(মুসলিম বিডি২৪ ডটকম)
হযরত হালীমা সাদিয়া রা বলেন,একবার তারা উভয়ে (নবীজী এবং তার দুধ ভাই আব্দুল্লাহ)বকরি চরাচ্ছিলেন।
এমন সময় আব্দুল্লাহ হন্তদন্ত হয়ে বাড়িতে ছুটে এসে স্বীয় পিতার নিকট বলতে লাগলো আমার কুরাইশি ভাইকে দুজন সাদা পোশাকধারী ব্যক্তি এসে শুইয়ে দেয়,
এবং তার বুক ছিড়ে ফেলেছে,আমি এ অবস্থায় তাকে রেখে এসেছি।আমরা উভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে মাঠের দিকে ছুটলাম।
যেয়ে দেখি তিনি বসে আছেন,কিন্তু তার চেহারা ভয়ে ফেকাশে হয়ে গেছে।জিজ্ঞাস করলাম,বেটা!কি খবর?
তিনি বলেন সাদা পোশাকধারী দু ব্যক্তি এসে আমায় শুইয়ে দিল,এবং বক্ষ বিদির্ণ করে সেখান থেকে কিছু খুজে বের করল।
জানিনা তা কি ছিল।
বক্ষবিদারণের পর হালীমা (রা:)নবীজী (স:)কে কার নিকট নিলেন এবং সে নবীজীর সাথে কি আচরন করল
হযরত হালীমা সাদিয়া রা বলেন,এরপর আমরা তাকে বাড়িতে নিয়ে এলাম এবং একজন জ্যোতিষীর নিকট নিয়ে গেলাম।
সে তাকে দেখা মাত্রই নিজের জায়গা থেকে উঠে তাকে বুকে তুলে নিয়ে চিৎকার করে বলতে লাগলো,
হে আরববাসীগন!ছুটে এসো,অনতিবিলম্বে যে বিপদ তোমাদের উপর আসছে তা রহিত কর।অর্থাৎ এই ছেলেকে হত্যা কর।
সাথে সাথে আমাকেও হত্যা কর।মনে রাখবে তোমরা যদি তাকে ছেড়ে দাও তাহলে সে তোমাদের দ্বীন মিটিয়ে দিবে।
এবং তোমাদেরকে এমন ধর্মের প্রতি আহ্বান করবে যার কথা তোমরা এখনও পর্যন্ত শুননি।
জ্যোতিষীর কথা শুনে হালীমা কি করলেন এবং হযরত আমিনা তাকে কি বল্লেন
হযরত হালীমা একথা শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন এবং নবীজীকে তার হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বল্লেন।
তুমি পাগল হয়ে গেছ!তোমার নিজেরই চিকিৎসা করা উচিৎ।হযরত হালীমা তাকে নিয়ে ঘরে ফিরে এলেন।
কিন্তু এ দিতীয় ঘটনাটি তাকে তার মতার নিকট ফিরিয়ে দিতে উদ্ধুদ্ধ করল।কেননা তার দ্বারা পরিপূর্ণ হেফাজত সম্ভব হচ্ছিল না।
মক্কায় পৌঁছে তিনি যখন তার মায়ের নিকট তাকে তুলে দিলেন।তখন তার সম্মানিতা মাতা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন।
এতো আগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও এতো তাড়াতাড়ি ফিরে আসার কারণ কী?
বারবার জিজ্ঞাসা করায় হযরত হালীমা তা খুলে বলতে বাধ্য হলেন ।ঘটনা শুনে হযরত আমিনা(রা:)বল্লেন,
নিশ্চয়ই আমার ছেলের মর্যাদা রয়েছে।অতঃপর তিনি গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন ঘটনা শুনালেন।
(সীরাতে ইবনে হিশাম-৯)
আরো পড়ুন👇👇👇
নবী করীম সা:এর দৈহিক গঠন কেমন ছিল
হযরত হালীমা সাদিয়া নবী করীম সা: কে কোলে নেওয়ার পর যে বরকত প্রকাশিত হয়