তোমাদের রুচিতে থুতু দিলে থুতুও বেকার যাবে! হলি আর্টিজান ট্রাজেডি ৷ গোটা বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দেয়া এক জগন্য ঘটনা ৷
এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ইতিমধ্যে বিচার শুরু হয়েছে ৷
গ্রেফতার হওয়া সবাই কলেজ, ভার্সিটি, ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র, কেউ শিক্ষক৷ তাদের পরনে প্যান্ট ছিল, সার্ট ছিল ৷
কিন্তু কারো গায়ে পাঞ্জাবী ছিল না, কারো মুখে দাড়ি ছিল না, কারো কপালে সিজদার দাগ ছিল না ৷
হলি আর্টিজানে হামলাকারীরা ছিল ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া উচ্চশিক্ষিত। তাদের মুখে দাড়ি ছিল না।
কিন্তু হলি আর্টিজানের উপর ফিল্ম তৈরি করতে গিয়েঅভিনেতা জাহিদ হাসানের মুখে দাড়ি ঝুলিয়ে দেয়া হলো কেন?
আবার কপালে সিজদার কালো দাগওলাগিয়ে দেওয়া হলো? অভিনেত্রী তিশার মাথায় হিজাব পরানো হল কেন?
জঙ্গী হলেই কি দাড়ি লাগিয়ে দিতে হয়। দাড়ি তো ইসলামের অন্যতম প্রতীক। এভাবে ইসলামকে অপমান করার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশেরঅধিকাংশ জনগোষ্ঠী ইসলামকে ভালোবাসে, দাড়িটুপি ভালোবাসে, পর্দাপ্রথা পছন্দ করে। তবুও তাদের মনে আঘাত দেওয়া হচ্ছে কেন?
এ দেশে যারা অভিনয় করে তাদের নিজস্ব কোন চরিত্র নেই ৷ নিজের অস্বিত্ব বিক্রি করে তাদের পেট চলে ৷
বিক্রি হওয়ার পর তারা তাদের মনিবের মর্জি মাফিক বেশ ধরতে বাধ্য হয়, পোষাক পরিচ্ছদ, আচার আচরণ, কৃষ্টি কালচার সবই মনিবের পরিকল্পনা মতকরতে হয় ৷
এ সব নিম্নশ্রেণীর কৃতদাসরা পেটের তাগিদে এমন কোন সূরত নেই যা ধরে না ৷
এদের পেছনে নাটের গুরু যারা থাকে তারা কেউ পরিকল্পনাকারী, কেউ নির্মাতা, কেউ প্রযোজক, কেউ পরিচালক ৷
পর্দার আড়ালে তারাই নাটক সিনেমার কর্তাব্যক্তি তারাই সব৷
হলি অার্টিজান নিয়ে নাটক তৈরী করবা কি করবা না এটা তোমাদের ব্যাপার ৷ তোমরা যারা সব কিছুতেই তামাশা খোজ, মানুষের জীবন মরন নিয়েও তামাশা কর, অস্তিত্ব বিক্রি করে খাও , তোমরা নাটক কর, অভিনয় কর, কুকুর সাজ, বানর সাজ, পোষাক পেলে দাও, অমানুষ হয়ে যাও ৷
এসবই তোমাদের নিম্ন শ্রেণীর লোকদের তথাকথিত ক্যারেক্টার ৷ কিন্তু অভিনয় করতে করতে যারা তোমাদেরকে রাসূলের সুন্নাত দাড়ি নিয়ে তামাশা করতে বলে, ওদের মুখে থুতু দিতে পার না ?
যারা তোমাদেরকে মুমিন বান্দার ভালোবাসার চিহ্ন কপালের সিজদার দাগ নিয়ে অভিনয় করতে বলে, তাদের কাছে বিক্রি না হলে পেট চলে না ?হলি আর্টিজানে হামলাকারী কার মুখে দাড়ি ছিল ?কার কপালে সিজদার দাগ ছিল ?