(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
নামাজে সূরাহ ফাতেহার পর দীর্ঘ এক আয়াত কিংবা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা ওয়াজিব।
মুক্বীম ব্যক্তি (যে মুসাফির নয়) চাই সে ইমাম হোক অথবা মুনফারিদ (একাকী নামাজ আদায়কারী) তার জন্য মাসনূন ক্বেরাতের বিধান রয়েছে।
যদিও দীর্ঘ এক আয়াত কিংবা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ পড়ে নিলে মূল ওয়াজিবটুকু আদায় হয়ে যায়। তদুপরিও এর একটি মাসনূন তরীকা রয়েছে।
যা নিম্নরূপ:
(ক) ফজর ও জোহরের নামাজে ‘তিওয়ালে মুফাসসাল' পড়া। অর্থাৎ সূরাহ হুজুরাত থেকে সূরাহ বুরূজ পর্যন্ত এর যে কোন সূরাহ পড়া।
(খ) আছর ও এশার নামাজে ‘আওসাতে মুফাসসাল' পড়া। অর্থাৎ সূরাহ তারিক থেকে সূরাহ বায়্যিনাহ পর্যন্ত এর যে কোন সূরাহ পড়া।
(গ) আর মাগরিবের নামাজে কিসারে মুফাসসাল পড়া সুন্নাত। অর্থাৎ সূরাহ যিলযাল থেকে সূরাহ নাস পর্যন্ত এর যে কোন সূরাহ তিলাওয়াত করা।
এটাই হচ্ছে নামাজ সমূহে মাসনূন ক্বেরাত ।অথচ, আজকাল সাধারণত: এই সুন্নাতের উপর আমল নেই বললেই চলে।
মহানবী (সা:)-এর একটি সুন্নাতকে এভাবে ছেড়ে দেয়া অত্যান্ত দু:খজনক ব্যাপার। উল্লেখ্য, উপরোক্ত মাসনূন ক্বেরাতকে সুন্নাত-ই মনে করতে হবে।
এটাকে নামাজ আদায়ের জন্য অপরিহার্য জ্ঞান করা যাবে না। তাছাড়া কোন সূরাহ বা ক্বিরাতকে নামাজের জন্য নির্দিষ্টও করা যাবে না।
কেননা, ইহা ঠিক নয়। ইমাম সাহেবের তিলাওয়াতের সৌন্দর্যতা,
মুক্তাদিদের অবস্থা ও ওয়াক্তের সীমাবদ্ধতা দরুন বর্ণিত এই মাসনূন ক্বেরাতের ব্যতিক্রম ঘটতে পারে।
যেমন, সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে হলে মাঝে মধ্যে মাগরিবের নামাজ দীর্ঘ ক্বেরাত আবার পরিস্থিতি প্রতিকূল হলে ফজরের নামাজে সংক্ষিপ্ত ক্বেরাত পড়াও নিয়ম রয়েছে।
মুক্তাদির অবস্থার দিকে লক্ষ্য করে একদিন মহানবী (সা:) ফজরের নামাজে সূরাহ-এ নাস ও ফালাক্ব তিলাওয়াত করেছিলেন।
কিন্তু বিনা উজরে ক্বেরাতের এই সুন্নাতকে সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করে দেয়া অবশ্যই মর্মান্তিক ব্যাপার।
আরো পড়ুন: 👇👇👇
সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ নামাজের আলোচনা