিবাহ করেছিলেন।কিন্তু তার কোন সন্তান হয়নি।
নবী দুহিতা রুকাইয়া ও উম্মে কুলসুম রা:
হযরত রুকাইয়া রা:এর বিবাহ হয়েছিল হযরত উসমান রা:এর সাথে। হাবশায় হিজরতের সময় তিনি তার সাথে ছিলেন।
২য় হিজরীতে (নবীজী বদর যুদ্ধ হতে ফিরার পথে)তিনি নি:সন্তান অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
তার পর ৩য় হিজরীতে অপর বোন উম্মে কুলসুম এর বিবাহ রাসুল সাঃ হযরত উসমান রা এর সাথে করিয়ে দেন।
এজন্যই তার উপাধি ছিল “যিন্নুরাইন” অর্থাৎ দুই নুরের অধিকারী।৯ম হিজরীতে তিনিও পরকালে পারি জমান।
তখন রাসুল সাঃ ইরশাদ করেন আমার যদি আর কোন মেয়ে থাকতো তাহলে তার বিবাহ আমি উসমানের সাথে দিতাম।
(সিরাতে মুগলতাই-১৬/১৭)
নারী সমাজের জন্য স্মরনীয় বাণী
নির্ভরযোগ্য সিরাত গন্থে বর্ণিত আছে যে,একবার হযরত রুকাইয়া রা: হযরত উসমান রা:এর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে,
নবীজীর দরবারে অভিযোগ জানানোর জন্য উপস্থিত হলে তিনি ইরশাদ করলেন,মহিলারা আপন স্বামীর বিরূদ্ধে অভিযোগ করবে এটা আমি পছন্দ করি না।
এটিই হচ্ছে নারী সমাজের জন্য সেই শিক্ষা,যার দ্বারা তাদের দুনিয়া ও আখেরাত উভয়টি কল্যাণকর হবে